আমরা যারা গান বাঁধি গিটারের তারে,
আমরা যারা নির্ঘুম রাত কাটাই
মোক্ষম একটি কবিতার লাইনের খোঁজে,
আমরা যারা নিখুঁত তুলির এক টানে
প্রতিমার চোখ আঁকি বোধনের রাতে,
আমরা যারা সঁপে দেই দিনান্তের ঘরে ফেরা
টলমল পায়ের শিশুর বাড়ানো দুই হাতে,
আমরা যারা মাথা নোয়াই
অশীতিপর জননীর আশীর্বাদ কাঁপা করতলে,
আমরা যারা ভালবাসা খুঁজি
প্রেয়সীর প্রগাঢ় চুম্বনে,
আমরা যারা আকুল প্রার্থনায় -
হাঁটু ভাঁজ করি
সাভারের আশুলিয়ায় আগুনের ঘটনা শুনেছেন?
-কী বলেন আপনি! শুনবোনা কেন? আমি ভাই সচেতন মানুষ। দেশ দুনিয়ার খবরাখবর রাখার চেষ্টা করি সবসময় । আহ! কী হৃদয় বিদারক ঘটনা। আমি কিছুতেই মানতে পারিনা এটা নিছ্ক দুর্ঘটনা । এটা শ্রেফ হত্যাকন্ড। কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এটা সহ্যকরা সম্ভবনা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী কী করেছেন?
যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের উপকুলে (গালফ অভ মেক্সিকো) ডিপওয়াটার হরাইজন নামের অফশোর ওয়েল-রিগে বিস্ফোরণ হয় ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে। বিস্ফোরণে মারা যায় ১১ জন, তেল নিঃসরণে দেখা দেয় মারত্মক পরিবেশ বিপর্যয়। অপারেটর হিসাবে সেখানে তখন কাজ করছিল যুক্তরাজ্যের তেল কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি)। কিছুদিন আগে ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বিপিকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করে - ফৌজদারি অপরাধে (criminal offense) - যার সাথে ১১ জনের ‘হত্যার’ সম্পর্ক আছে। খেয়াল করুন, ফৌজদারি অপরাধে - পরিবেশ সম্পর্কিত অন্যান্য দেওয়ানি মামলা (civil proceedings) এখনও চলছে।
ব্যাচেলরদের ঘরগুলো কেন যেন একই রকম হয়। হাজার গোছানো থাকলেও কেমন একটা ছেলে ছেলে গন্ধওলা লক্ষ্মীহীন হাবভাব ছড়ানো থাকে। সেরকম একটা ঘরে বসে থাকতে থাকতে খেয়াল করে দেখলাম আমার বয়েসখানা যেন অনেকটা কমে গেছে। কিশোরী কিশোরী চেহারায় লাল চেলি পড়ে সেজেগুজে লজ্জা লজ্জা মুখ করে বসে আছি সে বাড়ির বাড়িউলির সামনে। ইনফরমেশন আছে মহিলা ভয়ানক দজ্জাল, কথাবার্তা সাবধানে বলতে হবে।
সে এক বিরাট ইতিহাস। একদিন সচল জাহিদ মিয়ার ঘরে ছিলনা কেরসি। তার বউ খুন্তি হাতে নিয়া কইল, “"ও গেদার বাপ, ঘরে তো কেরসি নাই"”। জাহিদ মিয়া কেরসি ছাড়াই রাইগা আগুন হইয়া কইল, “"কি কইলা? গেল মাসে আধা ছটাক কেরসি আনলাম, আর তুমি আইজই কও যে কেরসি নাই?
[justify] অনেক সময় কোন কোন মানুষের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কারন ছাড়ায় আপাত দর্শন নিরীহ কিছু প্রানির সাথে টক্কর বেঁধে যায়। যেমন কোন কোন মানুষ থাকে গরু যাদের দেখলেই গুঁতাতে চায়, কাউকে আবার রাজহাঁস তেড়ে নিয়ে বেড়ায় যখন তখন। কারো আবার থাকে কুকুরের সাথে অজ্ঞাত শত্রুতা। কুকুর বাবাজী তাদের দেখিবা মাত্র গলার জোরে পাড়া মাতায়। কিন্তু আমার এত এত প্রাণী থাকতেও খুব ছোটতেই ”গিয়াঞ্জাম” বেঁধেছিল ছাগল নাম
ভাসুরের ভাত খাইতে আসে নাই কুন্তী হস্তিনাপুর; যদিও আগে যিনি আছিলেন পাণ্ডুর পোষ্য তার পোষ্য এখন পাণ্ডরাজার বৌ পোলাপান; বনবাসের আগে যিনি আছিলেন নিঃসন্তান আন্ধা মানুষ তিনি এখন শতপোলার অংহকারী বাপ ধৃতরাষ্ট্র মহারাজ...
[ দীর্ঘ পোস্ট, বিরক্ত হলে তাও পাঠকের নিজ দায়িত্বে হবেন। হা হা হা ! ]
(১)
ভার্চুয়াল একজনের সাথে আলাপ হচ্ছিলো ফেসবুক চ্যাটে। অবশ্য এটাকে আলাপ না বলে দৃশ্যমান সংলাপ বিনিময় বলাই শ্রেয়। অন্তর্জালিক যুগের হাল আমলের ভৌতিক আলাপ বললেও অত্যুক্তি হবে না ! কারণ ওপাশে যিনি আছেন তাঁকে কখনো কোথাও দেখেছি কিনা সেটাই জানি না যেহেতু, তাই তিনি আদৌ আমার পরিচিত কিনা সে প্রশ্নও অবান্তর। যেটুকু চেনার সূত্র, সেখানেও তাঁর পরিচয় একটা বানোয়াট ছদ্ম নিক-নামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
গল্প লেখার গল্প আজকাল বেশ জনপ্রিয় বিষয়। ফলের থেকে এখন গাছের দাম বেশি। বিহাইন্ড দ্য স্ক্রিন এর বিষয়েই সবাই জানতে বেশি আগ্রহী । তাই আশা করছি এ লেখার কাটতি ভালই হবে।
সেদিন স্কুলে ছিলো অ্যাডমিশন টেস্ট। বছরের শেষ বেলায়, তবুও স্টুডেন্ট এর কমতি ছিলো না। এটার রেজাল্ট যখনই দেয়া হোক না কেন, যেদিন পরীক্ষা নেয়া হয়, সাথে সাথেই খাতা দেখা, টেবুলেশন আর মেরিট লিস্ট করে ফেলা হয়। কাজেই বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা।
গোসল-খাওয়া সেরে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি তিনটা মেসেজ। তারমধ্যে একটা ফ্লেক্সিলোড। অবাক হলাম। আমি লোড করতে দেইনি তো। টাকার পরিমাণ দেখে টাশকি খেলাম। এক হাজার!