একটি সিনেমা কখন জন্ম নেয়?
টিনের ক্যানভাসের ওপর এনামেল পেইন্টের আঁচড়। ছবি হিসেবে নিলামে ওঠেনা, হয়তো ঘরেও নয়। নেহায়েত রাস্তার জিনিস তাই পথে পথেই এর প্রদর্শনী। তাতে কিন্তু এই ছবি গুলোর বিশেষ মানহানী ঘটেনি কখনও। রিকশার ছবি যে আবারো আঁকানো শুরু হয়েছে সেটাই খবর। দেশের অন্য শহর বা জেলা গুলোর খবর বিশেষ জানিনা, তবে রাজশাহীতে বছর কয়েক যাবত রিকশা অলঙ্করনের একটা জোয়ার দেখা যাচ্ছে। ব্লগে বা পত্রিকায় রিকশার পুরনো দিনের কথাই আলোচিত হতে দ
§
১৬টি বৌদ্ধ স্তুপ খনন করে পাওয়া গেছে বলে খবরে বেরিয়েছে। অতিশ দীপঙ্করের জন্মস্থান ব্রজযোগিনী গ্রামের পাশেই এই স্তুপের দেখা পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত নমুনার কার্বন ডেটিং বলছে জায়গাটা ১১০০ বছর পুরনো। এই খনন প্রকল্প তত্ত্বাবধান করছেন জাহাঙ্গিরনগরের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। উনি নিয়মিতই এসবে লেগে আছেন। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো যদিও বিজ্ঞানসম্মত লোকেরা যখন গবেষণাকর্ম গুনতে বসেন তখন তাদের চোখে পড়ে না। তারা খেলনা ড্রোন নিয়েই উত্তেজিত।
খাল গিয়াকে বিয়ে করে খুশিতে আটখানা খালিসি। এসোসে এত বড় বীর আর একটাও নেই। দশাসই সব ছাগলের পিঠে চড়ে একের পর এক গ্রাসল্যান্ড জয় করে গিয়া নিজেকে খালদের খাল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নতুন এলাকা জয় করার উপায় এত অনায়াস ছিলো যে স্বয়ং আলেকজান্ডার লজ্জা পেয়ে যেতেন। গিয়া নতুন এলাকার সর্বোচ্চ কোন ঢিবিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিবেন, "আজকে থেকে এই এলাকার বাপ মা আমি", আর সাথে সাথে সবাই দল বেঁধে তার অধিকার মেনে নিত। খালিসির খুশিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে তার বিয়েতে তিন তিনটা ড্রাগনের ডিম উপহার দেন ফালু মর্মন্ট।
§
ব্রিটেন থেকে ৫২ জন নারী আইসিসের খেলাফতের ছায়ায় জিহাদ করতে সিরিয়া গেছে। এরা ঐ দেশ থেকে মোট হিজরতকারিদের সংখ্যার ১০ শতাংশ। বিবিসির এক খবরে এক গবেষণার ফাইন্ডিংসের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বের করার চেষ্টা হয়েছে কেন সিরিয়ায় নারীরা জিহাদ করতে যাচ্ছে। এর চুম্বক অংশগুলো তুলে রাখলাম,
— অনেক সময় নিয়ে, প্রচুর গবেষণার পরেই তারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাচ্ছে।
সচলের প্রথম দিকে ভোখেনব্লাট নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। কাজের চাপে ও নানাবিধ অজুহাতপ্রসূত কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়নি। টাগেসব্লাট নামে নতুন এই সিরিজটা শুরু করলাম। এটা ফেইসবুক স্টাটাসের বিকল্প হিসেবে চালু রাখা যায় কিনা সেটার একটা এক্সপেরিমেন্ট। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক ছাড়া কিছু পাবার নেই। আমার স্টাটাসগুলোতে এমন কোন গুঢ় আলাপ হয় না যেটা মিস করার মতো। আর পাঠকেরা পরে সেগুলো পড়েও না বা পড়ার জন্য খুঁজেও পায় না। এর থেকে সেগুলো এখানে লিখে রাখলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। সচলের লেখা আমার অন্য লেখাগুলোর মতো এই সিরিজটা সিরিয়াস ধরণের হবে না। বাক্যগঠন, চিন্তাভাবনার খুঁত থাকতে পারে। হালকা মেজাজে খুব চিন্তাভাবনা না করে জার্নাল ধরণের লেখা হবে এগুলো।
