।।১।।
শৈশব নিয়ে অনেক লিখেছি। আমার সব লেখাতেই সে উঁকি মারতে আসে, দেখে মনে হয় সব ব্যাপারেই তার কিছু অভিমত আছে; এমনই নাছোড়বান্দা সে। আজকে অনেকদিন পরে কলম (নাকি অভ্র?) ধরলাম – আর ধরা মাত্রই সেই ব্যাটা এসে হাজির। মেহদীকে জিজ্ঞেস করতে হবে, অভ্রের সাইড এফেক্ট হিসাবে এটার কথা উল্লেখ আছে নাকি কোথাও।
শাহবাগের গণজাগরণের হলদে সাংবাদিকতার ঝান্ডাধারি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাবির ২৫০ শিক্ষক এক বিবৃতি দিয়েছেন বলে দৈনিক সংগ্রামে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পত্রিকায় বিবৃতি আসে বিবৃতি যায়। অনেক সময় মূল কথা সেখানে থাকে না বা থাকলেও জায়গার সীমাবদ্ধতার কারণে বিবৃতির অনেক লেখা প্রকাশিত হয় না। তো ঢাবির আড়াইশো' শিক্ষক যেহেতু কোন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেহেতু আমার আগ্রহ ছিলো কোন সে আড়াইশো' শিক্ষক যারা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তারা ঠিক কী বলেছেন। ফেইসবুকে হদিস জানাতেই এক সৃহৃদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মেইল করে দিলেন।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। দেশের সৃজনশীল লেখক পাঠকদের মিলনস্থল এই মেলা। এটা তথাকথিত এবং সকলের জানা একটা কথা। এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন এমন কেউ কি আছে এই দেশে, থাকতে পারে?
দুষ্টুদের সাইজ করার একটি সহজ টেকনিক ... ...
শাহবাগ আন্দোলনের ১৭তম দিনে পুরো ২৪ ঘণ্টা প্রতি ৩০ সেকেন্ড পরপর ছবি তুলে বানানো হয়েছে প্রায় দুই মিনিটের এই টাইম-ল্যাপস ভিডিওটা। শাহবাগ আন্দোলনের বিশালত্বকে ধরে রাখার আরেকটা প্রচেষ্টা বলতে পারেন।
বেশ কদিন ধরেই খবরের কাগজে দেয়া বইয়ের বিজ্ঞাপনগুলো রোদেলার চোখের ঘুম কেড়ে নিচ্ছিল। গতবার মনের সাধ মিটিয়ে বই কেনা হয়নি ওর। বাপরে বাপ, কী ভিড় স্টলগুলোর সামনে!
জুমার খোতবায় ইমাম সাহেবকে বলতে শুনলাম, "যারা নবীকে অপমান করে ব্লগ লিখেছে তাদের কঠিন গুনাহ হবে। যারা এসব পড়বে তারা গুনাহগার হবে, যারা প্রচার করবে তারাও গুনাহগার হবে। যারা ইতিমধ্যে পড়েছেন তারা তওবা করুন, যারা পড়েননি, তারা ভুলেও পড়বেন না"।( বাস্তবতা হলো যে নাস্তিক ব্লগ হয়তো ১০০ জনও পড়েনি আগে, জামাত শিবির আমারদেশ ইনকিলাবের সৌজন্যে সেই ব্লগ পড়া হয়ে গেল কয়েক লক্ষ মানুষের। এতগুলো মুসলমানের গুনাহের দায়িত্
একটা বই কিছু অংশ পাঠ আর পডকাস্ট শুনে নতুন কিছু জানলাম, যা অন্যদের কাছে পুরাতন হতে পারে।
(কারন বইটির চলিশ লক্ষাধিক কপি বিক্রয় হয়েছে, ইদানিং বাংলা অনুবাদও বের হয়েছে শুনলাম)
প্রথমেই বলি আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তিটি কি? সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে ইন্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটে প্রথম “মুক্তির গান” দেখি। আমার কিশোর মনে প্রচন্ড দাগ কেটেছিলো “মুক্তির গান”। বাসায় ফিরে আমি ওই যোদ্ধাদের মত বলতে চেয়েছিলাম, জয় বাংলা। দুর্ভাগ্য আমার, কৈশোর পার হয়ে, যৌবনের শেষ প্রান্তে এসেও আমি দীপ্ত কন্ঠে স্লোগান তুলতে পারিনি। অবশেষে শাহবাগ আমাকে সুযোগ করে দিলো সেই অহংকারি উচ্চারনটির। আমি শাহবাগের কাছে চির-কৃতজ্ঞ।
শৈশবের সব স্মৃতিই মধুর তবুও তার মধ্যে আলাদা করে ভাবতে গেলে মনে পড়ে যায় প্রথম প্রভাত ফেরীতে যাবার ভোর বেলাটি। তখন বয়স ঠিক কত ছিল আজ আর মনে নাই, শুধু মনে আছে সেদিন রাত থাকতেই ছোট চাচা ঘুম থেকে টেনে তুলেছিলেন। ঘুম ভেঙে অবাক হয়ে বলেছিলাম এখনও তো রাত। সেদিন বেশ ঠাণ্ডা ছিল রাজশাহীতে, ঘুম ভাঙ্গার পর লাল লাল ফুল তোলা ফ্লানেলের পোশাক পরে চাচার এক হাত ধরে বাইরে আসা। অন্য হাতে আগের সন্ধ্যায় চাচার সাথে শিরইল স্কুলে গিয়ে তোলা ফুল।