[এইখানে মগজ-ব্যবহারের কোন সুযোগ নাই।]
…
কবি বলেছেনঃ
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
কাদেরীয়া বাহিনীর ভয়ে টাঙ্গাইল এলাকায় পাকিস্তানী খুনীরা তটস্থ থাকত। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারত আমাদের যুদ্ধে যোগ দিলেও, তাদের ছত্রীবাহিণী টাঙ্গাইলে অবতরণ করে কাদেরীয়া বাহিনীর পাহারায়। ষোল ডিসেম্বরের পাকিস্তানী জান্তার আত্মসমর্পণের সময় কসাই নিয়াজীকে কাদের সিদ্দিকীর হাত থেকে বাঁচাতে ভারতীয় বাহিনীকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হয়। তারপর চল্লিশ বছরের অনিবার্য পঁচনের ফলশ্রুতিতে কাদের সিদ্দিকী এক দিন বিক্রী হয়ে যান জামায়াতে ইসলামীর কাছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে জামাই আদরে থাকা গোলাম আযমের খাবারের তালিকা দেখলাম আজ। ওটা দেখে ভীষণ রকমের অপরাধবোধ হলো। অপরাধবোধটা এলো তাদের কথা ভেবে, যারা অসহ্য কষ্টে দুবেলার খাবার যোগাড়ে হন্য হচ্ছেন। জন্ম সূত্রে তারা অপরাধী হয়েই জন্মেছেন। তাদের অপরাধ তারা হৃতদরিদ্র। দেশ- জাতি- ইতিহাস এসব বড় বড় বিষয়ের চেয়ে পেটের চিন্তাই এদের দিশেহারা করে রাখে সর্বক্ষণ। কিন্তু আশ্চ
একান্তই ব্যাক্তিগত অভিব্যক্তি।
এমনিতে আমি বোধহয় একটু বোকা কিসিমেরই মানুষ। না মানে পরিবারের লোকজন সে রকমই বলে কি না । এই যেমন, বাজারে গেলে দোকানদার নাকি আমাকে ঠকায়, সুযোগ পেলেই রিক্সা অথবা সিএনজি ওয়ালা বেশী ভাড়া নেয়, ইত্যাকার কথাবার্তা। এ সব শুনে শুনে আমারও ওরকমই ধারনা।
এ হেন বোকা মানুষটার মাথায় ইদানিং একটা বুদ্ধি খেলছে। আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে একটা মতামত নিই।
পাহাড়ে যারা যান তাদের মন পাহাড়ের চেয়েও উঁচু হবেই বলে আমরা ভেবে নিই, কিন্তু কথাটা সত্য নয়। পর্বতারোহীর অনেক জালিয়াতি ধরা পড়েছে যুগে যুগে, মিথ্যা খ্যাতির লোভে, স্পন্সরের টাকার জন্য, অসফলতার দায়ভার এড়াতে অনেকেই পাহাড় চুড়োয় না পৌঁছেও বলে দেন- আমরা শীর্ষে !
বেয়োনেটের খোঁচায় রক্তাক্ত শরীর- পড়ে আছে উঠানে, বনে জঙ্গলে।
চোখ বাঁধা লোকেদের লাইন, নদীর ধারে - গুলির পরে সহজে ভেসে যায়।
ক্যাম্পে আটক নারী - স্বামীর সামনে, সন্তানের সামনে ধর্ষিতা নারী।
ধর্ষণের পরেও বেয়োনেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে মেরে ফেলা নারী।
দুপা ধরে টান দিয়ে দুই ভাগে চিরে ফেলা শিশু।
সবুজ ভূখন্ড জুড়ে রক্তের ছোপ, টকটকে তাজা লাল রক্ত, শুকিয়ে যাওয়া কালো রক্ত।
ছলনার রায় মানি না,
অন্য কিছু জানি না,
শুধু এটাই জানি-
ঘুচেনি আজো গ্লানি।
হতভাগা ঘাটের মড়া
(তোর) মুখ থেকে হাসি সরা।
ভাবিস না তুই বেঁচে গেছিস আজি
অল্পতে তুই পার পাবি না অলপ্পেয়ে পাজি।
দেশের মানুষ আছে এখন সজাগ সর্বক্ষণ
প্রয়োজনে শাস্তি দেবে দেশের জনগণ।
মোহনপুর গ্রামের জয়নালের স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্কা ছিলেন সন্দেহ নেই। তবে তার মেয়েটি কিশোরী ছিল। পাশাপাশি ঘরে মা মেয়েকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানী বাহিনী। মা শুনতে পায় কন্যার আকুতি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা শুনে মায়ের আকুতি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
রাক্ষসের চেহারা কেমন ? ভয়ংকর, পৈশাচিক, বিকৃত।ছোটবেলা থেকে আমরা রাক্ষস, খোক্কস, আর ভোক্কসদের গল্প শুনে বড় হয়েছি।
ঠাকুরমার ঝুলির ভয়াল দর্শন সেই রাক্ষসেরা। কাউকে সরাসরি যুদ্ধ করে মারা যায়, কারো কারো প্রাণ ভোমরা আবার লুকানো থাকে কৌটার ভেতর। কিন্তু কাজ যত কঠিনই হোক না কেন কোন না কোন রাজকুমার শেষ পর্যন্ত সেই রাক্ষসকে বধ করেই ছাড়ে।