ডিসেম্বর হচ্ছে বিজয়ের মাস, আবেগের মাস, বেদনার মাস, অহঙ্কারের মাস, ইতিহাস সৃষ্টির মাস।
[justify]পিচ্চিকালে গাছ থেকে বাদুড় ঝোলা দেখতে যাওয়া আমার অন্যতম পছন্দের কাজ ছিল ।প্রায় সন্ধ্যায় সেজ মামার হাত ধরে পদ্মা নদীর পাড়ে, শাহ্ মখদুম কলেজের ধারে যে বিশাল প্রাচীন বটগাছটা ছিল,সেখানে বাদুড় ঝোলা দেখতে যেতাম। সেইসব সন্ধ্যায় কালো কালো বাদুড়ের উল্টামুখো ঝুলে থাকা দেখে আমি খুব রোমাঞ্চিত হতাম। কি ভীষণ রহস্যময় মনে হত সেইসব সন্ধ্যাগুলো। তারপর একদিন একটা গল্প পড়লাম বাদুড়দের নিয়ে। একটি
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা
"বিশ্বজিৎকে ছাত্রদল মেরেছে বস, খোঁজ নিয়ে দেখেন।"
"শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে সবাই মাতছে কেন? ঐদিন তো আরো ৩জন মারা গেছে হরতালের সহিংসতায়। সুশীল/মানবতাবাদীরা শুধু বিশ্বজিৎকে নিয়ে পরে আছে কেন?"
"বিশ্বজিৎকে যারা মেরেছে তারা শিবির, ছাত্রলীগে ইনফিল্ট্রেট করেছে। ছাত্রলীগের বদনাম করতে।"
টুসটাস করে কি যেন ফুটছে। আরে সাথে একটা গান চলছে ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে এক টুকরো রোদ এসে পড়ছে গায়ে। শীতের সকালের রোদ। তাকিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই কোত্থেকে যেন সাইকেলের চাকা মোড়ানো থাকে যেই ছোট ছোট ফোটকাওয়ালা প্লাস্টিক দিয়ে, সেটা নিয়ে ফোটাচ্ছে আর সুর করে পড়ছে, ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। আমি ডাক দিলাম, ‘নিষাদ, কি করছ!’ সাথে সাথে ভদ্র মানুষের মত
[justify]দখিনের দরোজা আর জানালা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর ব্যাপক আকুলতা আছে, কিন্তু চোখ খুলে দেখার প্রয়োজন আছে সব দিক দিয়ে। আমি গত তিন বছর দখিনে থেকেও সারা বাংলাদেশে কাজ করেছি, দেখেছি সব আছে আমাদের কিন্তু মানুষের সবকিছু মেনে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। আর কিছু জিনিস শুধু আকার-আয়তন নয়, বরং মন্ত্রণায় বেড়ে গেছে বহুগুণ বেশি। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু কিন্তু সেই ধর্মভীরুতা
।।১।।
গত কয়েক বছর হল হরতালের দিনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আসে।
এলার্মবিহীন একটা সকাল, প্রতিদিনের ছক ছাপিয়ে আরেকটু বেশি আরাম, আরেকটু বেশি আলসি, আরেকটু বেশি সময় নিয়ে নাশতা, আরেকটু বেশি পেপারে নাক গুঁজে থাকা, কেতাবী পোশাকের ধার না ধেরে গ্রামীণের ফতুয়া আর ঘিয়ে রঙ্গা গ্যাভার্ডিনেই অফিসমুখো হওয়া, নিত্যদিনের বাস ভুলে বাসার সামনেই বসে থাকা রিকশায় চড়ে বসে কানে ইয়ারফোন- চুপচাপ শহরে ঘুমন্ত শহর দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়া, এর আকর্ষণ অন্যরকম।
ছোটখাটো জমে থাকা অগোছালো কাজগুলো গুছিয়ে নেয়ার একটা দিন, একেকরকম অভিজ্ঞতায় ভরা ছোটখাটো গল্পগুলো শুনে ফেলার দিন অথবা খালি হয়ে থাকা ফ্লোরে শাহানা বাজপেয়ী’র গলায় ‘তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে আমি ডুবতে আছি’ আর অর্ণবের গলায় ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’ গার্ন্ধবলোক অর্কেস্ট্রার সাথে বন্যার গাওয়া ‘আনন্দধারা বহিছে ভূবনে’ গুনগুনানোর দিন।
আমাদের সকলের প্রিয় সচল মৃদুল ভাইয়ের রাজাকার বিষয়ক একটা ছড়ার আবৃত্তি নিয়ে এলাম আজকে।
ডিসেম্বরের এই মাসে রাজাকারদের আস্ফালন আর উল্লম্ফন দেখে কেবল একটা কথাই মনে আসছে--তবে কী তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে??!! তারা কী বাতাসের মাঝে টের পাচ্ছে যে তাদের জন্যে রাখা অক্সিজেনে টান পড়ছে?!! তারা কী শুনতে পারছে মানুষ জাগছে??!! ধর্মের লেবাস পরিয়ে আর তাদের চামড়া ঢাকা যাবে না----
রাজাকার....
দক্ষিন ফ্রান্সের ছোট্ট গ্রাম বুগারাশ। জনসংখ্যা খুব বেশী হলে দু'শর মত। কোলাহল থেকে দুরে শান্ত, স্নিগ্ধ, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ভরা একটি গ্রাম বুগারাশ। কোন এক অদ্ভুত রহস্যজনক কারণে গত দু'বছর ধরে গ্রামটিতে বহিরাগতের সংখ্যা কিছুটা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। ছোট্ট গ্রামটির ধারণক্ষমতার বাইরে এরূপ দলে দলে পর্যটকের আগমনে শুরু থেকেই [url=http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-20484590]উদ্বেগ প্রকাশ করে
[justify]অতিথি হবার গল্প