ব্লগরব্লগর
টুকরোকথন-২
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৮/২০১৩ - ৪:০৯পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify] বয়স বাড়াতে পারলে খুশী হয় এমন মানুষ বোধহয় খুব একটা মেলেনা। আর মেয়েদের বয়স নিয়ে তো কথা বলাই যাবেনা, তবে আমার হয়েছে এক্কেবারে উল্টা। আঙ্গুলের কড়ে দিন তারিখ গুনে গুনে বয়স কত হল বলে দিতে পারি সোজাসাপ্টা। দেখতে ছোট লাগলে ও আমি মানুষটা যে বিশাল বড়, সেটাই বুঝিয়ে দেয়া আর কি!। দেশের লোকজন অবশ্য এখন ও দেখলে স্কুলের খুকী বলে চালিয়ে দিতে চায়। তবে অফিসের লুকজন জব করি জানি বলেই
একটা গল্প লিখব বলে বসে আছি
লিখেছেন ফাহিম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৮/২০১৩ - ৯:৪২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
একটা গল্প লিখব বলে বসে আছি। অনেক দিন ধরে!
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ২৮/০৮/২০১৩ - ৪:৩৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
উম্মাতাল কৈশোর থেকে বুনো তারুণ্যের পথে এগোনোর সময় মেঘপিয়নের সাথে সখ্য গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে থাকে প্রতি পশলায়, কুমারী আদ্র ভূমি থেকে প্রথম মিলনের চমকময় তৃপ্ত আদ্রতা ভাপের রূপ নিয়ে ওঠে জলশরের মৃদু স্পর্শে, যে আক্রমণ অতি প্রতীক্ষিত, অতি মোহময়, আবেদন জাগানিয়া।
গ্রীক মিথলজি ১১ (আফ্রোদিতির গল্পকথা- আফ্রোদিতি, হেফাস্টাস ও অ্যারিসের ত্রিমুখী প্রেম)
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৮/২০১৩ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
গ্রীক মিথলজিতে জিউসের পর সবচেয়ে বর্নিল অলিম্পিয়ান হচ্ছেন আফ্রোদিতি। দেবতা থেকে শুরু করে মানুষ- সবাইকেই তিনি বিমোহিত করেছেন তার রহস্যময় চরিত্র দিয়ে। ভালোবাসার দেবী নিজেও অনেককে ভালোবেসেছেন, অনেকের ভালোবাসাও পেয়েছেন। আবার কখনো হয়েছেন ছলনাময়ী, প্রতিশোধপরায়না।
গ্রীক মিথলজি ১০ (এথেনার গল্পকথা- দ্বিতীয় পর্ব)
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/০৮/২০১৩ - ২:৩৫পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মেডুসা- গ্রীক মিথলজির এক আকর্ষণ। গ্রীক মিথলজির কোনো আলোচনাই মেডুসা ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়। টাইফোয়িয়াসের কথা মনে আছে? যার সাথে দেবতাদের বিশাল এক যুদ্ধ হয়েছিলো? সেই বিশাল দানব টাইফোয়িয়াস বিয়ে করেছিলেন অর্ধেক সাপ, অর্ধেক মানবী এচিডনে-কে। তাদের তিন মেয়ে ছিলো, যারা গর্গন নামে পরিচিত ছিলেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন মরণশীল, তিনিই হচ্ছেন মেডুসা। কেউ কেউ বলে থাকেন, মেডুসা প্রথমে গর্গন ছিলেন না, তিনি খুব সুন্দরী ছিলেন, তার বাবা মা ছিলেন ফোরকিস এবং কিটো।
তোমার জন্য লেখা এলোমেলো শব্দের ঝাঁক-১
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৮/২০১৩ - ৯:০২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
অনেকদিন পর নির্জন অবসরের শান্ত কোন প্রহরে তোমায় কিনে দেয়া বইটির এই পাতাটিতে হয়ত তুমি আবারো চোখ রাখবে, তোমার আচ্ছন্ন স্মৃতিমেদুর চোখে সেদিন কি ভাষা ফুটে উঠবে তা আমি জানি না, হয়ত কিছুটা অনুমান করতে পারি; ১৬ আগস্ট ২০১৩ এর সেই সন্ধেবেলাটি তখন হয়ত সুদূর অতীতের দিকে হেঁটে গেছে অনেকটুকু পথ, তবুও তোমার স্মৃতিতে আবার কি সে ফিরে আসবে?
