একটি অনলাইন পত্রিকার এই খবরটি পড়তে যেয়ে একটু থমকে যেয়ে হেসে ফেললাম। তাঁদের 'আন্তর্জাতিক ডেস্ক' এর জনাব কবির হোসেন এর সম্পাদনায় প্রকাশিত সংবাদে একজন 'ম্যাগনেটিক ম্যান' এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যিনি ৫৩টি ধাতব চামচ নিজের শরীরের সাথে 'ধারণ' করে নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেই নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ছেন। খবরটিতে আপাত দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু প্রথম লাইন পড়ে হাসি থামাতে পারলেও শেষের দুই লাইন পড়ে আর হাসি থামাতে পারলাম না!
আমি খুব ভাল ভাবে জানি, তাঁর জন্য লেখা হবে না কোন গদ্য-কবিতা, শহীদ হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবেনা মানুষটির নাম, মানবাধিকারের বুলি কপচিয়ে মুখে ফেনা তুলবেনা কোন আন্তর্জাতিক অধিকারবেশ্যা, সুশীল-কুশিল, ডান-বাম, উপর-নিচ সবাই মুখে কুলুপ এঁটে নিজেদের নিরপেক্ষতা জাহির করবে নিশ্চিত, তাঁর জন্য মিছিল হবেনা, কোন স্লোগান হবেনা, হবেনা অবরোধ-হরতাল। রাজনীতির খেলায় আবুল কাশেম একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।
প্রতি বছরের শুরুতে আমরা বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। এবছর দশ পাউন্ড ওজন কমাবো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে এই বছরই আমাদের কিছু একটা করতে হবে, ইত্যাদি। তো আজকের এই পোস্টটা শুধু বই পড়া নিয়ে। ২০১৪ তে নিজেকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন। কমপক্ষে একটি বই পড়ুন। বইটির বা বইগুলোর একটি তালিকা এখনই করে ফেলুন। তালিকা মেনে সব পড়তে হবে এমনটা নয়। তালিকার বাইরে যেতে পারেন। তবে বইয়ের সংখ্যাকে লক্ষ্য করে এগুতে
মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য বাসটা মিস্ করলাম। পরের বাস আরো ঘন্টাখানিক পর। অলরেডি অফিসের জন্য লেইট হয়ে গেছি। এই দেশে বাসের কঠিন সময়ানুবর্তীতার উপর সঙ্গত কারণেই মেজাজ খারাপ হলো। ‘ইশ্, আর মাত্র পাঁচটা মিনিট দেরি করে এলে বাসের কি এমন ক্ষতিটা হতো’ ভাবতে ভাবতে বাস স্টপে বসলাম। স্টপে আমার পাশেই আরো একজন বৃদ্ধ ভদ্রমহিলা বসে আছেন। রুপ দেখলেই বোঝা যায়, এক সময় ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন তিনি। দুইজনই পাশাপাশি চুপচ
[justify]প্রতিটি সুনাগরিকের দায়িত্ব নিজ জাতির সৃষ্টি এবং কৃষ্টি নিয়ে সম্যক ধারণা রাখা। বাঙালি জাতির সৃষ্টি এবং ঐতিহ্য গর্বময় স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঘিরে। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ঠিকঠাক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা কী আমরা ভেবে দেখেছি?
আমি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ছোট বেলা থেকে মধ্যবিত্তদের নানান সমস্যার কথা শুনে শুনে বড় হয়েছি। ‘মিডল্ ক্লাস মেন্টালিটি’ নামের জনপ্রিয় একটা গালিই তো প্রচলিত আছে। সেই গালিটা অবশ্য আমরা মিডল্ ক্লাসরাই সবচেয়ে গম্ভীরভাবে নিজের আনন্দ ঢেকে রেখে আরেকজন মধ্যবিত্তের উপর সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করে থাকি। আমি নিজেই যে কতবার ভুরু কুঁচকে আরেকজনকে “মিডল্-ক্লাস-মেন্টালিটি” গালি দিয়ে মনে মনে হেসেছি তার হিসেব ন
প্রথমেই একটা ঘোষণা দিয়ে রাখি। আমি বিদেশি নই, ১০০% খাঁটি বাংলাদেশি। বছর তিনেক দেশ থেকে দূরে থাকার পর আবার এসেছি দেশে। দেশে আসার পর অনেক কিছু পরিবর্তন চোখে পড়েছে, সেটাকেই ৯৫% অভ্যস্ত, ৫% অনভ্যস্ত চোখে ধরার চেষ্টা করেছি। আজকে মূলত: ঢাকার সীমার মধ্যেই থাকব।এটা ব্লগর ব্লগর আর দিনপঞ্জি ক্যাটেগরির লেখা, সেভাবেই এটা ট্যাগান্বিত। সিরিয়াস বা গঠনমূলক কিছু এখানে পাবেন না।
আর, এখানে যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে সেটা আজকের ঢাকার সাথে নাও মিলতে পারে, এটা কয়েকদিনের অভিজ্ঞতার সারাংশ।
১। দেশের বাইরে কতদিন ছিলাম, অনুভূতির ওপর যে সেটার একটা প্রভাব আছে, তা এবারই প্রথম টের পেলাম। দেশ থেকে দূরে ছিলাম প্রায় সাড়ে তিন বছর। এর আগে অবশ্য বার কয়েক বিদেশ গিয়েছিলাম কয়েক দিনের জন্য। সেসব স্বল্প সময়ের বিচ্ছেদ আর ৩ বছরের বিচ্ছেদের পর ফিরে আসার মাঝে কতটা পার্থক্য সেটা প্লেন ঢাকার মাটি স্পর্শ করা মাত্রই স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়ল, আগেরবার ফিরে এসে খুশি লাগছিল যে- যাক পরিচিত পরিবেশে ফিরে এলাম।। এবার ল্যান্ড করার পর প্রথমেই মনে হল জানালা দিয়ে আমি একটু মাটি দেখব, আমার বাংলাদেশের মাটি!
বিজয় দিবসের সন্ধ্যা। বন্ধু দম্পতির পরিবারে প্রথম সন্তানের আগমনের সংবাদে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সস্ত্রীক রওনা হই। রাস্তায় রিক্সার উদ্দেশ্যে হাঁক দেই,
-যাবেন?
-কৈ যাইবেন?
-মুসলিম বাজার।
-যামু, ২৫ ট্যাকা ভাড়া লাগবো।
-কেন? ভাড়াতো ২০ টাকা।
-হেইটা ঠিক। তয় আইজ বিজয় দিবস, হের লাইগা ৫ ট্যাকা বেশি দিবেন।
-কেন? আজ বিজয় দিবস বলে আপনি ৫ টাকা বেশি নিবেন কেন? যা ন্যায্য তাই নেবেন।