(বিনীত অনুরোধ ঃ এটি সেই অর্থে কোনও লেখা নয়, নিজের বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবনাকে প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। মোডারেটর এর কাঁচি ফাঁকি দিয়ে যদি পাঠকের মুখ দেখে (যদিও আশা কম) দয়া করে সবধরনের ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন )
আমাদের দেশে বোধহয় না মরলে খেতাব টেতাব পাওয়া যায় না !!!!
না না, আমার কোন খেতাব পাওয়ার শখ হয়নি, এতো আগে মরার তো নয়ই ; খুব খুব প্রিয় আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে বলছি।
ছুটির দিন ঘুম ভেঙে মনে হয় ঢাকা শহরেই আছি। শুয়ে আছি আমার ছোট চিপা রুমে চিকন খাটে, জাহাজের দোকান থেকে কেনা বক্স খাট। ঐসব দোকানে নাকি জাহাজের ফার্নিচার থেকে চেয়ার টেবিল তৈরি হত, দাম ভারি সস্তা। আমাদের তিন ভাইয়ের জন্য তিনসেট করে খাট আর পড়ার চেয়ার টেবিল কেনা হয়েছিল পান্থপথের জাহাজের দোকান থেকে। সেই খাটে শুয়েই ঘুম ভাঙল এইমাত্র, উপরে ঘটঘট শব্দে ফ্যান ঘুরছে। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল শুক্রবার সকাল। দশটা মত বাজে। উঠতে হচ্ছে, বাজারে যেতে হবে আব্বার সাথে।
অপেক্ষা
একটা মেইল আসবে সেই অপেক্ষা করছি এক সপ্তাহ হলো। অনেকদিন পরপর এরকম অপেক্ষা করি, মেইল, মেসেজ, ফোন, সম্মুখ বার্তা, এরকম কিছুর। কখনো কখনো ভালো খবর আসে,.. কখনো কখনো অন্য একটা সিদ্ধান্ত বা অনুসিদ্ধান্ত নেবার মতো এক টুকরা খবর আসতে অনন্তকাল কেটে যায়।
একটা বই ছিল। খুব সম্ভবত রাদুগা প্রকাশনীর। লাল মলাটের শক্ত মোড়কের হাফ ডিমাই বই। আধুনিক ধাঁচের কাল-লাল-সবুজ কাঠখোদাই বা কালি-কলম ইলাস্ট্রেশানে শক্তপোক্ত কালো বুট আর চশমা পড়া একটা স্কুল পড়ুয়া ছেলের যত ছবি - নানান আকামে ব্যস্ত। ছেলেটা বড় হয়ে যখন বাবা হল, তার কন্যা পরিবারের সবার কাছ থেকে শোনা তার বাবার ছোটবেলার গল্পগুলো বেশ আদর করে লিখে রেখেছে।
কদিন ধরে মনটা বড়ই বিক্ষিপ্ত। তা মনের আর কি দোষ। বয়স হয়েছে, শারীরিক সামর্থ্যও কমে এসেছে। নানা রকম ব্যাধি, শরীর-মন দুটোকেই কাবু করে ফেলতে চাইছে।
শিরোনামে একটু সংশোধন আছে, আসলে হবে আমৃত্যু জ্বলবো। আমাদের প্রজম্নের বেশীরভাগই ( তার আগে/ পরের ও হয়ত ) , মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত দুটি জন্মদিন পেয়ে গেল। সত্যিকারের জন্মদিনের পাশাপাশি সার্টিফিকেট জন্মদিন, যা বেশিদিন সরকারি চাকরির বা সেশনজট পেরিয়ে বেশিবার ধরে বি.সি.এস দেবার সহায়িকা। যখন নিজের মত করে ভাবার বয়স হয়নি এসব নিয়ে, তখন মনে মনে খুশিই লাগত। আমার চালাক পিতা-মাতার এহেন পরিণামদর্শিতা (!) দেখে ভাবত
রাধারমণের গান আমার খুবই প্রিয়। মাঝে মাঝে আমাকে রাধারমণের ভূতে পায়। আর ভূতে পাওয়া মানুষ কত কি করে, কত কি ভাবে। গানগুলো শুনতে শুনতে মনে কত কথা উঠে।
১৩. নুনখাওয়া ইউনিয়নে ঢোকার রাস্তাটা বেশ সরু। মাঝখানে আবার একটি কালভার্ট ভেঙ্গে আছে। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তার অবস্থা যাচ্ছেতাই। এক ভ্যানওয়ালাকে অনেক অনুরোধ করলাম, পাত্তাই দিলো না! আগেরদিন এরকম রাস্তায় বাটার জুতা পায়ে দিয়ে বেড়াতে গিয়ে নাকাল হয়েছি, রাতে কুড়িগ্রাম ফিরে ২৯০ টাকায় জুতা কিনলাম-বাটা, রবারের জুতা! তারপরও কয়েকবার মনে হলো আছাড় খেতে খেতে বেঁচে গিয়েছি; অথচ ছোটবেলায় এর চেয়েও কঠিন রাস্তা দাবড়াতাম খালি পায়ে! শহর আর গ্রামের মানুষের ফারাকগুলো এরকম ছোট ছোট, কিন্তু পরিমাণে অনেক।
রমজান আসতেই পর্দা পুষিদা বেড়ে গেছে।
বিটিভি এবং এটিএনের সংবাদ পাঠিকার মাথায় ঘোমটা উঠেছে। ঘোমটা টেনেছে রাস্তার পাশের দোকানগুলো। হাড্ডি জিরজিরে শরীরের শ্রমজীবি মানুষ কলা পাউরুটি পানি খেয়ে তাঁবুর ভেতর থেকে বেরুচ্ছে। ঘামে লেপ্টে যাওয়া শার্টের জীর্ণ শার্টের বোতাম খুলে রিক্সায় প্যাডেল মারছে। মিরপুর দশ নম্বর গোলচক্কর থেকে ১১ নম্বরের দিকে যেতে ফায়ার সার্ভিসের পাশের ফুটপাথ।
পুরনো বইয়ের ভ্রাম্যমান দোকান।
ইদানিং কী যেন হয়েছে! ঘর থেকে বাইরে এলে মনে হয় ঘরে ফিরে যাই; বাইরে থেকে ঘরে এলে মনে হয় বাইরে চলে যাই আবার। অবশ্য মানুষের জন্যে স্বল্প কথায় ঘর আর বাহির-বাহির আর ঘর ছাড়া তো লুকোবার তেমন কোনো জায়গা নেই! সম্ভবতঃ ঘর এবং বাহির কোনোটাই আমার ভালোলাগছেনা। এই সমস্যা নিয়ে অনেক ভেবেছি।সমস্যা নিয়ে ভাবার আগে যেটা করতে হয়, নিজেকে নিজে বিচার বিবেচনা করে নিতে হয়-সমস্যার একমাত্র বা প্রধান কারণ আমি নিজে নই তো?