এই নামটা যে দিয়েছিলাম সেটা আমার মনে ছিল না, ওনার ঠিকই মনে ছিল।
ঠাট্টা করে এই নাম ধরে আর ডাকার দরকার হবে না।
গল্পদাদু আর সন্ন্যাসীর সাথে ভালো সময় কাটবে এখন।
আপনাকে আমার অনেক হিংসা আনিস ভাই, এতো ভালোবাসা নিয়ে ক'টা মানুষ যায়..
'মহাভারত' আমাদের প্রায় সকলেরই অল্প-বিস্তর পঠিত। আর মহাভারতের চরিত্রগুলো নিয়ে নানামুখি বিশ্লেষণ আছে।
আজ তাই অন্য দৃষ্টিতে শকুনি চরিত্র সম্পর্কে যৎসামান্য বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা।
শকুনি:
শোক দিবসকে আক্ষরিক অর্থে কারবালা বানিয়ে ধারালো অস্ত্রে বুক-পিঠ চাপড়ে হায় হোসেন অবলম্বনে হায় মুজিব কমেডি করে শোক দিবসকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছে কিছু ভাঁড়। হায় মুজিব অবস্থাই বটে! আসুন, এই কমেডি পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন একটু পড়ে দেখি- সেটাই শোক দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে টুঙ্গিপাড়ার সমাধি পরিনত হতে পারে তাজিয়ায়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন খুব কম, বাগ্নী হিসেবে বলে গেছেন অনেক কিছু। অনুভূতিময় এই উদ্ভ্রান্ত সময়ে সেই কথামালা পাঠ করেও যদি তাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায়, অনাগত কোনও অন্ধকারে হয়তো সেটিই কাজে দেবে। মানবিক আবেগহীন এবং দর্শনবিমুখ যান্ত্রিক অনুভূতির অর্গলে বঙ্গবন্ধুকে বেঁধে রাখলে তিনি ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে উবে গিয়ে লালুসালু মোড়া পীরের আসনে গিয়ে বসবেন। এই সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধুর পঠন-পুনর্পঠন হোক জোরেশোরে। ব্যানারের ম্লান ছবি হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসুন ব্যাবহারিক দর্শনে।
মনে করেন মোগল আমল। ঝিরিঝিরি বাতাস। বড় চাচা দূর কাবুল থেকে সফর শেষ করে এসে মাথায় হাত বুলায় কইলেন এই নাও বাছা মিষ্টি খাও। আখরোট খাও। কতদিন পরে দেখা। পড়াশোনা কেমন চলছে? বড় হয়ে কি হবে ঠিক কি করেছ?
আপনি কি বলবেন... ডাক্তার হতে চাই? আশিব্বাদ করেন চাচাজান যেন সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে পারি? ধুর না। আপনি কইবেন বড় মানুষ হইতে চাই। নামজাদা ব্যক্তি। চার মহলা দালান। শুক্রবারে খাসির বিরিয়ানি। পায়ের উপর পা তুলে সুখে বসবাস। অতএব আপনি বলবেন মনসবদার হতে চাই। জায়গিরদার হতে চাই চাচা দোয়া রাইখেন।
চলেন পাঠক আজ তাহলে মনসবদারি জায়গিরদারি ফানাফানা করে দেখি। তারা কি সত্যই চার মহলা দালানে থাকত এবং শুক্রবারে খাসির বিরিয়ানি খেত? তাদের জমা-হাসিল গরমিল কি কারণে? জাট এবং সওয়ার কি বস্তু? মাশরুত খায় না মাথায় দেয়? চৌধুরী আর কানুনগো কে?
মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার। বিষম চিন্তা।
দেশ ও বৈদেশের হালহকিকত দেখি আর মনে খালি ‘বুরিদানের গাধা’র ছবি ভাসে। রকমারি ঘটনায় ঠাসা ইতিহাসের পাতায় ফরাসি যুগচিন্তক বুরিদান সাহেবের গাধাটিও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সে যাকগে, গাধার সঙ্গে ফরাসি সাহেবের সংযুক্তি কেমন করে ঘটলো সে প্রসঙ্গে যাবার আগে ছোট করে মূল গল্পটি বলে ফেলা যাক। গাধা নিয়ে গল্পগাছার অভাব নেই মানবসংসারে। গাধা-কাহিনীর বড়ো অংশ হাস্যরসের যোগান দেয়। নিজের গাধাটিকে নিয়ে তুরস্ক দেশের মোল্লা নাসিরউদ্দিনের সরস গল্পগাছা এখনো লোকের চিত্তবিনোদন ঘটায়। তামাশাভরা মানবজীবন নিয়ে এই স্বভাব-দার্শনিকের রঙ্গ ও সেটি উদযাপনের ভঙ্গি সেকালের মতো একালেও সমানে প্রাসঙ্গিক। মহামতি শেকসপিয়ার বলে গেছেন জীবনের নাট্যমঞ্চে মানুষ হলো অভিনেতা। মোল্লা নাসিরউদ্দিনের বোকামিঠাসা বুদ্ধিরসের ছটা সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেয় দুঃখ-সুখে ভরা অভিনয়মঞ্চে মানুষ আসলে নিজেকে নিয়ে হাসে ও অন্যকে হাসিয়ে মারে। বুরিদান সাহেবের গাধার গল্পটি সেদিক থেকে গুরুতর হলেও কৌতুকরস সেখানেও ঠিকরে পড়ে, যদিও সাহেবকে সেটা কৌতুকরসে না ভাসিয়ে গুরুতর এক দার্শনিক কূটপ্রশ্নের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দার্শনিকরা ভাবনা ও কথার কারবারি এবং লোকের তাতে থোড়াই কেয়ার। জগতের আমজনতার কাছে গাধা হচ্ছে চিরকালের কিংবদন্তি যার কাঁধে জীবনের কঠিন বোঝা অক্লেশে চাপানো যায় এবং গাধা সেই ভার বহনে দ্বিধা করে না।
প্রোলগ
শেষ বিকেলের সূর্য দিগন্তের দিকে ঝাঁপ দিচ্ছে মাত্র। ঝাঁকের সামনের পাখিটা বাতাসের ঝাপটায় কিছুটা কাবু হয়ে আসে, তাকে স্বস্তি দিতে পিছন থেকে এগিয়ে আসে অন্য একটা পাখি। জায়গাবদল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই উত্তরের আকাশ থেকে ভেসে আসে এক পশলা আগুনের ঝড়। ভি-শেইপের ঝাঁকটা থেকে টুপটুপ করে ঝলসানো পাখি পড়তে থাকে নীচে। মাটি স্পর্শ করার আগেই তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য এগিয়ে আসে একটা বিশাল জিভ।
ড্রগনের পায়ের দুইটা বিশাল আঁশের খাঁজে হাত রেখে কোনমতে ঝুলে আছে খালিসি, পাখি পুড়ানো আগুন পুরোটাই বয়ে যায় তার উপর দিয়ে। ড্রাগনব্লাড বলে তার শরীর অক্ষত থেকে গেলেও সোনালি চুল আর ভ্রু কিছুটা কালচে হয়ে আসে। ক্লান্ত, ক্ষুব্ধ খালেসি অনুনয়ের চোখে উপরের দিকে তাকান, তার দৃষ্টি মিলে ড্রগনের পিঠে বসা হাইস্প্যারোর চোখে। ড্রাগনের আগুনে পুড়ে খালেসির পোশাকের কিছুটা পুড়ে গেছে, আর তা দেখে চমকে উঠে "শেইম, শেইম" বিড়বিড় করতে করতে সুদূর দক্ষিণে চোখ সরিয়ে নেয় হাই স্প্যারো।
জীবনের কোনো এক পর্যায়ে আপনার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০%। তারমানে পরিসংখ্যানের হিসেবে, কোনো পরিবারে ৫ জন মানুষ থাকলে তাদের মধ্যে ২ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতিবছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যায় যে প্রকারের ক্যান্সারে মেয়েরা আক্রান্ত হয়, সেটি হচ্ছে জরায়ু মুখের ক্যান্সার। প্রায় সকল (৯৯ ভাগ) জরায়ু মুখের ক্যান্সারের সঙ্গে একটি ভাইরাসের সংক্রমণ জড়িত। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)।
ট্রেনের নাম একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছুটছে ময়মনসিংহের দিকে। ছুটছে কি আসলে? ১৯৮০ সাল, জীবন তখন এতোটা গতিশীল হয়ে ওঠেনি, ট্রেনেরও। এমনই ধীরগতি তার। দুষ্টু ছেলেরা মিষ্টি ছড়া কাটে, 'ঝিক্কিরঝিক্কির ময়মনসিং, ঢাকা যাইতে কতোদিন?'
গত কয়েকদিন ধরে বাচ্চার কথা ভেবে বাবা মাকে সবকিছু সহ্য করে নেয়ার উপর প্রচুর লেখাজোকা, বকবক পড়ে, শুনে মাথায় প্রশ্নটা আসল। একটা বাচ্চা সুন্দর ভাবে বড় করতে কি লাগে? একটা সুন্দর পরিবেশ, তাই তো? আসুন একটু চিন্তা করে দেখি তো, আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে কিরকম চমৎকার পরিবেশ দেই, দিচ্ছি?