দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিসকাশন প্রজেক্টের পক্ষ থেকে বিজ্ঞান বক্তৃতা দিতে গেলে নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বেশিরভাগই সেখানে কিশোর-তরুণরা থাকেন, তাদের অনুভূতিগুলোকে তুলে ধরে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি নানা প্রশ্ন করেন। কেউ জানতে চান মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে কী ছিল, তার পরিণতিই বা কী? ডাইনোসররা বিলুপ্ত হলো কীভাবে? ডায়নোসররা বিলুপ্ত না হলে মানুষ কি রাজত্ব করতে পারত?
দশ বছর আগে, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০০১ তারিখে, নেচার পত্রিকায় প্রচুর আলোড়নের সঙ্গে বের হয়েছিল সমগ্র মানব-জিন লিপিবদ্ধ করার ঘোষণা সম্বলিত পেপারখানা। আমেরিকা সরকারের অর্থায়নে করা এই প্রকল্পের সাফল্যের ঘোষণা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন করে ফেলেছিলেন আরো এক বছর আগেই, ২৫য়ে জুন ২০০০’এ। সে সময় এই নিয়ে কত হইচই, কত আশা, কত স্বপ্ন। তার দশ বছর পর কতদূর এগিয়েছি আমরা?
আরিফিন সন্ধি
মাস খানেক আগে হিমু ভাই কে একরকম কথা দিয়েছিলাম ফাইটোরিমিডিয়েশন নিয়ে কিছু একটা লিখবো। সচলে কয়েক জন নিশ্চয়ই ছাই নিয়ে বসে আছে, আমার সেই কথা অনুযায়ী প্রথম কিস্তি আজকে লিখছি, মেনে নিচ্ছি, লেখার আকার ছোট, তবে বড় হবে আগামিতে,
১.
ভাইরাসের সবচাইতে বড় দুর্বলতা হচ্ছে সে বিশেষ কোন প্রাণীর জন্য তৈরি। যে ভাইরাস পাখির কোষে আক্রমণ করতে পারে সে ইঁদুরের কোষে পারে না। ভাইরাসের আক্রমণের প্রথম অংশ প্রাণিকোষের ভেতরে ঢোকা। কোনো প্রাণিকোষের বাইরে সে জড়বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়।
ভাইরাসের একটি বিশেষ ক্ষমতা হচ্ছে সে যেকোন প্রাণিকোষের ভেতরেই বাচ্চা দিতে পারে।
কল্কত্তা হাওয়াই অড্ডা অর্থাৎ কিনা কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাত আড়াইটেয় প্লেনে উঠলাম। ফ্রাঙ্কফুর্ট-বোস্টন। প্রবল ঘুম পেয়েছে, কিন্তু প্লেনে ঘুম আসে না, তাই কিংকর্তব্য ভাবছি। যাত্রী বোর্ডিং চলছে, আইল সিটে বসে স্থূলাঙ্গী বধূ থেকে স্থূলাকৃতি লাগেজ সবার গুঁতো খাচ্ছি। এমন সময় এক মাঝারিউচ্চতাবিশিষ্ট ছোটকরেছাঁটাগাঢ়সোনালীগোঁপদাড়িওয়ালা শ্বেত(তামাটে)’আঙ্গ মাঝবয়সী ব্যক্তি আমার লাগোয়া উইন্ডো সীটটায় সুড়ুৎ করে বসে
জার্মান দূতাবাসের ভিসা অফিসার আমার কাছে জানতে চেয়েছিল অণুজীব সম্পর্কে এমন কোন তথ্য যেটা সাধারণ মানুষ জানে না। একটু ছেলেমানুষি ধরণের প্রশ্ন বটে। তবে আমিও ওনাকে ছেলেমানুষ (যদিও তিনি নারী ছিলেন! ) ধরে নিয়েই উত্তরটা দিয়েছিলাম।
-আপনার শরীরে যতগুলো কোষ আছে, অণুজীব আছে তার কমবেশি দশগুণ!
[justify]মূল বই: The Grand Design (মহিমান্বিত নকশা)
মূল লেখক: লিওনার্ড ম্লোডিনো এবং স্টিফেন হকিং
=============================
প্রথম অধ্যায়: অস্তিত্বরহস্য (The Mystery of Being)
================================
আমাদের প্রত্যেকেই খুব অল্প সময়ের জন্য বেঁচে থাকি, এবং এই স্বল্প সময়ের মাঝে এই সমগ্র মহাবিশ্বের অল্প অংশই আমাদের পক্ষে দেখা বা অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে। কিন্তু মানব প্রজাতি খুবই কৌতূহলী। আমরা বিস্মিত হই, আমরা উত্তর খুঁজি। এই কোমল-কঠোর পৃথিবীতে বেঁচে থেকে এবং উপরের সুবিশালতার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষ বরাবরই নানা রকমের প্রশ্ন করে গেছে: আমরা যে পৃথিবীতে বেঁচে আছি সেটাকে কীভাবে বোঝা যাবে? এই মহাবিশ্বের মতিগতিই বা কেমন? বাস্তবতার প্রকৃতি কেমন? সবকিছু কোথায় থেকে এলো? মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কি কোনো সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন ছিলো? আমরা সকলেই এইসব প্রশ্নাবলি নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করি না, তবে প্রায় প্রত্যেকই কখনো না কখনো এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই।
গতানুগতিকভাবে এইসব প্রশ্ন দর্শনশাস্ত্রের পাঠ-এখতিয়ারে ছিলো, কিন্তু দর্শনশাস্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
[justify](মাসকতক আগে বন্ধু সচল স্পর্শের কাছ থেকে একটা লিঙ্ক পাই, আসিমভের একটা প্রবন্ধের। বিজ্ঞান ও তার ক্রমঃরূপান্তর নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তার জবাবে এই লেখা। লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছিলো, তাই মনে হয়েছে বাংলা ভাষায় লেখাটি শেয়ার করা গেলে অনেকের উপকার হতো। সহজ ভাষায় রচিত লেখাটির অনুবাদ করতে গিয়ে একটু কঠিন করে ফেলেছি হয়তো; তবে লেখাটি পড়ে কেউ যদি বিজ্ঞানের ব্যাপারে আগ্রহী অথবা বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পথে একধাপও ফেলেন, সেটিই অনেক বড়ো পাওনা হবে। হাতি সাইজের প্রবন্ধটি দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগটি পোস্ট দিলাম আজ। প্রথমদফা প্রুফ দেখে দেওয়ার জন্যে সুরঞ্জনা হক আর দ্বিতীয়দফা প্রুফ দেখায় বুনোহাঁসকে ধন্যবাদ।)