প্রাণবন্ত শৈশব চলছে তখনও, বাড়ীর বসার ঘরে বাবা নিয়ে আসলেন দুর্দান্ত মনোমুগ্ধকর এক ক্যালেন্ডার, জাপানের মত মাতানো কিছু আলোকচিত্র নিয়ে- না তুষারাবৃত ফুজিয়ামা সেখানে ছিল না, অনুপস্থিত ছিল সাকুরা বা চেরি ফুলও, কিন্তু প্রতিটি ছবিতে ছিল জাপানের শরতের অবিশ্বাস্য অলৌকিক সৌন্দর্যের রঙ ঝলমলে ছবি। কোথাও জাপানী বাগানের কাঠের বেঞ্চি ঢেকে আছে ঝরা ম্যাপল পাতায়, মেঠো পথে ঝরে আছে চলে যাওয়া ড্রাগনের পড়ে থাকা
লিখনের ভাষা চুপ করে গেছে, সমস্ত বর্ণমালা মিলিয়ে গেছে তৃণে তৃণে। মিলিয়ে গেছে নিভে আসা দিনের আলোয়, মেঘাবৃত আকাশে। বৃষ্টির প্রতিটি বিন্দু এখন বাঙ্ময়, ঝড়ের মেঘে সমুদ্রের উড়ন্ত নাভি।এখানে মুক্তির খোঁজে কোন্দিকে যাবো? দিকদিশাহারা দিগন্তবিসারী মৃত্যুর দিকেই? নাকি তমিশ্রা পার হয়ে পুনর্জন্মের দিকে?
সম্প্রতি একটা মন্তব্য থেকে জানতে পারলাম তারেকানুর নাকি এখনও মোবাইল ফোন হারায় নি বা ছিনতাই হয় নি। কি আশ্চর্য কথা! এ কি সম্ভব নাকি? উনি মনে হয় সাবালক হবার আগে থেকেই দেশের বাইরে থাকেন। ওনার এত ঘুরাঘুরি করেও কিছু হয় নি, অথচ আমরা যারা রাত বিরাতে অল্প স্বল্প ঘুরে বেড়াই ঢাকা শহরে তারা ঠ্যাক না খেয়ে বাড়ি ফিরতে পারি না, অথবা মোবাইল ফোন পকেট থেকে সিএনজিতে পড়ে গিয়ে সেখানেই রয়ে যায়!
কি পাকেচক্রে অধমের সচলায়তনে আগমন ঘটেছিল তা ঠিক ৫০ পোস্ট পূর্ববর্তী একটি নাতিদীর্ঘ পোস্টে বর্ণনা করেছিলাম বটে, কিন্তু সচল হবার বিপদ-আপদও নেহাত কম নয়, সেগুলোর উপরই সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা করা
গত সোমবারে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব কোণের অধিক সমৃদ্ধ ও বসতিপূর্ন এলাকায় আঘাত হানে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় স্যান্ডি। ক্যাটাগরি দুই এই হারিকেনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্কসহ গুরুত্বপূর্ণ জনপদের কোস্টাল এরিয়াগুলো। বিদ্যুৎ, সাবওয়ে ট্রেন সার্ভিস, রাস্তাঘাট, বন্দর ইত্যাদি ব্যাপক ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ক্ষতির মুখে পড়ে অঞ্চলগুলো। Mary Shelley এর বিখ্যাত দানব Frankenstein যেন রূপ নিয়েছিলো সুপারস্টর
বুদ্ধিটা একটু পক্ক হতেই মনের মাঝে এক ঝাক না হলেও গুটিকয় স্বপ্ন এসে ঘর বেঁধেছিল। সময় গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে রঙ এবং ধরনও পালটাচ্ছিলো তাদের। স্বপ্নগুলোর ধাঁচ খানিকটা অন্যধারার। না, বাগান সমেত বাংলো বাড়ী, ঝকঝকে ফেরারী, নিতম্ব কিবা বক্ষ প্রধানা নারী; এমন সাধারন স্বপ্নে কখনই বিভোর ছিলাম না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, মাস্টার এমনকি রোদ্দুর হতেও মন চায়নি কখনো।
[justify]কদিন হল বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি। কারণ আমার ডোরপোক বাড়িওয়ালা আমাকে একমাসের নোটিসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে। শুনেই আমার যথারীতি মাথা আউলা। ঈদের তিনদিন বন্ধে মোটামুটি জনা পঞ্চাশ এজেন্টকে ফোন করে করে একবেডের বাসা পেলাম অবশেষে। তো এই শনিবারে বাড়িওয়ালা এসেছে আমার সাথে কথা বলতে, এমন হঠাত করে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় সে বেজায় দুঃখিত সেটা জানাতে। এই কথায় সেই কথায় হুট করে জিজ্ঞেস করছে আম