সরলরেখা বক্ররেখার চক্করে
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৯/০৮/২০১৩ - ১১:৪৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় আমার এক বন্ধু পারভেজ ঠিক করলো সে আর্টিস্ট হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়বে। সেইমত চিত্রাঙ্কনের উপর কোচিং করা শুরু করলো। চারুকলায় ভর্তির জন্য যে মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিশেষ ভর্তি কোচিং আছে তা তখনই প্রথম জানলাম। সে ভর্তি পরীক্ষায় টিকে গেলো এবং কবজিতে ব্যাংগলস, কাঁধে ঝোলা এবং এক মাথা ঘন লম্বা চুল রেখে পুরোদমে আর্টিস্ট হয়ে গেলো। আমারা ক্লাসে যাই শুধু ব্যাগ নিয়ে আর ও শিল্পী সুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে ব্যাগের সাথে পিঠে ঝুলায় লম্বা একটি কালো পোস্টার টিউব। সেটার ভেতর থাকে নিজের আঁকা বিচিত্র সব অর্ধসমাপ্ত ছবি।
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির? ফটোদিবসে দুটো ছবির গল্প
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ১৯/০৮/২০১৩ - ৪:১৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
‘প্রার্থনা’ নাম দিয়ে রবিঠাকুর ওই যে কথাগুলো বলেছেন তা নেহাতই অস্বাভাবিক। প্রার্থনা মানেই হল মাথা নিচু করে, হাঁটু গেড়ে বসে, শক্তিশালী কারো কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয়, পীড়াপিড়ি করা। আর প্রার্থনা ব্যাপারটাই ভয় থেকে উদ্ভূত। প্রিয়জনের অমঙ্গল হওয়ার ভয়। জীবন-যৌবন-সম্পদের ক্ষতি হওয়ার ভয়। মৃত্যুভয়। মৃত্যুর পরে স্বর্গলাভ থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়। দেবতার স্নেহচ্ছায়া থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয়। কে না জানে, উনি অত্যন্ত স্নেহবান ও প্রীতিপরায়ণ, কেবল তাঁকে পাল্টা ভালবাসতে এতটুকু বিচ্যুতি বা অস্বীকৃতি মানেই ইহকাল ও পরকালে অনন্ত নরক...
প্রার্থনা শব্দের ভদ্র, প্রচলিত অর্থখানা নিয়েই বরং আজকের ফটোগ্রাফি দিবসে দুটো ছবি আপনাদের দেখাই।
যেভাবে হয়ে উঠলো অসম্পূর্ণ প্রথম গান
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৯/০৮/২০১৩ - ৩:০৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
তখনও কেউ সেইভাবে হাঁটতে শেখেনি, কেউ প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে বাংলা গানকে নতুনভাবে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবেনি। সময়টা বিশ শতকের ছয়-সাত-আটের দশক। একটা ধরাবাঁধা ফর্মেটের বাইরে বাঙলা গান তখন আর এগুচ্ছিল না। বাঙালি তখন গভীরভাবে মজে আছেন আর.ডি.বর্মণ. কিংবা কিশোর কুমারদের নিয়ে। সেই সঙ্গীতে প্রেমিক প্রেমিকা দুঃখ বিলাশ করে, সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে নিয়ে গাছের ডাল ধরে নাচে গায়, সেই গানে আধুনিক বাঙালি ড্রাম’জ বাজিয়ে হুল্লুড় করে, আবার দুঃখে কাতর হয়ে বিরহ রাগ প্রকাশ করে। সেই সঙ্গীতে ভালবাসার কথা, প্রকৃতির কথা, আনন্দের কিংবা বিষাদের কথা, গভীর প্রেমের কথা থাকলেও আক্ষরিক অর্থে ‘মানুষে’র কথা ছিলনা। মানুষ মানে আম আদমির মনের কথা, মানুষ মানেই সময়ের বহুমাত্রিকতায় জর্জরিত একেবারেই অজানা অচেনা মানুষ, সেই মানুষ এবং তাদের জীবন সংগ্রামের কথা, নিত্যদিনের তেল-নুন-ডালের গল্প। তাদের জীবন গাঁথাকে গীটারের টুং টাং শব্দে এবং সময়ের হাহাকারকে গদ্যের নিষ্ঠুর আঘাতে জর্জরিত করে বাঙলা গানে আবির্ভূত হলেন সুমন চাটুজ্যে
জীবন-নাটক
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৯/০৮/২০১৩ - ২:৪৫পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
পূর্বকথা
দূরবীন - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49844
ফাউ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49897
ভুল - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49929
আমার সেই গহীন ছোটবেলার সবচেয়ে উত্তেজনাময় যে স্মৃতিটি আমার মনে পড়ে সেটি আমাকে আজো আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে। ঠিক কি উপলক্ষে আজ আর মনে পড়ে না, আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর একটা বড় অনুষ্ঠান হয়েছিল। রীতিমত মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল বেঁধে। সেই উপলক্ষে প্রচুর বক্তৃতা আর নাচ-গান-আবৃত্তির সাথে একটা নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবুড়োর ডাকঘর থেকে একটা ছোট্ট অংশ ছিল আমাদের পাঠ্যবইয়ে, অমল ও দইওআলা শিরোণামে। দিদিমণিরা সেটাই বেছে নিলেন মঞ্চস্থ করার জন্য। সম্ভবত: প্রচুর পটর-পটর করার যোগ্যতায় আমি মনোনীত হলাম অমল-এর ভূমিকায়। চতুর্থ শ্রেণীর এক শ্রীমান হল দইওআলা।