“......আমার আর কোথাও যাবার নেই। কিচ্ছু করার নেই।"
প্রাক কথন অথবা ভণিতা
অপেক্ষায় কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। সেই প্রথম যেদিন নিশ্চিত হলাম আমাদের ভালোবাসা আবারও কুঁড়ি হয়ে ফুটবে কি অপরিসীম আনন্দটাই না হয়েছিলো! নতুন প্রাণ কোন অসাধারণ ঘটনা নয়, প্রতি মুহুর্তে কেউ না কেউ এ ধরায় আসছে অসীম সম্ভাবনা নিয়ে। নিজের ছোট, মাঝারি, বড় বৃত্তের বাইরের কারো সংবাদ হয়তো ভাবায়ও না আমাদের, বাবা-মার বাইরে খুব কম মানুষই তীব্র অনুভবে আক্রান্ত হয়।
০১
দেশ ছেড়েছি আজ একান্নো দিন হয়ে গেলো।
১.
দরজার কাছে যেতেই মা আবার দৌড়ে আসল। একটু আগেই কিন্তু বিদায় নিয়েছি!
- বাবা, তুই কিন্তু ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করবি।
- হুমম।
- প্রতি শনিবার রাতে আমাকে ফোন দিবি।
- আচ্ছা।
- সারা সপ্তাহ কি কি করলি সব বলবি।
- পিঠা গুলো তোর রুমমেটদের দিস।
- তাহলে আমি কী খাব? (মাকে খেপানোর জন্য বললাম)
- ধুর আমি তো বেশি করে দিয়েছি!
১।
শুক্রবার দুপুরে শিশুমেলার কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় থমকে দাঁড়াতে হল। ডিভাইডারের উপরে নোংরায় মাখামাখি হয়ে একটা বাচ্চা ছেলে পড়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছিল মৃত! কত হবে বয়স? ১২ বা ১৩! শরীরে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। কি হয়েছিল ছেলেটার? চুরি করতে গিয়ে মার খেয়েছে? কিন্তু তাহলে তো এতক্ষণে পুলিশের নিয়ে যাওয়ার কথা! কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে না বেশিক্ষণ থাকবে।
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে যেই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে রামু,পটিয়া,উখিয়া এই অঞ্চলগুলোতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, এটি নির্দ্বিধায় বলা যায়। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন সোচ্চার হয়েছে, তখন অন্য সকল ঘটনার মতো এই ঘটনাতেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুযোগসন্ধানী একটি গোষ্ঠী। যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভশক্তি ও মানবিকতার উত্থানের প্রশ্নে আ
হুটহাট কয়েকটা লাইন এসে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে যায়। ভাবি, লিখে রাখবো এখানে ওখানে। আজ যেমন সাত সকালে নিজেই আওড়ে গেলাম, “অনুভুতিগুলো সব পুরনো হয়ে যাচ্ছে। তরতাজা স্মৃতি বলে কিছু নেই। এই সেদিনের প্রেম-প্রণয়ও আজ বিগত দিন। আরও আগের ডানডাস স্কয়ার স্বপ্নের দৃশ্যের মতো ঘোলাটে। আজ দিনটুকু বেঁচে আছে কেবল, ব্যক্তিগত জামায়।" জানি, এ লাইনগুলো আর লেখা না হবে অন্য কোথাও। মুছে যাবে স্মৃতি থেকে। এই করি, ঐ করি, হাতি
নাম যেমন মানুষ কর্মসুত্রে পায় না, তেমন পায় না ধর্ম, দেশ, সংস্কৃতি, ভাষা। এর সবই আসে জন্মসুত্রে।
সকাল।
- রাইত পোয়াইতে না পোয়াইতেই আইয়া পড়ছে ছাগলের চাক। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি
দুপুর।
- মাজ্ঞো মা মাজ্ঞো মা। পোলাপাইনডি কিতা গো? দুফর নাই আফর নাই, তোরার বাড়ি ঘর নাই? যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি
সন্ধ্যা।
এই যে সকালবেলা আইয়ে হকুনের চাক, সইন্দা মইজ্যা গেলেও বাড়িত যাওনের নাম নাই। মাগো গো মা, এইডির মা বাবাও কি ডাক দোয়াই দেয় না। যা, বাড়িত যা, যা কইতাছি