হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাই, দেখি নারকেল গাছের সারি। কান্ড বেয়ে গোলমরিচের লতা উঠেছে। বৃষ্টির কণারা লেগে আছে লতার গায়ে আর পাতাগুলোর উপরে। রোদ্দুর পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে কেমন! ভিজা হাওয়ায় নারকেল গাছগুলো মস্ত মস্ত পাতা নাড়িয়ে খুব আহ্লাদ করছে। ঠিক যেমন বলে দিয়েছিলো প্রীতি।
ছোট্টো হাসি শুনে চমকে তাকাই, দেখি পাশের জঙ্গল থেকে প্রণতি বেরিয়ে আসছে, হাতে নীল রঙের ফুল। আমি বললাম, "আনন্দপুরে যাবে?"
আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বেশ কিছুদিন যাবৎ মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত সংবাদগুলো অধিকাংশ স্থান দখল করে থাকছে। আরব বসন্তের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সিরিয়ার ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ এবং একই সাথে ইরানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এর কূটনৈতিক সম্পর্কের লাগাতর অবনতি এই অঞ্চলটির একটি বিস্ফোরন্মুখ অস্থিতিশীল অবস্থাকেই নির্দেশ করে। একইসাথে পাশ্চাত্যের শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে রাজনৈতিক দ্বন্দ এবং ইরানের পারমান
ঘুমকাতুরে এক বালকের বাবা ভোর থেকে তাকে ডেকেই যাচ্ছে কিন্তু বালকের তাতে কোন রা নেই। একটু পরে বালকের বাবা প্রমাণ করলেন শুধু শ্রবণ করাই কানের একমাত্র কাজ নয় বরং এটির উপযুক্ত ব্যবহার করে মানুষকে ঘুম থেকেও ওঠানো যায়। বালক চোখ ডলতে ডলতে ওয়াশ-রুমে যায় এবং হাড় কাঁপানো শীতে গরম পানি দিয়ে রগড়ে রগড়ে গোসল করে। গোসল শেষে তাকে পাঞ্জাবী পায়জামা পড়ান হয় এবং বালকের বাবা তার গায়ে আতর মেখে দেয়। তারপর পি
প্রতি ঈদে SMS এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করাটা এখন রীতিমত রেওয়াজ হয়ে গেছে। শুধু ঈদেই নয়, পহেলা বৈশাখ, বন্ধু দিবস, ভালবাসা দিবস সহ সব বিশেষ বিশেষ দিনে দূরের এবং কাছের প্রিয় মানুষগুলোকে SMS দিতে আর তাদের কাছ থেকে SMS পেতে ভালোই লাগে। এই SMS গুলো বিভিন্নটা বিভিন্ন স্বাদের। আজকের আয়োজন বিভিন্ন স্বাদের এইসব SMS নিয়ে।
কিছু SMS আছে রম্য ধাঁচের। যেমনঃ
ঈদের ছুটির কারণে ঢাকা শহর এখন অনেকটাই ফাঁকা। হঠাৎ ই এ ঢাকাকে যেন ঠিক চেনা যাচ্ছেনা। রাস্তায় যানজট নেই। যাত্রীর হুড়োহুড়ি নেই। দু-একটা টাউন সার্ভিস যাওবা চলছে, যাত্রীর চাপ নেই। এ ঢাকা যেন যৌবনের উন্মত্ততা হারিয়ে প্রৌঢ়াবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। যৌবনের উন্মাদনা হারিয়ে যেন অনেকটাই ধীরস্থির, শান্ত, স্নিগ্ধ। এটা ঈদের আগের দিন বিকেলের চিত্র।
ক। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিলেন কেন?
আমার ছোটছেলেটা (বয়স ৪ মাস) ক্লাবফুটেড (এর বাংলা জানিনা)। চিকিৎসা চলছে। প্রতি শুক্রবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রীনরোডে নিয়ে যাই। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের কথা জানি না, শুক্রবারের সকালে বোধহয় রাস্তাঘাট একটু ফাঁকা থাকে। সকাল ৯টা- সোয়া ৯টার দিকে রওনা দিলে মোটামুটি ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাই। গুলশান গোল চত্বর, সাতরাস্তা, সোনারগাঁও এর মোড় আর পান্থপথ-গ্রীনরোড মোড় ছাড়া জ্যাম পাই না সাধারনত:।
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের অডিও জগতের জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড অ্যালবাম নিয়ে পোষ্ট দেব ভাবছিলাম। ভাবনা আর কাজে পরিণত করে ফেলার মধ্যে ফারাক অনেক। প্রায়ই আমার ভাবনাগুলো ভাবনাতেই স্বীমাবদ্ধ থেকে যায়। এই ভাবনাটাও তেমন-ই। তবে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত মিউজিক অ্যালবামগুলো এবং এর বাজার কাটতি দেখে একসময়ের একনিষ্ঠ শ্রোতা-ভক্ত হিসেবে বুকে হাহাকারের মাতম জেগে উঠলো কেন যেন!
মিনার মাহমুদের মতো একজন লড়াকু মানুষ আত্মহত্যা করবেন এটা মানতে এখনো কষ্ট হচ্ছে। তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ‘আত্মহত্যা’ ব্যাপারটা যায় না। কী বর্ণাঢ্য একটা জীবন ছিলো তাঁর! য়্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ এরকম বর্ণিল জীবন আমাদের প্রজন্মের আর কারো তো ছিলো না! বিশেষ কোনো একটি অভিধায় বিশেষায়িত করা যায় না তাঁকে। তাঁর চরিত্রের মধ্যে একই সঙ্গে দায়িত্বশীলতা এবং কাণ্ডজ্ঞানহীনতার অপূর্ব মিশেল ছিলো। যে কারণে মিনারকে আমার আনপ্রেডিক্টেবল মনে হতো সব সময়। আমাদের প্রজন্মে মিনার মাহমুদ ছিলেন কীর্তিমান এক রহস্যপুরুষ। যে রহস্যের সিংহভাগই চির অনুদ্ঘাটিতই থেকে গেল।