(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - ইহা একটি গবেষণামূলক জ্ঞানের লিখা। রস খুজিয়া হতাশ হইলে লেখক দায়ী নহে)
ভেবেছিলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করিই লিখে ফেলব - এসো নিজে করি - কিভাবে কাঁদবেন / How to cry। পরে মনে হল এত বিস্তারিত গবেষণায় কাজ নেই। অল্প কথায় কাজ সেরে মানে মানে কেটে পড়ি।
(এই মিথটিও শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যাওয়ায় সবজায়গায় রোমান নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তাই দেবী আফ্রোদিতি এখানে দেবী ভেনাস।)
সব গ্রীক মিথলজির গল্পের মতো এটাও অনেক অনেক বছর আগের কাহিনী। কিন্তু পার্থক্য একটি আছে! গ্রীক মিথলজির কাহিনীগুলো সাধারণত গ্রীসের নগররাস্ট্রে বা ইতালীর পেনিনসুলাতে, নিদেনপক্ষে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত হলেও পিরামাস এবং থিসবির কাহিনীটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা ব্যাবিলনীয় অঞ্চলের, সেখানে তখন শাসন করছিলেন রানী সেমিরামিস। এই সেই রানী সেমিরামিস, যিনি ব্যাবিলনের মিথিক্যাল রাজা এবং ব্যাবিলনের রাজধানী নিনেভেহ-এর প্রতিষ্ঠাতা নিনাসের স্ত্রী ছিলেন (এবং সেমিরামিস নিনাসকেই হত্যা করে ব্যাবিলনের শাসন ক্ষমতা হাতে নেন)।
ডিস্ক্লেইমার-১
জিপির থ্রিজির ঠেলায় একদিন পরে আপলোড করতে পারলাম। ক্রিয়ার কাল ঘটিত কোনও অসঙ্গতির জন্য আগাম দুঃখিত।
ডিস্ক্লেইমার-২
সাঈদ ভাইয়ের চমৎকার গোছানো লেখাটার পরে এই লেখাটা অগোছালো মনে হতে পারে।
ডিস্ক্লেইমার-৩
তথাকথিত ধর্মানুভূতি বেশি টনটনে হলে লেখাটি পড়বেন না দয়া করে
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে বাবার সরকারী চাকুরীর সূত্রে আমরা থাকতাম উত্তর জনপদের এক প্রত্যন্ত থানা সদরে। আমি পড়তাম ক্লাস ফাইভে, সহপাঠী/সহপিঠীনিদের প্রায় সবাই রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতো, আমার বেশ অস্বস্তি লাগতো এবং আমার অপরিনত ভাবনায় তাদের মনে হতো অসংস্কৃত জনগোষ্ঠী, শুদ্ধ করে কথা বলতে পারে না। কিন্তু তাই বলে গণযোগাযোগ তো আর থেমে থাকে না, দ্রুতই সহপাঠী/সহপাঠীনিদের বেশ কজনের সাথে বিশেষ অন্তঃরঙ্গ
[justify]মাদ্রিদ শহরটাতে এদিক সেদিক উঁকি মেরে দেখে সেদিনকার মত হোটেলে ফেরা হল। লম্বা জার্নি করে আসাতে সবাই কমবেশি ক্লান্ত।টুর গাইড তানিয়া জানিয়ে দিল সকালের নাস্তা সাড়ে সাতে,আর লাগেজ কালেকশন সাত-টায়, সে হিসাবে যেন ঘুম থেকে উঠা হয়। ঘড়িতে মাদ্রিদের সময় সেট করে এলার্ম দিয়ে ঘুমুতে গেলাম।
(গল্পটি শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যাওয়ায় সবজায়গায় রোমান নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তাই দেবী আফ্রোদিতি এখানে দেবী ভেনাস।)
