[justify]প্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের এক ছড়া সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রিয় ছড়াকারদের নিয়ে বলেছিলেন “আমার প্রিয় দুই সুকুমার, বড়ুয়া ও রায়/ তাদেরই নাম আগে লিখি প্রিয়র তালিকায়”। দুই সুকুমার আমারও খুব প্রিয়। বিশেষত সুকুমার রায় যে সবচেয়ে প্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না, আমার নেয়া নিকটাই বোধহয় এর সবচেয়ে বড় নমুনা। আজকের লেখাটা সুকুমার রায়কে নিয়েই, তবে লেখাটা হয়ত হতো না যদি না আজকের ঘটনাটা
আমার বাবা তাঁর ছেলেবেলায় বাবা-মা'কে হারিয়েছেন। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় যে, সামান্য বুদ্ধি হওয়ার পর বাবা তাঁর এক ভাবীকে জেনেছেন মা বলে, ভাইকে জেনেছেন বাবা হিসেবে। সময়ের পরিক্রমায় তাঁর সেই সম্বোধন টিকে থাকেনি। বালকবেলায় বাবা যখন সেই সত্যটা জানলেন তখন তা কেমন প্রভাব ফেলেছিলো তাঁর শিশুমনে - আমার ভাবনায় আসেনা। ৬৭-৬৮ বছর আগে বিধাতা আমার বাবার জীবনটা একরকম অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই দূর্গম গ
গল্পটা শুরু হোক ভারতীয় আলোকচিত্রী রঘুবীর সিং কে দিয়ে। বলা হয়ে থাকে রঘুবীর সিং পশ্চিমা কোনো দেশে জন্ম নিলে রঙিন আলোকচিত্রের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।
তো সেই রঘুবীর সিং হাইস্কুলে পড়ার সময়ে কোনো এক অলস দুপুরে পারিবারিক লাইব্রেরীতে আবিষ্কার করেন অঁরি কার্তিয়ে ব্রেসোর “বিউটিফুল জয়পুর” নামের বইটি। এই বইটিই পরবর্তিতে রঘুবীর সিং-এর ভবিষ্যত যাত্রাপথ নির্ধারন করে দেয়। তারও একযুগ পরে একদিন বিকেলে রঘুবীর তাঁর সদ্য প্রকাশিত দুটি আলোকচিত্রের বই বগলদাবা করে হাজির হলেন তার প্রিয় আলোকচিত্রী কার্তিয়ে ব্রেসোর ভিলায়। ততোদিনে রঘুবীর নিজেও প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।
এবং আমার ইচ্ছে-সুখের খুব অনাবিল সলতে শিখায় রং মেশে তাই টাপুরটুপুর
যায় ঝরে যায় বিহ্বলতা -- দূরাগত প্রজাপতি তোমার রঙে রাঙায় দুপুর
এক সনাতন ছন্দ ভীষণ, নাম যেন-কি গেছি ভুলে!
নাম ভুলানো ছড়া তোমার জড়িয়ে গেছে একজীবনের সকল সুখে,
একজীবনের সকল রাতে ঘুমপাড়ানো মাসি-পিসীর সরল চোখে
ঘুমের ঘোরে জেনে যাওয়া জীবন মানে কৌতূহলে
কাটিয়ে দেয়া আধেক জীবন -- জীবন তোমার নাম দিয়েছি দ্রোহ!
তারপর ঝুম ঝুম করে মেঘ নেমে আসে। আমাদের ঘিরে ধরে। পর্দার পর পর্দা পড়তে থাকে। চোখের সীমানা ছোট হয়ে আসে। একটা হালকা স্বচ্ছ চাদরে ঢাকা পড়ে আমাদের চারপাশ। মেঘবাড়ির মানুষ আমরা, মেঘেতে হই মশগুল...
তারও আগে, ভোর হবার আগে আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদে, পাশের টিলায়, ঝুম ঝুম শব্দ হয়। বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আলোয় দেখি সেই জলধারা। জঙ্গলযাত্রা শুরু করবো, অপেক্ষা।
পত্রিকায় কাজ করেছি কয়েক বছর। প্রদায়ক হিসেবে। কখনো ফিচার রিপোর্টার হিসেবে। সেটা ভার্সিটি পড়ার সময়ে। পত্রিকায় লিখে যে কয়টাকা পেয়েছি, তাই দিয়ে পড়ার খরচ চালিয়েছি। ভার্সিটি থেকে বেরুবার আগেই অন্য পেশায় এসেছি। তাতে অবশ্য পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ততা বাদ পড়েনি। এখনো কালেভদ্রে লিখি। তাই পত্রিকাওয়ালাদের বদনাম নিজের গায়ে একটু হলেও লাগে!
।।১।।
আমি জ্ঞান-গর্ভ কোন কিছু লিখতে পারি না। প্রথম এবং প্রধানতম কারণ হচ্ছে জ্ঞানের অভাব। তবে এই অভাব থাকলেই যে জ্ঞান সমৃদ্ধ কিছু লেখা যাবে না – সেটা মনে হয় সত্য নয়। পত্র-পত্রিকা বা ব্লগে যেই সব লেখা মাঝে মাঝে পড়ি তাতে মনে হয় জ্ঞান-গর্ভ লেখার পূর্ব শর্ত হিসাবে গর্ভে জ্ঞান থাকতে হবে এই রকম কোন সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা নেই।