“আওয়ামী লীগ বুঝে গেছে তারা ছাড়া আমাদের আর ভরসা নেই। ভোট আমরা আ-লীগকেই দেবো।“
বন্ধুর মুখে এ কথা শুনে চমকালাম। জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা মানে কারা?”
“আমরা মানে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চাই, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চাই না।"
শ্রীমতী এমা ওয়েজউডের বয়স তখন তিরিশ পেরিয়েছে। বাড়ির দাদা ও দিদিরা সবাই বিয়ে-থা করে অন্যমুখো। কেবল এক দিদি বাড়িতেই থাকেন, তাঁর হাড়ের অসুখ, বিয়ে হয়নি; এই দিদি, শয্যাশায়ী মা আর বুড়ো বাপের দেখাশোনা এমা’কেই করতে হয়। তাঁর নিজেরও এই বয়সে আর বিয়ের আশা নেই বললেই চলে।
আমানুল হক আলোকচিত্রী ছিলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সত্যজিৎ রায়, চিরায়ত বাংলা.. অমূল্য সে সংগ্রহ
যারা বিচিত্রার ঈদ সংখ্যার প্রচ্ছদের সাথে পরিচিত ছিলেন, তাদের জন্য হয়তো চিনে ফেলাটা একটু সহজ..
কিছুক্ষন আগে তিনি মারা গেছেন (রাত সোয়া নয়টা বাংলাদেশ সময়)
সচলায়তনের কিছু মানুষ তাকে নানাভাবে চিনতেন বলে এখানে পোস্ট দিলাম..
গণজাগরণ মঞ্চ কার্যক্রম শুরু হবার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। ঘটনাক্রমে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকার্ড খেলা শুরু করেছে। রাজনীতির মঞ্চে নতুন উদয় হওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত হেফাজতে ইসলাম এই মুহুর্তে রাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা দখল করতে পেরেছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটের বলি হচ্ছে ব্লগাররা ও ব্লগের মতো স্বাধীন মতপ্রকাশের মাধ্যম। ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের প্রতিনিধি হয়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চও তার প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী বিকশিত হতে পারছে না।
বাংলা ব্লগের ইতিহাস ২০০৬ থেকে। শুরু থেকেই সেখানে ছাগুরা মুখ দিয়ে, ল্যাদায়ে, বেসবল ব্যাটের ও জাহান্নামের অনন্ত আগুনের ভয় দেখায়ে এটাকে নিজের টার্ফ বানাতে বহু চেষ্টা করছে। ইতিহাস সাক্ষী, রাতের পর রাত জেগে আম ব্লগাররা পেইড ব্লগারদের সেই ল্যাদানি ছাগুদেরকেই গিলাইছে, অনলাইন ময়দান ছাগুময়দান হতে পারেনাই। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক প্ল্যাটফর্ম হইছে, ছাগুদের ও একটা বানানো হইছে; কারন ততোদিনে তারা জানে ব্লগ ক
সারাদেশে মহাসমারোহে শিবিরের ডাকা হরতাল চলছে...
প্রস্তুতি চলছে লংমার্চের...
গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করতে বলা হয়েছে, রুমি স্কোয়াডের অনশন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে...
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমার ব্লগ, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্লগারদের...
ইউটিউব তো আগে থেকেই বন্ধ...
একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব কটা জানালা... যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, তারা আর চুপি চুপিও আসবে না হয়তো...
১
বেদচর্চিত যুগে, ব্রাহ্মণ শাসিত সমাজে বসে চার্বাক বলেছিলেন, "ভন্ড, ধূর্ত আর নিশাচরেরাই বেদের কর্তা"। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন "বিশ্বজগৎ নিজের নিয়মেই ভাঙে, গড়ে, তার জন্য সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দরকার নেই"। নৈতিকতার পাশব মানদণ্ড লোভ আর ভয়ের অসারতা তুলে ধরে বলেছিলেন, "স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই, আত্মা অবিনশ্বর নয়"। প্রাচীন ভারতের বস্তুবাদী এই দর্শন গ্রন্থিত হয়েছিল। যুক্তিতর্ক দিয়ে ঈশ্বরকে নাই করে দেয়া দর্শনের কপালে যা জোটা স্বাভাবিক, চার্বাক দর্শনের বইগুলো পুড়িয়ে দেয়া হলো।
প্রথমবার যখন এক বন্ধুকে ভালোবেসে ফেলেছি, আমার বিশ্বাস হতে চায়নি! বন্ধুকে বললাম, তোকে ভালোবেসে ফেলেছি। বলে আমরা দুজনেই খুব হাসলাম। এখনো সেই ঘটনা আমার বিশ্বাস হতে চায়না। মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছি। ভালোবাসার মতো দারুণ একটি বিষয়ও হয়তো কোনো কৃতিত্বের বিষয় হতে পারতো। কিন্তু সে-ও হয়নি। যাঁদেরকে ভালোবাসা উচিত, তাঁদেরকে ঠিকঠিক ভালোবেসে ওঠা হয়না। আম্মার খেয়াল রাখার দরকার ছিল। আমি আম্মার খেয়াল রাখিনা। আম্মা আমার খেয়াল রাখেন ৯ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে। ওনার কখনো ভুল হয়না। আমার কেবলই ভুল হয়ে যায়। আমার সহোদরাদের খোঁজও আমি কিছু রাখিনা। ওরা আমার খোঁজ রাখে। ভালোবাসায় আমি নিতান্ত ব্যর্থ একজন মানুষ। ভাবলেই আমি দারুণ ক্ষীণ, নিতান্ত ক্ষুদ্র বোধ করি নিজেকে।
আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?
সোনালী ঝর্ণা থেকে রবিন যখন আলোর সংকেত দিচ্ছে ঠিক তক্ষুণি কলিং বেল বেজে উঠলো। বই বন্ধ করে চাবি হাতে নিচে গিয়ে দেখি আব্বু এসেছেন। ঘরে ঢুকে আব্বু হাতে নীল পলিথিন এর ব্যাগটা হাতে দিয়ে বললেন গামছাটা নিয়ে আসো তো বাপ। ব্যাগের বাইরে থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে ভেতরে কমলা। আব্বুর হাতেও আর কিছু নাই। আব্বু কি ভুলে গেছেন?