“আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
সাত— সাতশো নরক-জ্বালা জ্বলে মম ললাটে,
মম ধূম-কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে।“
নিউটনের ‘অলৌকিক বছর’
কিছু জিনিস থাকে প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়। আমার প্রিয় গাছের তালিকাটা বেশ লম্বা। কিন্তু অতিপ্রিয় গাছের কথা বললে সবার আগে আসবে পেটারির নাম। কবে কোথায় গাছটা প্রথম দেখি, সে স্মৃতি নিউরণের অতল সমুদ্রে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে প্রথম মুগ্ধতার কথা এখনও স্পষ্ট। সে প্রায় বছর পচিশেক আগের কথা। ৮৯-এর বর্ষণমূখর এক দিনে গিয়েছিলাম এক ফুপুর বাড়ি। গ্রামটা ভারি সুন্দর। ঝোপ-জঙ্গল, নদী, মাঠ, শস্য, ঘাসফুলে আচ্ছাদিত এক আদর্শ বাঙালী গ্রাম। বর্ষার বিশুদ্ধ পানিতে গা ধুয়ে গোটা গ্রামটাই যেন পবিত্র চেহারা পেয়েছে। বৃষ্টিস্নাত গাছপালায় সবুজের অভিযান। সবুজ-সতেজ গাছপালা যেমন আমার শিশুহৃদয়ে দাগ কাটছিল, তেমনি বাহারি ফুলের নানা রঙে স্মৃতির ক্যানভাসে অঙ্কিত হচ্ছিল অমোচনীয় সব ছবি। সেই বর্ষার সেরা ছবি হয়ে আজও আমার মানসপটে গেঁথে আছে মামুলি এক মেঠো ফুল। এরপর পল্লীবাংলার কত গাঁয়ে, কত মাঠে কত অজস্রবার একে দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিবারই গাছটা আমার বুকে অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে, বুনেছে অন্যরকম ভালবাসার জাল। আর স্মৃতির পর্দায় ডানা মেলেছে শৈশবের সেই ছবি।
এই লেখাটা যখন লিখেছি তখন ইবোলা ভাইরাস এবং ইভিডি'র অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লেখাটিতে সেই সময়ের সব থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেয়ার। ইবোলা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ইবোলা সম্পর্কে আমরা অনেক 'নিশ্চিত' তথ্য পেয়েছি। সেই সকল তথ্য দিয়ে এই লেখাটিকে "আপডেট" করা হচ্ছে না। সেইজন্য সকল পাঠককে জানিয়ে রাখছি, এই লেখাটিতে দেয়া ইবোলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সাম্প্রতিক (এবং সেই হিসেবে সঠিক) নয়।
অনেকে প্রশ্ন করেন, জানতে চান ইবোলা ভাইরাস বিষয়ে। একটা ব্লগে সকলের প্রশ্নের জবাব দিলে সুবিধা।
এই ব্লগটির দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনারা যা জানতে চাইবেন সেসব প্রশ্নের জবাব দেব। দ্বিতীয় অংশে ভাইরাস, জৈবনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খানিকটা ব্লগরব্লগর করতে পারি হয়ত।
গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে চলাকালে ১৮৭০ সালে করা ভারতবর্ষের একটি মানচিত্র
১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারীর রাত। তুর্কি বিমান সংস্থা বার্গেন এয়ারের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৫৭ সিরিজের যাত্রীবাহী বিমানটি (ফ্লাইট ৩০১) ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী পুয়ের্তো প্লাটো থেকে জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুর্টের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল। যাত্রীদের প্রায় সবাই জার্মান পর্যটক যারা ক্যারিবীয় দ্বীপ-দেশটিতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন।
শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে অনেক দেরী করে ফেললাম; নিত্যদিনের যান্ত্রিকতা তো আছেই, তার উপর গেল বিশ্বকাপ। কি করি বলুন! আশাকরছি এই লেখাটা পড়ে অপেক্ষা করে থাকার ক্ষোভটা বেমালুম ভুলে যাবেন।
পিছনের পর্বগুলো এখানে সাজানো পাবেন চমৎকার ভাবে, ধন্যবাদ সচলায়তনকে।
শেষের শুরুটা তাহলে শেষ করে ফেলা গেল, আসুন তাহলে শেষের শেষটা নিয়ে লেগে পরি।
[justify]১৯৯০ সাল। ততদিনে কার্ল স্যাগান একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। ভয়েজার-১ যখন আমাদের সৌরজগত ছেড়ে আরো বাইরে চলে যাচ্ছিলো, তখন স্যাগান নাসাকে অনুরোধ করলেন, যাতে যাওয়ার আগে পৃথিবীর একটা ছবি তোলা হয় ঐ দূরত্ব থেকে।
ব্যস্ততা আমায় দেয় না অবসর !! এ পর্ব লিখতে লিখতে সময় বয়ে গেল যে! দুঃখিত সেজন্যে।
গত পর্বের শেষে কথা দিয়েছিলাম কিভাবে কার্বনের চেইন, বাকি-বল, গ্রাফিন ইত্যাদির মধ্যদিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ পাওয়া যায় সে নিয়ে আলোচনা করবো; আলোচনা করবো এই পরশ পাথরের গবেষণা কতদূর এগুচ্ছে, আমরা কতদূর যেতে চাই সেসব নিয়ে। আসুন তাহলে শুরু করি।
পর্ব ১-এ ছিল সিলিকনের বিকল্প কি হতে পারে তার সূচনা
পর্ব ২-এ ছিল সেই বিকল্প পেতে আমাদের পরমানু-তারেকানু পর্যায়ে কি শর্ত মানতে হবে সেই গল্প
পর্ব ৩ ছিল সেই শর্ত মেনে তৈরী করা বিকল্পটা কার্বন থেকে তৈরী, মানে কি না, জৈব (অরগ্যানিক)-সেই নিয়ে
পর্ব ৩ শেষ করেছিলাম বিষ্ময় পরমানু কার্বন, যা দিয়ে বস্তুজগতের প্রায় ১০ ভাগের ৯ ভাগ বস্তুই তৈরী, সেটা দিয়েই আমাদের সিলিকনের বিকল্প কোন উপ-পরিবাহি তৈরী করতে হবে-সেই কথা বলে। কিন্তু কিভাবে? কেমন করে হাতে আসবে আমাদের সেই প্রাণ-ভোমরাটা? আসুন তাহলে শুরু করা যাক! প্রথমেই আসুন চেষ্টা করে দেখি কার্বন বাবাজির হৃদয় ছুঁয়ে দেখা যায় কিনা! চলুন দেখি এর ঘটে কি এমন আছে যে, ৯০% বস্তুই এর তৈরী! কেমন করে গান করে এই গুণী