সে আর কিছু বলতে পারছিলো না। তার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “মাথা ব্যাথা?” মাথা নেড়ে বোঝালো না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, “শরীর খারাপ?” -আবার না সূচক মাথা নাড়ালো। বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে। যেন-তেন কান্না নয়। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলা যাকে বলে। সাঁজ-গোছ করে শাড়ী পরা একটা মেয়ে কান্না করে যাচ্ছে। এটা মানায় না। তবুও মেয়েটি কাঁদছে। কান্নাটা একদম শব্দহীন বললেই চলে। আশেপাশের ম
[justify]ছোটবেলায় যখন বই পড়ার নেশাটা প্রথম মাথায় ওঠে, সেই সময়গুলোতে একটা বই হাতে পেতে অথবা পড়তে তখন আমায় মেলা কাঠ খড় পোড়াতে হত। সেইসব দিনগুলোতে আমার প্রধান অন্তরায় ছিলেন আমার মা। সারাটা জীবন অনেক রাগ করেছি, দুষেছি তাকে এই সব কারণে। আজ একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মাকে দেখতে বসলাম। বাংলার নারীদের দেখতে বসলাম আসলে।
[justify]আমার পোষ্যভাগ্য ভীষণ খারাপ। গাছ, মাছ, পশু, পাখি কাউকেই পেলেপুষে কাছে রাখতে পারিনি। অনেক শখের শিম গাছ, করলা গাছ, বেলি ফুলের গাছ, পাখির ছানা, গোল্ডফিশ সবাই মারা গেল একে একে। অনেক ভালোবাসা পেয়েও। কখনোবা ভালোবাসার আতিশায্যে। নিজের অযোগ্যতা মাথা পেতে নিয়ে শেষমেষ চেষ্টায় অব্যাহতি দিলাম। এরপর একদিন সচলের পাতায় এলো ফাহিমের পোস্ট। আমাদের ফ্ল
তখন এক রকম দিন ছিল, যখন কিছু কিছু সকাল শুরু হত দোতালার বারান্দা বরাবর রাস্তার ওপারে পুকুর পাড় বলে তো তেমন কিছু ছিলনা কিন্তু একটা খেঁজুর গাছের কান্ড ছিল যার উপর বসে মেরীর বাবা যিনি আমাদের বয়েসী সবার ড্রাইভার আংকেল গড় গড় করে কুলি করতে করতে পানিতে নেমে যেতেন, তার শব্দে। বারান্দায় ছুটে যেতাম কারণ একটা সোনালু গাছ হলুদ ফুলে ঢেকে রাখত পুকুর পাড়টা আর চোখ ডলতে ডলতে দেখতাম সোনালী সে গাছটার হলুদ বৃষ্টি। পাশে
---
এ পর্যায়ে এসে বিচক্ষণ পাঠককে বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দর্শন-তাত্ত্বিক জ্ঞানচর্চার অংশ হিসেবে বক্ষ্যমান লেখাটিকে কেউ যেন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ছকে ফেলে নিজের মানস-চেতনাকে অহেতুক উৎপীড়িত না করেন এবং উদারনৈতিক যুক্তিশীল অবস্থান থেকেই বিভিন্ন দার্শনিক-মতের নিজ নিজ যুক্তি-তর্কের উপস্থাপন হিসেবে উপভোগ করেন।
---
[justify] নগর পরিকল্পনা বা নগর ব্যবস্থাপনা সারা বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হলেও আমাদের দেশে এটিকে এখনো সেভাবে সবার কাছে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। কিছুদিন পূর্বেও আন্ডারগ্রাড লেভেলে শুধুমাত্র বুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও ছিলনা নগর পরিকল্পনা পড়ার সুযোগ । সম্প্রতি কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট সহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নগর প
[justify]
'হে ম্লান মেয়ে, প্রেমে কী আনন্দ পাও , কী আনন্দ সন্তান ধারনে'
ছোটবেলা ঘরের বেড়ায় এসে হাজির হতো শত শত প্রাণী আর মানুষ। জ্বর ঘন হয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে উঠলে সেইসব প্রাণী আর মানুষদের কেউ লাফাতো; কেউ মিশে যেত একটার সাথে আরেকটা। আমাদের ঘরে বেড়াগুলো ছিল ইকড়ের তৈরি। ইকড় নল খাগড়ার মতো এক ধরনের তৃণ যা পাহাড়ে হয়। লম্বালম্বি ইকড় বিছিয়ে আড়াআড়ি বাঁশের পাত; যাকে আমরা বলতাম খাপ; বাঁশের বেত দিয়ে খাপের সাথে ইকড় আটকে তৈরি করা হতো বেড়া। ঘরের সাথে বেড়া দাঁড় করানোর পর এঁটেল মাটির সাথ
---
ভারতীয় দর্শনে নাস্তিক দর্শন তিনটি হলো চার্বাক-দর্শন, জৈন-দর্শন ও বৌদ্ধ-দর্শন। একটু ভেবে দেখুন তো, পৃথিবীতে জনসংখ্যার আধিক্য বিবেচনায় প্রধান চারটি ধর্মাবলম্বীদের একটি হলো বৌদ্ধ। অথচ এই বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম দাঁড়িয়ে আছে প্রতিষ্ঠিত দুটি নাস্তিক দর্শনের উপর ! কেন এমন হলো এটা একটা প্রশ্ন নয় কি ?
---