না কোন আলাদা রাজ্য নয়। বরং বাংলা, মানে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই উত্তর দিকের জেলাগুলো নিয়ে অশোকস্তম্ভের ছাপমারা সরকারী দপ্তর কিংবা ঘেমো আম আদমির প্রাত্যহিক আলাপচারিতা – সবেতেই হাজির উত্তরবঙ্গ। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আজকের প্রবল গ্লোবাল ঝড়ে ভাসতে ভাসতেও যেখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, কাজকম্ম করে বেচে বর্তে আছি, মন ভালো লাগলে বা খারাপ লাগলে যে পথ, জনপদ বা পাহাড়ে ছুটে যাই বারংবার, একটু সফট কর্ণার থাকবে না
মানুষ অতীতে চোখ চালিয়ে কদ্দূর পিছনে দেখতে পায়? বেশীর ভাগ ছবি-ই ফোকাসের বাইরে। তবু ডিজিটাইজ করে, পিক্সেল জুড়ে জুড়ে রেন্ডারিং করে নানা ভাঙ্গাচোরা টুকরো থেকে এক একটা ছবি বার করে আনা।
আর পাঁচটা দিনের-ই মত এক সকাল। আবার এক রকম নয়-ও। বই পড়া চলছে। বাবা এসে কোলে তুলে নিল
- চল।
- কোথায়?
- স্কুলে
বনভোজনের রফা করতে করতে শেষ পর্যন্ত লিস্টিটা যা দাঁড়াল তা হচ্ছে এই-
খিচুড়ি ( প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে বলিয়াছে)
আলু ভাজা ( ক্যাবলা ভাজিবে)
পোনা মাছের কালিয়া ( প্যালা রাঁধিবে)
আমের আঁচার ( হাবুল দিদিমার ঘর হতে হাত সাফাই করবে)
রসগোল্লা, লেডিকিনি ( ধারে ম্যানেজ করিতে হইবে)
লিস্টি শুনে আমি হাঁড়িমুখ করে বললাম, ওর সাথে আরেকটা আইটেম জুড়ে দে – টেনিদা খাবে !
মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)-ঢাকা আন্তনগর 'হাওর এক্সপ্রেস' ট্রেন উদ্বোধন হয় গত ৩০ তারিখে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খণ্ডচিত্র।
১. উদ্বোধনের আগের দিন গেলাম ২ তারিখের টিকিট কাটতে। বলা হলো, টিকিট আছে কিন্তু মন্ত্রী এসে উদ্বোধন না করা পর্যন্ত টিকিট দেয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন, উদ্বোধন না হওয়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা! বলা হলো, শঙ্কা নাই, কিন্তু আমরা দিব না এখন।
পৃথিবীর সব স্বৈরাচারী শাসকেরা যুগে যুগে তাদের রক্ষাকারীর বিরুদ্ধেই সবসময় খড়্গহস্ত হয়েছে। বোধহয় ব্যাপারটি এসেছে দেবতাদের কাছ থেকেই। যে জিউসকে টাইটান যুদ্ধে জয়ের জন্য টাইটান হয়েও প্রমিথিউস সাহায্য করেছিলেন, আরেকবার দেবী এথেনার জন্মের সময়ও জিউসকে সাহায্য করেছিলেন (এই ঘটনা পরবর্তীতে বলা হবে), সেই জিউসের নিকট হতেই প্রমিথিউস পেলেন অদ্ভুত এবং কঠোর শাস্তি, তাও সেটা মানবজাতিকে সাহায্য করার অপরাধে। হ
