ইন-বক্স খুলতেই মিলন ভাইয়ের নামটা চোখে পড়ল। অপঠিত এই একটাই মেল। এসেছে তাও সপ্তাহখানেক হল। বাদবাকী মেলগুলো সব পড়া। অধিকাংশই সুচরিতার। ইচ্ছে করেই রেখে দিয়েছি। ডিলিট করতে মন চায়নি। স্মৃতি। শেষ মেলটির বয়সও হবে প্রায় বছর দেড়েক। এছাড়া আছে ইয়াহু থেকে আসা কিছু অর্থহীন মেল। ওগুলো বোধ হয় ডিলিট করার পরিশ্রমটুকুও করতে ইচ্ছে হয়নি বলে এখনও রয়ে গেছে। আর আছে মাঝে মাঝে আসা মিলন ভাইয়ের কিছু মেল। মিলন ভ
আমেরিকা-আমেরিকা-আমেরিকা। আমার এবং আমার চারপাশের অনেকের জীবনেই আমেরিকা এমন একটা স্থান দখল করে নিয়ে আছে যার প্রভাব উপেক্ষা করা যায়না। একবার এক বন্ধু বলছিল দেশে থাকতেও আমরা ভারতের দিকে মুখ করে থাকতাম, আর বিদেশে (কানাডায়) এসেও সেই একই অবস্থা; ভারতের বদলে কেবল আমেরিকা। বন্ধুটি সম্ভবত দূরদর্শন থেকে শুরু করে কোরবানীর ভারতীয় গরুর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কেবল সময়ের স্কেলে-- নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর জন্য অনেকেই এখানে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। চার লিটার দুধ এপারে সাড়ে পাঁচ ডলার আর ওপারে আড়াই ডলার। অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্যি। তাই বন্ধুটি প্রায়ই দুধ আর গ্রোসারি থেকে শুরু করে বাক্স-বাক্স চিকেন কিনে আনে আমেরিকা থেকে। ওখানে সবকিছুই নাকি সস্তা।
ঢাবি’তে আমার একজন শিক্ষক বলেছিলেন মাইক্রোফাইনান্স হ্যাজ ইটস ঔন বিউটি। উন্নয়নকর্মী পেশায় একযুগ অতিক্রম করেছি, কিন্তু মাইক্রোফাইনান্সে কাজ করার ইচ্ছে ছিলোনা তাই সুযোগ হয়নি, আর ব্যাক্তিগতভাবে মাইক্রোফাইনান্সে মোটাদাগে বলার মতো কোনও বিউটি খুঁজে পাইনি। সুতরাং সেই পুরোনো দিনের সিনেমার গানটাই ভাঁজি- যার নয়নে যারে লাগে ভালো ..........।।
ঘাটে গিয়ে বসি । ঘাট নেই । যা আছে পরিত্যক্ত জীবন । যেন কোন কালে ছিল শৈশব । ছিল ভরা পূর্ণিমা দেখা রাত বা জল ভেজা ঘোমটা বেলা । পাপ-পুণ্য ধোঁয়া বিস্তৃত সময় অনেক হয়েছে গত । প্রতিদিন দেখাদেখি নিয়মের ফাঁকে যখনই আড়াল পথ মাপা, তখনই আপন যত্নে মাকড়শা করে নিয়েছে বাসা- শেওলার কাল ।
বছর সাতেক আগে প্রথম যখন টেলিটকের সিম বাজারে ছাড়া হলো, আমার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই প্রায় চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সিম সংগ্রহ করেছিল। এমন না যে সেই সময় মোবাইল ফোন একটা দূর্লভ বস্তু ছিল, বা অন্য অপারেটরদের কল-রেট অনেক বেশি ছিল। তবে টেলিটকের একটা সংযোগ কেনার জন্য কেন এত ব্যাকুলতা? ফ্রি টিএন্ডটি ইনকামিং, অতিরিক্ত চার্জ না দিয়েই টিএন্ডটি আউটগোয়িং ইত্যাদি নানা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটি সবচেয়ে বড় কারন মনে হয়েছিল তা হচ্ছে "এটা আমাদের ফোন!" সম্পূর্ণ দেশি এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিজেদের ফোন! নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম নিয়ে আমরা সহসাই প্রশ্ন তুলি। কিন্তু সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল স্বার্থের পাশাপাশি দেশপ্রেমও একটা বড় কারন এই রাতভর অপেক্ষার!
১. কুড়িগ্রামে ছিলাম বেশ ক’দিন। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ করে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। মাঝখানে কয়েকটা দিন বিরতি দিয়ে এ মাসের মাঝামাঝি আবার নতুন করে বন্যার প্রকোপ বাড়ে। যে কাজে গিয়েছিলাম সেটি বন্যা-পরবর্তী-পুনর্বাসন বা ত্রাণ-সম্পর্কিত কাজ না হলেও আমার কাজের সাথে বন্যার একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে। ফলে বন্যাপ্রকোপ এলাকাগুলোতে প্রচুর ঘুরাঘুরি করতে হচ্ছে। এর আগে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জের চরে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। ওই এলাকাগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজকর্ম কীভাবে চলে তা দেখতে গিয়েছিলাম একবার। ভোর ছয়টায় রওনা দিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে যখন বিদ্যালয়ে পৌঁছতাম, অধিকাংশ দিনই গিয়ে দেখতাম বিদ্যালয়ের কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে। এভাবে দিনে ২৫ মাইলের বেশি হাঁটার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞতা একেবারেই বিপরীত।
সাড়ে চুয়াত্তর ছবিটির কথা কি আপনাদের মনে আছে?
কপালফেরে রাণীর রাজ্যে আমার বর্তমান নিবাস। তবে যেখানে থাকি সেখান থেকে লন্ডন বেশ খানিকটা দূরে বলে অলিম্পিকের উত্তাপ এখানে ওভাবে আসেনি। তবে অলিম্পিক আসছে- এমন একটা শোরগোল চলছে অনেকদিন ধরেই। এপ্রিল যখন শেষবার লন্ডন গিয়েছিলাম তখন অলিম্পিক ভেন্যুগুলো দেখে এসেছিলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার পর সেটার একটা রিভিউ লিখতে বসে গেলাম।
বেশ কিছুদিনের পত্রিকা দেখা হয়নি। একগাদা নিয়ে বসেছিলাম। তারিখ টুকে রাখিনি, হয়তো কিছু কিছু চোখ এড়িয়েও গিয়েছে; তারপরেও যেগুলো চোখে পড়ল তারমধ্যে কয়েকটা ছিল এরকম -
১) বিএসএফ মাঝরাতে বর্ডার পার হয়ে এসে এক গ্রামে হামলা চালায়। রীতিমত ঘরের দরজা ভেঙ্গে মহিলা ও শিশুদের মারধোর করে এবং পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সবার মিলিত বাঁধায় শুধু পিটিয়ে আহত করে রেখে যায়।
[ছবি কৃতজ্ঞতা হাল্টন সংগ্রহশালা]