... অকস্মাৎ
পরিপূর্ণ স্ফীতি-মাঝে দারুণ আঘাত
বিদীর্ণ বিকীর্ণ করি চূর্ণ করে তারে
কালঝঞ্ঝাঝংকারিত দুর্যোগ-আঁধারে।
— নৈবেদ্য (৬৫), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্ফীতি একটা বুনো আগুন—একবার শুরু হলেই হলো, পুরো বন না জ্বালিয়ে থামবে না। আর বনটার যদি কোনো শেষ না থাকে? গুথ, স্তারোবিনস্কি এবং লিন্দে কহেন, মহাস্ফীতি'র (cosmic inflation) কারণেই নাকি আমাদের মহাবিশ্বকে অনস্তিত্বের বদলে অস্তিত্ব বেছে নিতে হয়েছে।
আজি যত তারা তব আকাশে
সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একদিন সূর্য মারা যাবে। তার নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবী যদি আদৌ টিকে থাকে তবে তার আকাশে আলোর খরা নেমে আসবে আর মানুষ সব এক চিরশীতের দেশে বন্দি হবে।
ধানের রসের গল্প পৃথিবীর—পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, বিশুষ্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব করে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তীব্রতায়।
— জীবনানন্দ দাশ, সিন্ধুসারস (মহাপৃথিবী)
আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।
[justify]
এই লেখাটি উদ্দেশ্য চিকিৎসকদের উপর একটি সীমাবদ্ধতার দায় চাপিয়ে দেয়া নয়।
এই লেখাটির উদ্দশ্য একটি সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতাকে বিবেচনা করা এবং সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পথ খোঁজা।
মাঝে মাঝে যা শুনি, কিংবা যা পড়ি, তাতে মনে হয় কবি প্রজাতিটি বড়ই অদ্ভুত। ছোটবেলাতেও গুরুজনেরা হরহামেশাই কবিদের ব্যাপারে আমাদের সাবধান করে দিতেন। “বাড়ির উঠতি বয়সের ছেলেটা কিংবা মেয়েটা কবিতা লিখা শুরু করেছে”- খবরটা যেমন ভয়াবহ কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মত একটি পরিবারে আছড়ে পড়তে পারতো, তেমনি “কোন এক এলেবেলে কবির সাথে ডানপিটেটা ইদানিং ঘোরাঘুরি করছে”- এ খবরটাও “ইবোলা” আতঙ্কের তীব্রতায় আঘাত হানতে প