বিতর্কটা বহুদিনের। নাচ গান থাকলেই সেটা ভালো সিনেমার সীমানার বাইরে। আবার নাচ গান না থাকলে সেটি ভালো ছবি। বা এমনও বলা হয়ে থাকে, জীবনমুখী সিনেমার রঙটা একটু ফিকে হতেই পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে, জীবনমুখী গল্প মানেই কী ধুসর? কারও জীবনে কী রংধনুর সাত রং নেই?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে মেট্রোরেল যাবে কি না কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেট্রোরেলের স্টেশন হবে কি না সেটার পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক চোখে পড়ল। যেহেতু আমি সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই, আমার পক্ষে ব্যক্তিগত মতামত জানানো ছাড়া আর কিছু বলার অধিকার নেই বলেই আমি মনে করি। আমি যেটা করতে পারি দুই পক্ষের অভিমত নিয়ে আমি একটা পক্ষ নিতে পারি শুধু। এছাড়া মেট্রোরেল ইস্যু নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের এইসব আলোচনায় একটি বড় পয়েন্ট মিসিং (missing) বলে মনে হয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করাটাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সে চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেট যতটুকু না বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের নীতির পরিবর্তনের কারণে হয়েছে তার চাইতে হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। সবসময় আবাসন সংকট তৈরী করে রাখলে সেটার সুফল ক্ষমতাসীন দলের ভাগে যায় যেটি সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বেশ কিছু হল খোলা হয়েছে যেটি বেশ ভাল উদ্যোগ। কিন্তু এর মাঝে আমরা যেটি ভুলে যাই সেটি হচ্ছে একটি নতুন হল তৈরী করা বেশ কয়েক বছরের উদ্যোগ। সেটি যখন হতে থাকে, তখন কিন্তু বর্তমান ছাত্রদের সমস্যা সমাধান হয়ে যায় না। তাদের ভোগান্তি রয়েই যায়। আমি যখন ক্লাস শুরু করি তখন আমার হলে ১০তলা একটি ভবনের কাজ শুরু হয়, ১৬ জনের রুমে থাকা অবস্থায় আশা ছিল খুব দ্রুত ভবনের কাজ শেষ হয়ে গেলে আবাসন পেয়ে যাব। সেই ভবনের কাজ যখন শেষ হয় তখন আমি ব্যাচেলরের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এমনটি হয় অনেক ছাত্রের ক্ষেত্রেই। প্রতিটি বিভাগেই প্রতিবছর মেধাবী কিছু ছাত্র পাওয়া যায়, মেরিট লিস্ট করলে তেমনটি পাওয়া স্বাভাবিকও। কিন্তু বাস্তবতা বলে প্রতি বিভাগের, প্রতি ব্যাচের ছাত্রদের বড় অংশ এই সমস্যার ভুক্তভোগী। এখন এসব আবাসন সংকটের ভুক্তভুগী যারা তারা সংখ্যায় অনেক হলেও তারা কিভাবে ভোগে সেটা কোন আলোচনায় আসে না, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাই এগুলো নিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মেট্রোরেল হলে ছাত্ররা কিভাবে লাভবান হবে সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের উদ্যোগে একটি বিস্তারিত স্টাডি (study) হওয়া প্রয়োজন। সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শুধু নয়, ছাত্রদেরও বুঝতে সাহায্য করবে মেট্রোরেলের স্টেশন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবাস জীবনের কাটানো এটা আমার দ্বিতীয় শীতকাল। গত বছর এসে প্রচন্ড শীতে হাত, পা, মাথা, কল্লা সব লক হয়ে গেছিল। কি করব ভেবে না পেয়ে দুইবেলা স্যুপ খেতাম আর বাকি সময়ে চুপচাপ বসে পিঁপড়া হলাম না কেন, মনের দুঃখে তাই ভাবতাম। প্রথম প্রথম আসার পর ঠান্ডা সহ্য করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল, তখন ডাক্তার বলেছিল, যত ঠান্ডাই থাকুক না কেন প্রতিদিন অন্তত পনের মিনিট বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে। কি যন্ত্রনার কথা!