কোন ক্লাসে পড়েছিলাম এই কবিতা এখন তা আর মনে নেই। সিক্সে কি সেভেনে কি এইটে। তবে মনে আছে ইংরেজী বইটার পৃষ্ঠাগুলো হালকা লালরঙা ছিল। পাতাগুলো ওলটালেই নিউজপ্রিন্টের মিষ্টি গন্ধটা এসে নাকে টোকা দিত। মা খুব যত্ন করে সবগুলো বইয়ের মলাট করে দিত। তার উপর আমি সুন্দর করে লিখে রাখতাম বইটার নাম।
ছাগুদের বাড়ি কোথা? কই থাকে ছাগুরা?
ছাগু থাকে রাজশাহী ছাগু থাকে মাগুরা।
ছাগু থাকে চিটাগাং ছাগু থাকে সিলেটে
কিছু ছাগু লন্ডনী মানে কিনা বিলেটে...
কল্যাণ রাষ্ট্রের বেনিফিট হাঁকাতে
ছাগু বাঁচে ইহুদী ও নাসারার টাকাতে।
ইহুদী ও নাসারার ঘি মাখনে পুষ্ট
ছাগুগুলো রাতদিন মহাসন্তুষ্ট!
ছাগু থাকে আদালতে মানে কিনা কোর্টে
ছাগুদের উৎপাত বন্দরে পোর্টে!
ছাগুদের ম্যাৎকার যত্র ও তত্র
কোথাও বেড়ানো হোক বা না হোক, এই পবিত্র কাজের জন্য আমি যে সবসময় এক পা বাড়িয়ে থাকি, সে খবর এতোদিনে স্কুলেরও জানা হয়ে গেছে। সেজন্যই কি না জানি না, এখানে ওখানে কোথাও পাঠাতে হলে কর্তৃপক্ষ প্রথমেই আমাকে খোঁজে।
“Anything that can go wrong, will go wrong” – মারফির সূত্র
১। দিনের স্বাভাবিক শুরু
ঘুম থেকে ওঠার পনেরো মিনিটের মাঝে পরের বাসটা পাওয়া মানে হচ্ছে একটি সুন্দর দিনের সূচনা, যা শুরু হতে পারে সকাল দশটা কি দুপুর বারোটায়। শনিবার জুড়ে চলে বাস নীরবতা, তাই ঘুম থেকে ওঠার দেড় ঘন্টার মাঝে কোন বাস নেই। ফেসবুকে রাজা-উজির মেরে সময় কাটাই। সপ্তাহখানেক ধরে ক্ষেপে থাকা সূর্যের নীচে সাইকেল ঠেলে বাসস্টপে পৌঁছালাম, তারপর সাইকেল বাসে ঝুলিয়ে ডিপার্টমেন্ট। দুই মাসে তিন বার বাসে সাইকেল ফেলে আসার পর সাইকেল না ভুলে যাওয়াই সাফল্যের নতুন মাপকাঠি, টানা এক সপ্তাহ জুড়ে সেই সাফল্য ধরে রাখি।
বসন্ত বাতাসে পুরো মিশর এখন উত্তাল। গণতন্ত্রের মাতাল সমীরণ বহমান দেশটির সর্বত্র। মিশরবাসীর চোখ চিকচিক করছে নতুন স্বপ্নে। নতুন আশার ঝলক তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সবাইকে! এসবের মাঝে হঠাৎ করেই একটি অন্যরকম বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশটিতে, যা অনেককেই কৌতূহলী করে তুলেছে! মিশরের নতুন ফার্স্ট লেডি পঞ্চাশোর্ধ নাগলা মাহমুদ আলি এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন!
বেশ কিছুদিন হলো সচলে কোন লেখা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অনেকে অনুযোগও করেছেন। মনটাও চাইছে কিছু একটা লিখতে। যখনই ল্যাপটপ নিয়ে বসছি শরীরটা বাগড়া দিচ্ছে, সাথে মস্তিষ্কও। শরীরের আর দোষ কি, বয়সতো কম হলোনা।
গল্প খানা কত কালের পুরানো তাহা আমি বলিতে পারিবো না। তোমরা সকলে মিলিয়া আমাকে র্যাবের হাতেই দাও আর পুলিশের হাতেই দাও আমি উহা কিছুতেই বলিতে পারিবো না। তবে গল্পখানা বলিতে পারিবো বৈকি। ইহা বড়ই মজার কাহিনী কিনা। কি বলিলে? শুনিতে উৎসুক হইয়া আছো?
কুলুপ বাজারের কলপাড় থেইকা রহিম মিয়ার কান ধইরা নিয়া যাইতাছে ছদরুল । পাবলিকও পাছেপাছে কেউ কেউ লগেলগে যাইতাছে । কেওই এহনো জানে না ঘটনা কী । বেবাকে জিগায়তাছে, তয় ছদরুলের মুখ দিয়া খালি একটা কথাই বাইরইতাছে- “আইজকা পাইছি, মাতারির লগে পিরিতি? চুনু- পাউডার? পিরিতি ছুডাইতাছি?”
নওসী, ভারতীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের মিস্টি একটি মেয়ে, বাবার মতই পি এইচ ডি, ইউনিভার্সিটিতে না ঢুকে কানাডিয়ান গভর্মেন্টে উচ্চ পদে আসীন। ধুমধামের হীরের আংটির অনুষ্ঠানের প্রায় এক বছর ধরে তাদের বাড়ী কেনা, ঘর সাজানোর পরে হলুদ ও বিয়ের কার্ড পেলাম, খুব খুশি হলাম, মাতৃহারা এই মেয়ে স্বভাবগুনে সকলেরই আদরের। একটু বিলম্বে পৌছে আমার কাছে হলুদের অনুষ্ঠানের জৌলুশ কেন যেন প্রানহীন লাগছিল, বেশ অনেক টেবিল ফাঁকা
ছোটবেলায় আম্মু বাসায় ধরে রাখার জন্য গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করিয়েছিল আমার বোনকে। আমাদের গল্প খুব পছন্দ ছিল। আম্মু বই থেকে গল্প পড়ে আমাদের শোনাত বিকালের দিকে। গল্পের মধ্যে যখন মন ঢুকে যেতো তখন হঠাৎ করে পড়া বাদ দিয়ে বলতো “বাকিটা পরে শোনাবো এখন চা বানাতে হবে” এই কথা শোনা মাত্র আমরা যে কী ভীষণ পরিমাণ বিরক্ত হতাম আম্মুর উপর! আপু তখন স্কুলে পড়ে। মাত্রই বানান করে রিডিং পড়তে শিখেছে আর আমি তো গন্ড মূর্খ!