এই বিষাক্ত জিনিসটা আমাকে আর ছাড়ল না, নাকি আমি একে ছাড়তে পারছি না? ৯/১০ বছর বয়সে হাতেখড়ি। ১৯৯০-১৯৯১'র সময়, তখন একে জানতাম বিড়ি নামে। আমাদের এলাকায় তখন নেত্রকোণার বিনোদ বিড়ির খুবই প্রচলন। দুই টাকার এক বান্ডেল বিড়ি (বিড়ির প্যাকেটটা দেখতে গোলাকার হওয়ার জন্যই মনে হয় সবাই প্যাকেটের পরিবর্তে বান্ডেল বলত), এক বান্ডেলে ২৫ কাঠি বিড়ি। একটাকায় ১২ কাঠি বিড়ি। সেই সময়ে এক টাকা ছিল আমার দিনের হাত খরচ। যে সময় থেকে বিড়ি খাওয়া শুরু করলাম, তখন টাকাটা পেলেই প্রথমে ২৫ পয়সার বিড়ি (৩ কাঠি) কিনতাম। বাকি ৭৫ পয়সা স্কুলে খরচ করতাম। বিড়ি খাওয়ার যায়গাটা ছিল আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয়, আমাদের বাসার সামনেই। আমাদের বাসার সামনের দিকে এক মিনিট হেটে গেলেই একটা দো'তলা বিল্ডিং, সেই বিল্ডিং'র পাশে একটা বেশ বড় টিনের গুদাম ঘর, মাঝখানে একজন মানুষ হেটে যাওয়ার মতন যায়গা। এই ফাঁকা যায়গাটার একপাশের মুখ টিন দিয়ে আটকানো ছিল বলে বেশ অন্ধকার ছিল। কোনমতে একবার ঢুকে গেলে কেউ দেখে ফেলার কোন ভয় নাই।
আজকাল খুব একটা পত্রিকা পড়া হয় না। টিভিও তেমন একটা দেখা হয় না। টিভির রিমোট থাকে বউ আর বোনের হাতে। ওরা সিরিয়াল দেখে। ওদের হাত থেকে রিমোট পেলে সংবাদ চ্যানেলগুলোতে একটু ঘুরে এসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, এইচবিও অথবা স্টার মুভিজে গিয়ে থিতু হই। গত পরশু সংবাদ চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে চ্যানেল২৪-এ এসে দেখি, মির্জা ফখরুল সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন। তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র ভাবনাচিন্তার কথা বলছেন। তার বক্তব্য শুনতে থ
টাইটান ক্রোনাসের সময় মানবজাতির সোনালী যুগ ছিলো। টাইটান যুদ্ধে ক্রোনাসের পরাজয়ের সাথে সাথে সেই যুগের সমাপ্তি ঘটে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোন জিউস। জিউস তখনো তার ক্ষমতাকে পুরোপুরি নিষ্কন্টক করতে পারেননি। তাকে টাইটান যুদ্ধের পর আরো দুটি যুদ্ধে জড়াতে হয়- জায়ান্টদের সাথে এবং টাইফুনের সাথে। সেই দুটি যুদ্ধের আগে জিউসের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে মানবজাতির সৃষ্টি। আসলে সোনাল
সেবার অনেকদিন বাদে বাবা বাড়ি ফিরল একটা কলার ডোঙা হাতে করে। বৃষ্টিটা সবে ধরে এসে চারদিকে তখন ছায়া ছায়া সন্ধ্যে নামছে একটু করে। বর্ষার শেষাশেষি বিকেলগুলো যেমন হয়, ভেজা ভেজা স্যাঁতস্যেঁতে। চারপাশ ভিজে থুবড়ে আছে। গাছপালার পাতা থেকে সরসর টুপটাপ পানি পড়তে ব্যাঙগুলো ঝিঁঝিঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘ্যাঁ ঘোঁ ঘ্যাঁ ঘোঁ করে রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে একসাথে। এর মাঝে লম্বা লম্বা পা ফেলে শেওলা ধরা উঠোনটা মাড়িয়ে বারান্দায় উঠে এসে ডোঙাটা সামনে বাড়িয়ে ধরে একমুখ হাসি দিয়ে বাবা বললে, দ্যাখো, তোমার জন্যে কি এনেছি! হ্যাপি বার্থডে!