[justify]অফিস থেকে ফেরার সময় হলে ও আজকাল তেমন তাড়া লাগেনা মনে। সবাই কেমন ছটা বাজতেই বাসার দিকে ছুট দেয়, শুধু আমার মত হতভাগা যারা অনেকের মাঝে থেকে ও এই শহরে বড্ড একা তারাই অফিস থেকে বের হতে গড়িমসি করতে থাকে। আজকে ও বের হতে হতে ঘড়ির কাটা সাড়ে ছটার ঘর পেরিয়ে সাতের দিকে চলে যায়। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হেড-ফোন কানে গুজে দিয়ে ফোনে ডেভিড গেরেটকে খুঁজতে থাকি রোজকার মত।বাসস্টপে আসতে আসতে গ্যারেট সাহেব
[justify] আজকে নাহয় মাহিন বাবুর গল্প বলি-
কড়ে আঙ্গুলের সমান একটা মানুষ যদি তার আশেপাশের সব মানুষকে নাকানি চুবানি খাওয়াতে থাকে তার হাঁটতে শেখার বয়স থেকে তাহলে তাকে কি বলা যায়?!
[justify]মাঝে মাঝেই বাড়ীতে আব্বার কাছে ফোন করে ঘ্যান ঘ্যান করি,ডাক্তার হবনা। আসলে এই আক্ষেপটা এমনি এমনি তো আর আসেনা,সারাক্ষন পরীক্ষা, ক্লাস, ওয়ার্ড সবকিছু নিয়ে ত্যাক্ত-বিরক্ত এই আমি। তার উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে মনের ভিতর সারাক্ষন একটা আশংকা ,এই বুঝি কোন অপরাধ করে ফেললাম, কোন স্যারের চোখে পড়ে গেলাম-তাহলে তো সাড়ে সর্বনাশ ,আর পাস করা লাগবেনা কোন প্রফে।
একটুকরো কাগজ উড়ে যাচ্ছে,
তাতে ছিলো না জন্মানো কবিতার কয়েকটা পংক্তি,
সেই মৃত ভ্রূণটিকে বুকে নিয়ে চলে
যাচ্ছে ধাত্রী, ওদের পিছনে সূর্যাস্তের লাল আকাশ।
সেদিকে চেয়ে থাকি জ্বরঝাপসা চোখে,
অন্য এক পৃথিবীর স্বাদ লাগে জিভে।
'সাওনা তে যাবে নাকি কাল?'
শনিবার সকালের 'ব্রাঞ্চ' খাচ্ছিলাম। তাকিয়ে দেখি হাসি হাসি মুখে মার্ক্কু দাড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে মার্ক্কু-র সাথে আমার 'দ্বৈতাবাস' (দেশে থাকতে একবার এক দরখাস্তে 'দ্বৈতাবাস'-এর অনুমতি নিতে যেয়ে, 'দ্বৈতাবাস' এর জায়গায় 'সহবাস' লিখে ফেলেছিলাম, কি বিব্রতকর পরিস্থিতি!)। ফিনল্যান্ডে আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হোস্টেল' বলতে ছোট ছোট দুইতলা কাঠের বাড়ি। এক বাড়িতে চারটা করে এপার্টমেন্ট, প্রতি এপার্টমেন্টে দুইজন বাসিন্দা। আমার সাথে থাকে মার্ক্কু। তাগড়া জোয়ান ছেলে, স্থানীয়। যে কোনো 'আজাইরা' জিনিসে আমার অযাচিত আগ্রহ দেখেই বোধ করি প্রস্তাবটা দিল। তাছাড়া মার্ক্কুকে সেদিন নারকেল দুধ আর ডিমের সালুন করে খাওয়ানোর পর থেকে ছেলেটা আমাকে বেশ তোয়াজ করে চলছে।
কিছুক্ষণ আগেই ঘোষিত হলো বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড।
গত একচল্লিশ বছর ধরে যে তীব্র বোঝা আমরা জাতি হিসেবে বয়ে চলেছি, আজ তা খুব সামান্য হলেও লাঘব হলো। বাচ্চু রাজাকার পলাতক, তদুপরি আপীলে সুযোগ আছে- তবুও এ রায় নতুন দিনের সূচনা। যে অপরাধবোধ এই সুদীর্ঘ সময় আমাদের তাড়া করে বেড়িয়েছে, যে বিচার একসময় অসম্ভব বলেই বোধ হতো, আজ তা বাস্তব হলো।
হঠাৎ তাকিয়ে দেখি আমাদের বিছানার মাঝে সারি সারি বিলের পাহাড়। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল... বিল বিল বিল। বিলি বিলি বিলি। টক টক যোগ করে যায় ক্যালকুলেটর।
বিলের বখরা নিয়ে ঘর হিম। বাইরে তাপমাত্রা ১৭ডিগ্রি ফারেনহাইট।