Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

বিজয় দিবসের উচ্ছ্বাস

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/১২/২০১৩ - ১০:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের ছোট বেলাতেই কেউ না কেউ থাকে যে তার মনোজগতে প্রচণ্ড ভাবে প্রভাব ফেলে। কেউ না কেউ তার রুচির ধরনটা গড়ে দিতে থাকে— তার প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের ভেতর থেকেই। যেমন আমার বেলায় ছিলো আমার ছোট মামা।

ছোট মামার যে কোন কাজে এসিস্ট্যান্ট হতে পারাটা ছিলো সে সময় আমার সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত কাজ। মামার এসিস্ট্যান্ট হয়েই বিজয় দিবসে নানুদের বাসার উঠান পুরোটা পতাকা দিয়ে সাজিয়েছি।


ধুলোর দিনে ফেরা..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ১৬/১২/২০১৩ - ৮:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..সেই ভিজে মেঘের দুপুরে উড়েছিলে চিল সোনালি ডানার..
তোমার কান্নার সুরে ধানসিড়ি দ্যাখে ম্লান চোখে অন্ধকার।
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যা চলে যায় দূরে সবটুকু রূপ নিয়ে---
সে দুঃখ পড়ে থাকে ঘাসের পাখনায়, আমি কাতর লিখিয়ে!

___________________________________________________________________

শীত ঋতুটা কি অন্যরকম, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে?


আশির দশকের চট্টগ্রামের প্রথম বিজয়মেলা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ১৫/১২/২০১৩ - ৫:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সময়টা কি ১৯৮৮ নাকি ৮৯? ঠিক মনে আসছে না। তবে এই দুটো বছরের যে কোন একটা বছরে চট্টগ্রামে 'বিজয় মেলা' নামক একটা ব্যাপার চালু হয় সার্কিট হাউসের সামনের খোলা মাঠে। ওই মাঠটি তখন শিশুপার্ক হয়নি। সার্কিট হাউস তখনো জিয়া স্মৃতি যাদুঘর হয়নি। খোলা ময়দানটিতে আমার কোন কোন বিকেলে আড্ডা দিতাম। স্টেডিয়ামের উল্টোদিকের এই মাঠে কিছু কাঠের চেয়ার টেবিল বসানো থাকতো দারুল কাবাবের পক্ষ থেকে। স্টেডিয়াম মার্কেটে চট্টগ্রামের একমাত্র কাবাবের দোকান। সেখান থেকে ট্রেতে করে ধোঁয়া ওঠা কাবাব পরোটা নিয়ে আসা হতো সার্কিট হাউসের সামনের ঢালু ময়দানে। আমাদের পকেটে সেই সময়ে কাবাব খাওয়ার পয়সা হয়নি। তাই আড্ডা দিতে দিতে কেবল গন্ধ শুঁকেই অর্ধভোজন সেরে মনে মনে বলতাম, দেখিস একদিন আমরাও।


ট্রেনে একদিন কিংবা আশাবাদী হওয়ার গল্প

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: রবি, ১৫/১২/২০১৩ - ৪:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাদিন অফিস শেষে টেলিভিশনে চোখ রাখলেই দেখছি সারাদেশে অবরোধ আর হরতালে উৎসব করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারছে পাপিস্থানি জারজগুলো। নিজের জীবনটাকে খুব বেশি ভালোবাসি বলেই বেঁচে থাকার লোভে ঝুঁকি মাথা নিয়ে এই উৎসবের মাঝে গত দুই মাস বাড়ি যাওয়া হয়নি। তবু গতকাল অসহ্য হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রেনে চেপে বসলাম। এ যেনো অনন্তকালের যাত্রা, ট্রেন দশ মিনিট চলে তো ১ ঘন্টা থেমে থাকে। কুমিল্লা দাঁড়িয়ে আছে


