গ্রীক মিথলজি ১৮ (ভালোবাসার গল্প- কিউপিড এবং সাইকী- প্রথম পর্ব) অনুযায়ী সাইকীকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভয়ংকর দানবের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য (শিল্পী- এডওয়ার্ড বার্নে জোন্স, ১৮৯৫ সাল)
পূর্বের পর্বের পর--
সকালে অফিসে আসার আগে চা খেতে খেতে দশ মিনিট টিভির নিউজলাইনে চোখ বুলাই। ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিভি জিনিসটার সাথে এটাই আমার একমাত্র যোগাযোগ।
আজ সকালে চ্যানেল ঘুরাতে গিয়ে এটিএন বাংলায় আটকে গেলাম অচিন এক ভদ্রলোকের গর্জিত ভাষণে। নিউইয়র্কের হিলটন হোটেল থেকে লাইভ সম্প্রচার চলছে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাযুক্ত টাই পরে সেই ভদ্রলোকের বক্তৃতা গর্জন। সামনে মাইক থাকলেও রাজনৈতিক ভাষণগুলো কেন যেন গলা, কান ও গগন বিদারী হয়। এই ভদ্রলোকের চেহারা দেখে আমাদের পাড়ার খুইল্লা মিয়ার কথা মনে পড়লো। ইলেকশানের আগে তার গলায়ও অসুরের শক্তি ভর করতো।
(কিউপিড এবং সাইকীর এই গল্পটিও শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যায়। তাই চরিত্রগুলো গ্রীক মিথলজির হলেও নামগুলো সব রোমান নামই ব্যবহার করা হয়েছে। )
দেশ এখন নানাবিধ নির্বাচনী বিতর্কে উত্তপ্ত। নির্বাচন হবে কি না, হলে কি পদ্ধতিতে হবে, কবে হবে, না হলে কি হবে ইত্যকার নানা আলোচনায় বাংলার আকাশ বাতাস আজ মুখরিত। এত শোরগোলের মূল কারন নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার ব্যবস্থা কি রকম হবে, সে নিয়ে সর্বমহলে চরম মতপার্থক্য। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ইস্যুতে সুপ্রীম কোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপসারন করেছে,
[justify]গত সপ্তাখানেক ধরে মাথাটা একদম এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল, রাজ্যের চিন্তায়। এমনিতে আমার মাথায় চুল পরাজিত সৈনিকের মত পিছু হটেছে। চকচকে ভাবটা ঢাকবার জন্যে গুটিকয় যা অবশিষ্ট আছে, মেজাজ খারাপের চোটে তাও ছিঁড়ে ফেলবার যোগার। এই মুহূর্তে রাগ প্রশমিত হয়েছে সচলে সাক্ষী সত্যানন্দের দিনপঞ্জিকা খানা আর তাতে চ উ'র খাসা মন্তব্যটি পড়ে। কেউ যখন একট
১।
সাময়িক জর্মন প্রবাসী হয়রানাবীরের বিবাহ হল সেই গত বছর। স্বামীপ্রবর তো গবেষণা নিয়েই ব্যাস্ত, ওইদিকে তার বৌয়ের ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’ অবস্থা। এখন সে রাত-বিরাতে বিবাহানুষ্ঠানের এটেন্ডেন্স খাতা নিয়ে রোলকলে ব্যাস্ত। কালকে রাত সাড়ে তিনটায় হঠাত আমারে জিজ্ঞাসা করে আমি তাদের বিয়াতে গেছি কিনা। আমার নাকি ফোটুক পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম- ৯ মাস আগের কথা তো আমারই মনে নেই। কাহিনি এইখানে শেষ হইলে সমস্যা ছিলনা- কিন্তু, ‘৯ মাস’ কথাটা মনের মধ্যে আটকায় গেল। শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার তো, ৯ মাস শুনলেই আগে খালি মুক্তিযুদ্ধ মনে পড়ে। ৩০ শুনলে মাসের আগে লাখের হিসাব মাথায় আসে। ৭ শুনলে ভাগ্যের আগে মার্চের কথা মাথায় আসে। ১৪ কিংবা ২৫ শুনলে... নাহ, থাক- মাথা গরম হয়ে যাবে।
আঁকাআঁকির হাত আমার কোনোকালেই ছিল না। ফুল, পাখি, বাড়িঘর কিংবা গ্রামের দৃশ্যাবলী কোনোদিনই আঁকা হয় নি। খুব ছেলেবেলায় গ্রামের যে স্কুলে পড়েছি, সেখানে আঁকাআঁকির কোনো বালাইও ছিল না। কিছুদিন আগে ফেসবুকে ‘বিটস্ট্রিপ’ খুব জনপ্রিয় হলো। সবাই নিজ নিজ কার্টুন অবতার এঁকে ফেললো। তার সাথে আরো কতো মজাদার সব সংলাপ। ভাবলাম আমিও একটা এঁকে ফেলি। সোনম কাপুরকে নিয়ে ‘বিটস্ট্রিপ’-এ চড়ে একটা ড্রিম ডেটে যাই। চোখ, মুখ
০।
প্রতিদিন চলার পথে কত ঘটনা ঘটে, তার সব কিছু কী আমাদের মনে থাকে? সম্ভবত না। অবশ্য সব ঘটনা মনে রাখার মত না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনটা প্রায়ই একটা ধরাবাধা রুটিনে বাধা পড়ে যায়। এমনকী যে লোকটা সব নিয়ম ছুড়ে ফেলে বাউন্ডুলে জীবন যাপন করতে চায় তার জীবনটাও সব রুটিন কে ঝেড়ে ফেলার রুটিনে বাধা পড়ে যায়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকুরীর পদমর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চাকুরী দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হচ্ছে, বাড়ছে শিক্ষকদের বেতনও। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন স্কেলও স্বতন্ত্র হচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এসবই আশার কথা, আনন্দের কথা। আমাদের জাতীয় জীবনে আনন্দের সংবাদ আসে খুবই কম, যা আসে তা-ও পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেতে লড়াই করতে করতে আসে। প্