সাইপ্রাস দ্বীপে এমাথাস নামের এক শহর ছিলো, সেটা অনেক অনেক বছর আগেকার কাহিনী। অলিম্পিয়ান দেবতারা তখন পৃথিবী শাসন করছেন দোর্দন্ড প্রতাপে। এই দোর্দন্ড প্রতাপের মাঝেও কিছু কিছু মানব-মানবী সময়ে সময়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠে, অমান্য করে দেবতাদের আধিপত্যকে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিলো এমাথাসে। সুন্দরী এবং ভালোবাসার দেবী ভেনাস সাগরের ফেনা থেকে জন্ম নিয়ে সাইপ্রাসেই প্রথম স্বাগত হয়েছিলেন। তাই সাইপ্রাস ছিলো দেবীর পবিত্র জায়গা আর সাইপ্রাসের মানুষও দেবীকে খুব মান্য করতেন, কিন্তু হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে উঠলেন কয়েকজন সুন্দরী তরুনী। এমাথাসে প্রোপেওটাস নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, তার কয়েকজন সুন্দরী মেয়ে ছিলেন। তারা সংখ্যায় কতজন ছিলেন সেটা জানা যায়নি, কিন্তু তাদেরকে একসাথে বলা হতো প্রোপেওটিডেস। তারা এক সময় অহংকারী হয়ে উঠলেন, অমান্য করলেন দেবী ভেনাসকে। ভেনাস সহজে হার মানার পাত্রী নয়!
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি দেবতা থেকে শুরু করে মরণশীল মানব, এমনকি পশুপাখি- সকলের মনেই ভালোবাসার ফোয়ারা বইয়ে দিতে পেরেছেন, শুধুমাত্র তিনজন দেবী ছাড়া। দেবী এথেনা, দেবী আর্টেমিস এবং দেবী হেস্টিয়া। আফ্রোদিতির কারণেই অনেক দেবতা ভালোবেসেছেন মরণশীলকে, আবার অনেক মরণশীল হয়েছেন দেবীদের ভালোবাসার অলংকার। আফ্রোদিতি যাতে এই ব্যাপারটি নিয়ে অন্যান্য দেবতা বা দেবীকে ঠাট্টা না করতে পারেন, সেজন্য দেবরাজ জিউস এক কাজ করলেন। দেবী আফ্রোদিতিকে এক মরণশীলের প্রেমে মশগুল করে দিলেন- আর সেই মরণশীল হলেন এনকেসিস।
পঞ্জিকার হিসেব মত শরতকাল আসতে আরও তিন হপ্তা বাকি। বাগানে ঘাসের উপর শিশিরকণায় ভোরের আলোর বিচ্ছুরণ কিন্তু জানিয়ে দিচ্ছে কোথাও হিসেবে গোলমাল হচ্ছে, শরতকালটা বুঝি এবার চুপি চুপি বেশ আগেই এসে পড়ছে। আকাশে সাদা ধবধবে মেঘের খেলাও জমেছে বেশ আজকাল। বারান্দায় বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি কার্পাস তুলোর মত মেঘের দলের ছুটোছুটি নীল আকাশ জুড়ে।
অনেক অনেক দিন আগে গ্রীস দেশের পাফোস নগরীতে এক রাজা ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন সিনাইরাস, আবার কেউ কেউ বলেন তিনি ছিলেন থিয়াস। এখানে আমরা সিনাইরাসই বলবো। সময়টা তখন ট্রোজান যুদ্ধের আশেপাশে। রাজা সিনাইরাস প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যুদ্ধে পঞ্চাশটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবেন, কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে পাঠালেন মাত্র একটি। সে যাই হোক, স্মার্না নামে তার একজন খুব সুন্দরী কন্যা ছিলেন। এতোই সুন্দরী ছিলেন যে, আশে পাশে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। স্মার্নার মা, সেই দেশের রানী, একদিন গর্ব করে বলেই ফেললেন, “আমার মেয়ে স্মার্না দেবী আফ্রোদিতির চেয়েও সুন্দর!” আফ্রোদিতি এই কথা শুনলেন, এবং স্বাভাবিকভাবে মোটেই খুশি হলেন না। নিজেকে অপমানিত বোধ করলেন। ঠিক করলেন এই কথার প্রতিশোধ নিবেন।