যদিও পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে “এতদিন কোথায় ছিলেন?” প্রশ্ন করার মত কোনো অনুরক্ত পাঠিকা আমার জন্যে বসে নেই, তবুও কৈফিয়ত দিয়ে রাখা ভাল যে কিছুদিন আমি নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম ভ্রমণে লাপাত্তা ছিলাম। মানে যেধরনের ভ্রমণে চিত্তের স্ফুর্তি ও উদরের স্ফীতি হয়ে থাকে এক্কেবারে সেরকম ভ্রমণ। বলাবাহুল্য কনফারেন্সের ছুতোয়।
ছোটবেলায় বাৎসরিক পিকনিকে গেলে দুইটা কাজ আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে করতে হত – এক, দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সর্বশেষ স্থান দখল করা এবং দুই, কর্কশ টিনের মাইকে মিহি গলায় সূরা এখলাস তেলাওয়াত করা। দ্বিতীয়টা কোন পরিকল্পিত ইভেন্ট না; বাবা আমার হাফেজি এলেম জাহির করতে মাইকের কাছে টেনে নিয়ে যেতেন। টেনশনের কারণে সূরা এখলাস মনে করতে না পারলে বাবা বলতেন ‘দুই লাইন আজান শুনায়ে দাও’।
আর্টিস্ট মুর্তজা বশীর গাড়ি কিনলেন, তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সেই গাড়িতে চড়ে নিউমার্কেট গেলেন। গাড়ি পার্ক করে রেখে নিউমার্কেটে কেনাকাটা শেষ করে অভ্যাসবশত রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। অনেকক্ষণ পরে মনে পড়লো, তিনি তো একটা গাড়ির মালিক! গাড়ি তখনো নিউমার্কেটের সামনের রাস্তায় পার্ক করা!
বাংলাদেশের দেক্ষিনে বঙ্গপসাগর অবস্থিত। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা আছে। আর এ নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধ ছিল দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে। ভারত চাইতো তারা যেন বেশি সংখ্যক জায়গা তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকে। অপর দিকে মিয়ানমার চাইতো তারা যেন বেশি জায়গা পায়। আর এ নিয়ে দুদেশের সাথে বাংলাদেশের বিরোধ লেগে ছিল। স্বাধীনতার পর যে বিরোধের সূচনা তার কিছুটা হয়তো নিস্পত্তি হয়েছে। বাংলাদেশ যে
[justify] প্রথম পর্বে বলেছিলাম আমার র্যাগের দিনগুলোতে সবসময়ের সাথী সেই মেরুন রঙের ডায়েরীটার কথা। আমরা বুয়েটের একটি কালো অধ্যায়ে আমাদের আন্ডারগ্রেডের জীবন শেষ করছিলাম। আমাদের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিষ্টার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের এপ্রিলে আর শেষ হয়েছিল অক্টোবরে। শেষ বলতে বুঝাচ্ছি ক্লাস শেষ হওয়া। এর পরে পরীক্ষা, ফলাফল এবং হল ছাড়তে ছাড়তে ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারী। ২০০২ সালের এপ্রিল আর অক্টোবরের মাঝে একটি দিন, ৮ জুন। দিনটি কখনই ভুলে যাবার নয় এই জীবদ্দশায়। সেদিন কি এক কারনে বুয়েটে ক্লাস হলোনা। আমরা বন্ধুরা মিলে রিকশা চেপে প্রথমে হাতিরপুলে বিগ বাইট ও পরে ইস্টার্ন প্লাজায় আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে তিতুমীর হলে দোতালায় এক বন্ধুর রুমে টিভিকার্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ করে বেশ কয়েকটা কান ফাটানো শব্দ, আমাদের বুঝতে বাকী রইলনা ভয়াবহ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আমার সাথে ছিল বন্ধু ওয়াসিম। আমরা দুইজন হামাগুড়ি দিয়ে রুম থেকে বারান্দায় চলে আসলাম। এসে দেখি পুরো বারান্দায় সবাই ফ্লোরে শুয়ে রয়েছে। চলতে লাগল প্রচন্ড গুলির শব্দ। আমরা আরো নিরাপদে সরে যাবার জন্য আস্তে আস্তে গড়াগড়ি দিয়ে সিড়ি বেয়ে চার চলায় উঠে গেলাম। গুলির শব্দ থেমে গেলে হলের নিচে নেমে আসলাম। বের হয়ে শুনি ’৯৯ ব্যাচের সনির গুলিতে আহত হবার কথা। আমরা বন্ধুরা সবাই চলে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে। সনি খুব বেশিক্ষণ বেঁচে থাকেনি। এই অরাজকতার দেশটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।
প্রদোষচন্দ্র মিত্র নামের মানুষটিকে আমার অতিমানব বলে মনে হত, চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠত জ্বলন্ত চারমিনার হাতে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি নিয়ে বসে থাকা এক যুবক, দুর্ধর্ষ শত্রু মগনলাল মেঘরাজকে নাস্তানাবুদ করার প্ল্যান আঁটতে থাকা, তার সাথে তোপসে আর লালমোহনবাবুকে আমি সত্যি সত্যি হিংসা করতাম। তখন আমি ছিলাম এক ভিন্ন জগতের বাসিন্দা, অনন্যসাধারন সেই জগতে এই ত্রিরত্নের সাথে আমি নিয়মিত ঘুরে বেড়াতাম কখনও বোম্বাই, কখনও কা
চুষবে তুমি রক্তচোষা-
রক্ত তুমি চুষবে সস্তা দামে?
ঠোট-জিহ্বা, গালের কশা
টকটকে লাল রক্ত এবং ঘামে।
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন দেখা দিল। নখটা তুলে ফেলতে হবে। অভিজ্ঞ জনেরা বললো নখ তুলে ফেললে সেখানে আবার নতুন নখ গজায়। তাই দৌড় দিলাম মেডিকেল এ। কোন কাজ আমি সাধারনত একাই করি। এক্ষেত্রেও আমি একাই মেডিকেল এ গেলাম। সরকারী মেডিকেল গুলোতে খরচ অনেক কম তাই মানুষও প্রচুর। আমি ১০টাকা দিয়ে জেনারেল সার্জারীর একটি টিকেট কাটলাম। টিকেটটাই প্রেসক্রিপশন। জেনারেল সার্জারীতে তুলানা মূলক
"মা আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে। হাতে এক ঘন্টা মাত্র!"
ফিজিক্স বইটা হাতে নিতে গিয়ে আয়নায় চোখ পড়লো হঠাত। কাছে গিয়ে দেখতে পারলাম, কেমন যেন একটা বলয়। যার মধ্যে কি যেন একটা আটকা পড়েছে যেন। দিনে দুপুরে হ্যালুসিনেশন!