গত রোজার ঈদের ছুটিতে সকল আত্মীয় স্বজনরা তখন গ্রামের বাড়িতে। আমার অনেকগুলো চাচা থাকায় চাচাত ভাইবোনের সংখ্যাও প্রায় দুই ডজনের মত। তাই ঈদের সময় আমাদের গ্রামের বাড়ি একটা বিয়ে বাড়ির মতই রূপ নেয়। মজা করার সকল আইডিয়াগুলাতেও আমরা বড় ছোট সবাইকে সাথে রাখি। সব বয়সীরাই এক হয়ে যায় আমাদের গ্রামের বাড়ি ঈদগুলোতে। গত ঈদ আগস্ট মাসে হওয়ায় চারদিকে তখন বর্ষার নতুন পানি। এখন এ পানিতে নেমে গোসল করতে ইচ্ছা না করলেও নৌকা ভ্রমন করতে নিশ্চয় কারো কোন সমস্যা নেই। প্রস্তাব করার সাথে সাথে বুড়ো থেকে বাচ্চা সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল। শুধু বাকি রইল যাত্রা করার!
স্কুলে আমাদের এক সহপাঠী ছিল, নাম "আবু ওবায়দা মোঃ জাফর ইবনে সোলাইমান" অর্থাৎ- সোলাইমানের পুত্র, ওবায়দার পিতা, মোঃ জাফর। নামে কিছু আসে যায় না, এই সুনিদ্রিষ্ট বংশ পরিচয় সম্বলিত আরবী নামটিও ছিল খামাখা, কারন তার পিতার নামও সোলাইমান ছিল না, পুত্রের তখন কোন প্রশ্নই নাই। সবাই অবশ্য তাকে চাইনিজ জাফর নামে ডাকতো এবং সেটা যথার্থই ছিল, কারন তার চেহারায় মঙ্গোলীয় অবয়ব ছিল স্পষ্ট। আমাদের ছোটবেলায় যখন টেলিভিশনের আ
অনেক কথা বলা যায়। সুন্দর করে, আবেগ দিয়ে, হিউমার দিয়ে, যুক্তি দিয়ে। আজ বরং তা বাদ দেই। সহজ কথা সহজে বলি। প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন এর তোলা এই ছবিটি দেখেছেন সবাই আশা করি।
; যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন সব কিছু সহজ লাগত। পাশের বাসায় যাওয়া মানে ছিল দুধভাত। আমাদের মাঝে অন্যরকম এক সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল। বিকেলের আড্ডা থেকে শুরু করে কারও বাসায় মেহমান আসলে আমাদের উপস্থিতি, আমারা যেন সবাই আপন মানুষ ছিলাম। শুধু আমাদের পাশের বাসা নয়, আমাদের পাশের বাড়ি এবং তার সবগুলো পরিবার ছিল আমাদের চেনা জানা। আপন মানুষ। একবার আমাদের পাশের বাড়িতে তিন তলায়, এক ছোট্ট শিশু ঘরের ভেতর থেকে দরজার ছিটকি
আমি ভাগ্যবান মানুষ; সবার এক্টা হ্যাপি বার্থডে থাকে, আমার ২টা আছে। ২য় জীবনের ১ম বার্থডেটা এখনও পালনের সময় আসে নাই। তো আমার বয়স হইলো একুনে সাত মাস। আমার পরিবার ও ২টা। সেই সচল বহুভাবে পাশে ছিলো, আছে।
আজকের দিনটা অন্যরকম ছিলো। দীর্ঘ একটা প্রতীক্ষার অবসানের আগের দিন। অনেকটা চৈত্র সংক্রান্তির মত। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মনটা উদাস হয়ে গ্যালো। ভাবলাম, হ্যাপেনিং ডে'র আগের রাত আজ, সামান্য ডাল-রুটি'র বদলে কয়েক পদের সামুদ্রিক মাছের কালিয়া; কবুতর বা হাঁসের কোর্মা; মটর পোলাউ কী নসিব হতে পারতো না (কী হাল, খাবারের নাম ও আজকাল মনে থাকেনা) ! আর পরে ভরপেটে একটা হাভানা সিগার! নসীবে বেনসন লাইট ও নাই
হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে নতুন কিছু না। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যেমন বহমান, হিন্দু নির্যাতনের জাঁতাকলও একইভাবে চলমান। প্রত্যেকটা ঘটনার পরে এই নিয়ে আমার মত কিছু পাব্লিক খামাখা হাউ-কাউ করে, বাকিরা তামাশা দেখে, কেউ মজা নেয়, কেউ আহা-উঁহু করে, তারপরে সব আগের মত। দেশে গণতন্ত্র আছে কিনা এই প্রশ্নে দ্বিমত, ত্রিমত, বহুমত থাকতে পারে তবে মালাউন কোপানো হবে কি হবেনা এই প্রশ্নে কোন দ্বিমত নাই, একটাই উত্তর, হবেনা মানে? হতেই হবে
আদুভাই নামের আমাদের পাড়ায় এক বড়ভাই ছিলো। মানুষ ভালো কিন্তু জগতের কোন কাজই ভালো মত পারতো না সে। সোজা কথায় আমড়া কাঠের ঢেকি আর কী। আমাকে সাথে নিয়ে সারাদিন গোপালের মিষ্টির দোকানে বসে থাকতো আর একটু পর পর জোর করে আমাকে মিষ্টি খাওয়াতো। আমার কপ্ কপ্ করে মিষ্টি খাওয়া দেখলে নাকি উনার মন ভালো হয়ে যেত। তখনও আমার হাফ্-প্যান্ট পড়ার বয়স। আদুভাই বিরাট অকর্মণ্য মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুস
ঘুম থেকে উঠেই আফ্রিদি শুনলেন রেকর্ড নেই! এটা দেখে আমার পাপী মনে প্রথমেই প্রশ্ন জাগে, রাতে আফ্রিদির সাথে প্রথম আলোর পক্ষে ঘুমিয়েছিল কে?
২০১৩ আমায় দিয়েছে অনেক কিছু। সবচেয়ে বেশী কি পেয়েছি? একটা হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস। শাহবাগে লড়ে যাওয়া মানুষেরা ফিরিয়ে আনে সেই বিশ্বাসকে - লড়াকু মানুষ পারে বিশ্বাসঘাতকদের পরাজিত করতে।
আরো একটা বছরের শেষ দিন আজ।
দিনগুলো হয়তো একই রকম, কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানোর নিরিখে পেছন ফিরে তাকাই কেমন গেলো এ বছর, কিংবা কী চাই আগামী বছরে।
এ বছরের প্রথম সপ্তাহে এক পোস্টে লিখেছিলাম, “মর্ণিং শো'স দ্য ডে যদি সত্য হয় – ২০১৩ সালের ঢাকামেট্রো লাইফ রাজনৈতিক সহিংসতা আর হরতালে ভরপুর হবে। নির্মানাধীন ফ্লাইওভারগুলো চালু হলে যানজটের মাত্রা কমবে এটাই আশা।“
বাস্তবে খুব ব্যতিক্রম হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হরতাল অবরোধ ছিল প্রায় সারা বছর।