বুয়েটের পাঁচ বছর মোটামুটি ঘোলাটে একটা সময়। কখন কী করেছি তার প্রায় কিছুই মনে নাই। তবে ফোর্থ ইয়ারে এসে মনে হয় আমাদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্স নিতে হলো। সেইখানে গ্রুপ প্রজেক্ট দেয়া হলো আমাদের ক্লাসরুমকে ভেন্যু হিসাবে রেখে কলম খেলার একটা গেইম বানানো। সারভাইভাল টেকনিক হিসাবে আমি বরাবরই ভালো কাজ পারে এমন ছেলেপুলেদের গ্রুপে জুটে যেতাম। এবারো বাপ্পি আর অভির সাথে গ্রুপ করে ফেললাম।
আমি ততদিনে দুনিয়াবি সকল বিষয়ে নির্বাণ লাভ করে ফেলেছি। গ্রেড, প্রজেক্ট কমপ্লিশন, ভালো প্রজেক্ট করে প্রচুর "বস!" শোনার লোভ (লাইকপূর্ব যুগে এটা একটা বড় কারেন্সি ছিলো) ইত্যাদি কোন বিষয়েই বিন্দুমাত্র আগ্রহ না দেখিয়ে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এই উপলব্ধি আর সাথে কম্পিউটার গ্রাফিক্স দিয়ে ম্যাজিক ঘটানোর উৎসাহে দুই গ্রুপমেটই আমাকে একদিন বললো, "তোর কিছু করা লাগবে না, আমরা দুই জন মিলে পুরা প্রজেক্ট নামায় দিবো।" ফেরেশতার মত দুই গ্রুপমেটের কথায় আমি একবারে আপ্লুত হয়ে রুমে ফিরে এসে ল্যান থেকে পাওয়া বাংলা নাটক দেখা শুরু করলাম।
বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগো
জীবনেরা হাসপাতালে আইসা বড়ো অদ্ভুত টিটকারি মারে
ন্যাড়া ন্যাড়া ডালে পাতা নড়ে; কেউ বলে নাই তবু নড়ে; বেহুদাই
খামাখাই পাখি উড়ে
কোনো কাম নাই তবু গাভিন লেঙ্গুড় নিয়া মৌমাছি ঘোরে
গাড়িরাও ফুটাঙ্গি করে; জানালার বাইরে; অযথাই…
অথচ ভিতরে কত মহাজন ওষুদের হাতে পায়ে ধরে- কিঞ্চিৎ চাগায়ে দাও;
আরো কিছুদিন খাইয়া হাগার মতো বহুত দরকারি কাম পড়ে আছে মোর…
২০১৮.০২.১৬
নতুন বাসা এবং নতুন অতিথি
মনে করেন বিকালবেলা চা আর মুড়ি নিয়া বসে আছেন। আরামে পড়ছেন সচলায়তন। এমন সময় কুথা থেকে এক জ্বীনের বাদশা এসে কইল ওরে সুনা। আছিস কেমন? কী কচ্ছিস? আপনি কইবেন এই তো বাদশা সায়েব। পপি গাইড পড়ছি। মোগল হওয়ার বাসনা। আপনি কেমন?
জ্বীনের বাদশা তখন খলখল করে হেসে ধরেন কইবে, দুত্তোর পপি গাইড। এই সব বাদ দে। মোগল হতে চাস? আকবর করে দিতে পারি, হতে চাস আকবর?
আপনি তো খুশিতে উত্তেজনায় লুঙ্গিতে পিশাব করে দিয়ে বলবেন, আকবর? ও আল্লা আকবর? অবশ্যই হতে চাই।
আবার খলখল করে বিশ্রী হেসে জ্বীনের বাদশা তখন কইবে, যা তবে হয়ে যা - মুহম্মদ আকবর। ফুঃ!!
মুহম্মদ আকবর?
ঝিলম নামে বাংলায় কোনো শব্দ নাই। কেন নাই কে জানে। অথচ এইটা একটা বহুত দরকারি শব্দ হইতে পারত। এমনকি যেইসব অঞ্চলের মানুষেরা ‘জাড়ুর জ’ কইয়া ঝ বর্ণ চিনায় তারাও কিন্তু শব্দটারে এক উচ্চারণেই বুঝাইতে পারত অন্যদের। কিন্তু তারপরেও কেন যেন শব্দটা বাংলা ভাষায় ঢোকায় নাই কেউ…
শিক্ষা মন্ত্রীর কথা আলাদা, তিনি তো বলতে গেলে নমস্য ব্যাক্তি। তবে আমাদের অর্থমন্ত্রী যেন ছয় নম্বর রুটের বাস ড্রাইভার। ভদ্রলোকের উপর কারও আস্থা নেই, তাঁর কাজটা তিনি ছাড়া আর সকলেই বোঝেন। সে তুলনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর চাকরিটা বেশ আরামের, পাইলটদের মতো। মাঝ আকাশে বিমান এক দুবার ঝাঁকুনি খেলে লোকজন একটু নড়েচড়ে বসেন। ঝাঁকুনির তীব্রতা বেড়ে গেলে ঘনীভূত হয়ে আসে সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁদের অব্যাক্ত প্রেম,
মনে আছে, তোমায় গল্প করেছিলাম - কৈশোরে দেখা সে মায়াবী আলোর খেলা?
রক্তকরবী। মঞ্চে নারী ও পুরুষ, হাতের মুঠোয় হাত। মাত্র কয় পা হেঁটে তারা পার হয়ে গেল – যেন, অনেক দূরের পথ!
আমরাও।
তেত্রিশ বছর। কত দূর, কত-ও দূ-ঊ-র! জীবনের রঙ্গমঞ্চে, চোখের সামনে, সেদিনের তরুণ-তরূণী – আজ প্রায় আবছায়া। রূপালী মায়ার খেলা!
শুধু, তুমি আছ তাই, খেলা চালু আছে। না হলে আউট!
বেড়াতে যাচ্ছিলাম বউয়ের সাথে। বউয়ের বন্ধুবান্ধবীর একটি অনুষ্ঠানে, একসাথে হৈ চৈ আনন্দ যাত্রা। সেখানেই সেই ব্যাপারটির সুত্রপাত।
প্রথম দেখাতে খেয়াল করিনি অত। বাসে ওঠার সময় বউ তার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে এক এক করে পরিচয় করাচ্ছিল, তখনই প্রথম দেখি ওকে এবং সৌজন্যের হাসি দিয়ে নিজের আসনের দিকে এগিয়ে যাই।
[justify]শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘নয়নশ্যামা’ খুব একটা আলোচিত উপন্যাস নয়। এই উপন্যাসকে ভিত্তি করে ১৯৮৩ সালে নীতিশ মুখোপাধ্যায়ের বানানো সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, প্রবীর রায়, সন্তু মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক প্রমুখ অভিনীত ‘নয়ন শ্যামা’ চলচ্চিত্রটি আরও অনালোচিত, কারণ সেটি সিনেমা হলে কখনো