কুতবেতিন বারানের সাথে আমার প্রথম দেখা ইউনিভার্সিটির ল্যাবে, ২০০৩ সালের বসন্ত তখন। গলায় মোড়ানো লাল-সাদা আরব স্কার্ফ, হাতে ভারী ভারী দুখানা বই, মুখে উচ্ছল হাসি আর চোখে খাঁটি মানুষের সারল্য। দেখেই খুব আপন মনে হয় এমন এক ব্যক্তিত্ব সে, (যদিও আরবদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা খুব সুবিধার না হওয়ায় সহসা এগোনো হয় না )। জিজ্ঞাসা করলাম নাম কী বড় ভাই( আমার চেয়ে ঢের বড় বয়সে)? বাড়ী কোন দেশে?
সময়টা সম্ভবত ১৯৬৪ সালের শেষাংশ। দক্ষিণ বঙ্গের খুলনা শহর। আমরা তখন ২০-২৫ জন ছাত্র, স্কুলের ছুটির পর আবার কোন কোন দিন টিফিন পিরিয়ডের সময় রাস্তায় মিছিল করতাম। আমাদের নেতা কিন্তু আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিলেন না। তিনি আমাদের স্কুলের সিনিয়র ছাত্রদের সাহায্যে কিছু ছাত্র যোগাড় করে মিছিলের নেতৃত্ব দিতেন। আমরা বিভিন্ন মহল্লায় সরু সরু রাস্তায় মিছিল করতাম। মিছিলের পুরোভাগে থেকে নেতা শ্লোগান দিতেন, 'ভোট
[justify]বাংলাদেশের কোন দায় নেই পাকিস্তানকে সতী-সাধ্বী প্রমান করার। বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফর কোন পূর্বনির্ধারিত সফর নয়, আইসিসির সম্ভাব্য সফর-সূচীতে এই সফরের কোন অস্তিত্ব নেই, অস্তিত্ব নেই পিসিবির সূচীতেও। আইসিসির তরফ থেকে এই সফরের জন্য কোন চাপ নেই, যা আছে তা একমাত্র লোটা-পাপনের চাপ।
ইদানীং যে প্রশ্নটা শুনলে মাথার এক হাত লম্বা চুলগুলো পুরো খাড়া খাড়া হয়ে যায় তা হচ্ছে- আপনি কি বিবর্তনে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নটা শোনা মাত্রই যে ধারণাটা প্রশ্নকর্তা সম্পর্কে করা যায় তা হচ্ছে সে বিবর্তন সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, লোকমুখে ভাসা ভাসা কিছু শুনে শব্দটা জেনেছে, এখন জ্ঞান কপচানোর জন্য এমন ফালতু একটা প্রশ্ন করে বসেছে।
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
ফেসবুকেতে বন্ধু আমার লোকটি বড় শান্ত
তার যে এমন কঠিন ব্যারাম কেউ কখনো জানতো?
দিব্যি ছিলেন খোশ মেজাজে স্ট্যাটাস খানা ছেপে
একলা বসে কমেন্ট পড়ে হঠাৎ গেলেন ক্ষেপে।
গর্জে উঠে হাত পা ছুড়ে চোখটি করে গোল
করেন কমেন্ট - "সাবধানেতে , মুখটা তোদের খোল!"
যথাসময়ে লামু ছাড়লাম আমরা-
এই ছিল প্রথম লাইন, মাথার কোষে কোষে গেঁথে গেল একেবারে, এখনো অন্ধকারে সামান্য আলোকপাতে স্তূপকৃত মণিমাণিক্য যেভাবে জ্বলজ্বল করে ওঠে, তেমনি এই শব্দমালা মুহূর্তের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আলো ঝলমলে শৈশবে। পাশের বাড়ী থেকে ধার করে আনা আধা ছেঁড়া ইয়া মোটা এক নিউজপ্রিন্টের বই, এমনই বাজে ভাবে ছিঁড়েছে যে প্রথম অধ্যায়ই নেই!
আজকের এই লেখাটি একটি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার লেখা; দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর ধরে টিভিতে কাজ করার ফলে, বিশেষত ইংলন্ডে টানা প্রায় ১০ বছর কাজ করার সময় অগুনতি মানুষের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছি পুরো ইয়োরোপ জুড়ে। তাদের সকলের কাছে, যারা দিনের পর দিন আমাকে মতামত জানিয়ে সাহায্য করেছেন, যারা অন্তত একদিন হলেও আমার যে কোন অনুষ্ঠান দেখেছেন, আমার সহকর্মিরা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পর্দার আড়ালে থেকে আমাকে পরিচিত মুখ ক
‘এডুকেশন ছাড়া বের হওয়ার কোন রাস্তা নাই, বুঝছ। তোমাদের পড়তে হবে, অনেক পড়তে হবে। শুধু টেক্সটবই পড়লেই চলবেনা’ তানভীর ভাইয়ের কথায় আমরা সবাই মাথা নাড়ি বিজ্ঞের মত। তানভীর ভাই অনেক স্কলার লোক। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, চোখে মাইনাস সিক্স পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ারের মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। দেখলেই বুঝা উনি আসলে একটা জিনিস। উনার রুম ভর্তি খালি বই আর বই। আর দেয়ালে দাড়ি ওয়ালা কত গুলা মানুষের পোস্টার লাগানো। আ