যুদ্ধাপরাধী বিচার ও নানা রঙের ছাগুগুলো # ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১২/২০১৩ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত কয়েকদিন ধরে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহে আবারও একদল মানুষের ব্যপক গাত্রদাহ আশা করি সবাই লক্ষ্য করেছেন। আমাদের তথাকথিত জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারক বাহকেরা এখন ঝলসানো নরমাংস দিয়ে নৈশভোজ করে ক্ষান্ত নন, তারা নানা ভাবে ও নানা আঙ্গিকে কাদের মোল্লা তথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির ব্যপারটি হালকা করে কর্পূরের মত উড়িয়ে দেয়ার কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের জামায়াত তোষণের দীর্ঘ ইতিহাসকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যের ঘাড়ে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে কাজটি স্বাধীনতার পর শুরু হয়েছিলো কিন্তু বিশিষ্ট সামরিক শাসকদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার ফাঁদে পড়ে ব্যহত হল তা আজ ৪০ বছর পর করতে দোষ কোথায়? যে জিয়াউর রহমান ইন্ডেমনিটি আইন দিয়ে আটক যুদ্ধাপরাধীদেরকে নির্বিচারে ছেড়ে দিলেন, যার কল্যাণে গোলাম আজম দেশে ফিরে এসে আবার রাজনীতি করার সুযোগ পেল, যার নিপুণ হাতে এই দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা এল তাকে বাদ দিয়ে ১৯৭১-১৯৭৫ সময়ে কেন সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হল না এই মায়াকান্নার কি আসলেই কোন অর্থ আছে?


আহা যদি রাজাকার হতাম !

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১২/২০১৩ - ৫:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত রাতে অনেক বড় একটা আফসোস নিয়ে ঘুমাতে গেলাম ।


স্বাধীনতা ও কষ্ট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/১২/২০১৩ - ৫:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মনে পড়ে, যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসগুলো একেবারেই অন্যরকম ছিলো। অনেক বেশী আবেগ আর কষ্টের ছোঁয়া ছিলো যেন তখন। আমি নিজে স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। ছোটবেলায় গল্প শুনেছি, গল্প পড়েছি, স্বাধীনতার গানগুলো শুনতাম রেডিও টিভিতে। এমন একটা অনুভূতি হতো বুকের ভিতর তখনি, ওই ছোট বয়সেই। জানিনা কতটুকু বুঝতাম স্বাধীনতা যুদ্ধের, জানিনা কতটুকু বুঝতাম যারা প্রাণ বাজি রেখে দেশের জন্য দেশের মানুষ


ইতিহাসের অঙ্ক

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ১৩/১২/২০১৩ - ৪:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কুলে যাওয়ার পথে এক পাগলের সাথে প্রায়ই দেখা হত। নির্ঝঞ্ঝাট-নির্বিবাদী মানসিক ভারসাম্যহীন সিধা সাধা মানুষটা বিড়বিড় করতো আর বাতাসে আঙ্গুল নেড়ে কি জানি হিসাব করত। স্কুল ছাড়ার পরে আর কখনও তাকে দেখিনি। সে কিসের হিসাব মিলানোর চেষ্টা করতো কখনও জানা হয়ে উঠেনি। তবে তার চেহারায় একটা অদ্ভুত হাসি লেগে থাকতো সেটা এখনও মনে পড়ে।


জগাখিচুড়ি - ০৮

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ১৩/১২/২০১৩ - ৩:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারো ফাঁসির খবরে আনন্দিত হবার কিছু নেই। মানুষের মৃত্যুতে আনন্দ করার কিছু নেই। মৃত্যু এক অমোঘ পরিণতি যা সব বর্ণের সব রকমের মানুষকে এক করে দেয়। যতবড় আসামীই তার অধিকার আছে ন্যায় বিচার পাওয়ার। যতবড় অপরাধীই হোক না কেন, তার অধিকার আছে সম্মানজনক একটা শাস্তি পাওয়ার। অনেক সভ্য দেশ থেকেই মৃত্যুদণ্ডের মতো অমানবিক বিধান বাতিল করা হয়েছে। সারাবিশ্বে মানবতা আজ হুমকির মুখে। ঘৃণা, হিংসা, প্রতিশোধ আকাঙ্ক্ষা, চোখের