Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো বাড়িটার...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৪/১১/২০১৫ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মাঝে কোনও মাহাত্ম্য নেই
যদি চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখতে হয়, তবে সেরকম চিন্তা না করাই ভাল ...

(গ্রীক দার্শনিক ইউরিপিডিস)


একাত্তরের ‘ইতিহাসকরণ’ কাকে বলে?

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: সোম, ০২/১১/২০১৫ - ৬:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি Historicizing 1971 Genocide: State versus Person নামে একটা বই হাতে পেলাম। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির লেখক Imtiaz Ahmed, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেখানকার Centre for Genocide Studies এর ডিরেক্টর।

বইটির শিরোনাম, ‘একাত্তরের ইতিহাসকরণ’ অবশ্যই ইন্টারেস্টিং এবং প্রমিসিং, সুষ্ঠুভাবে একাত্তরের ঘটনাবলীর ইতিহাস লেখার যে কোনো প্রয়াসই প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সে কাজ করতেই পারেন। বিশেষত লেখক নিজেই বলছেন যে তিনি একাত্তরের জিনোসাইড বিষয়ে প্রায়ই একাডেমিক বক্তৃতা দেন, যাতে নাকি এমনকি পাকিস্তানি গবেষকরাও আগ্রহী। তবে বইটির উপ-শিরোনাম অদ্ভুত লাগল, একাত্তরের ইতিহাস রচনার প্রয়াসকে ‘রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির দ্বন্দ্ব’ হিসাবে দেখানোর প্রয়োজন আছে কি?


ঘুমাও দেশ!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০২/১১/২০১৫ - ৩:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
খাবার টেবিলের ওপর দু'দল পিঁপড়ে মুখোমুখি। মাঝখানে ছোট্ট এক টুকরো পরিত্যক্ত সন্দেশ। মিষ্টি দানার দখল নিয়ে দিনের পর দিন হাতাহাতি মারামারি। সংখ্যাগরিষ্ঠ পিপড়েরা জানে না একদল ঘুণপোকা নিঃশব্দে খেয়ে যাচ্ছে কাষ্ঠশাঁস। নিজেদের স্বার্থের কামড়ানিতেই ভীষণ ব্যস্ত ওরা। তারপর ছয় পায়ে দাঁড়িয়ে একদিন দেখলো আচমকা এক ছিদ্রপথ গলে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে সন্দেশ দানাটি। কুপমণ্ডুক পিপড়ের দল অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখলো কোত্থেকে এক টিকটিকি এসে সন্দেশ দানাটি মুখে নিয়ে পগার পার।
.


বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বিচ্ছিন্ন চিন্তাভাবনা

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: সোম, ০২/১১/২০১৫ - ১২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
মন্ত্রী বলেছেন-“পরিস্থিতি ভালো, অবশ্যই ভালো।”
প্রথমে দেখে রেগেমেগে দুই চার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলাম। একটু পর মাথা একটু ঠান্ডা হলে ভেবে দেখলাম- নাহ্‌, ঠিকই তো, পরিস্থিতি আর খারাপ কি হয়েছে? দুই পক্ষের মারামারি নাই। একদল স্বসস্ত্র খুনি এসে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে চলে গেছে। তাও আবার তারা ব্লগার! কোন ট্যা ফো নেই, আওয়াজ নেই, কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাহলে পরিস্থিতিটা আসলে খারাপ হলো কোথায়?


মানুষের পৃথিবীতে মানুষের জয় হোক

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: রবি, ০১/১১/২০১৫ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেমন আছে বাংলাদেশ এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এখন খুব কঠিন কিছু না। চারিদিক থেকে ঘনিয়ে আসা অন্ধকার ক্রমশ ঘিরে আসছে বাংলাদেশে এ কথা আমরা সবাই জানি। না ভুল বললাম, সবাই জানি না, ধর্মান্ধতা আর জঙ্গিবাদের বিস্তারের চেয়ে ও উন্নয়ন যাদের কাছে বড় কথা, জিডিপি আর চ্যাম্পিয়ান অব আর্থ পুরষ্কার পাওয়াটা বড় অর্জন মনে করে যারা, তাদের কাছে বাংলাদেশ ভালো আছে, ভীষন ভালো আছে। শুধু রাজনীতি বিশ্বাসে দলান্ধ মানুষ না, মূল ধার


শহরবন্দী মেঘ

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০১/১১/২০১৫ - ৯:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইস্কুলে থাকতে আমি প্রায়ই এলিফেন্ট রোড হাতিরপুল কি কাঁটাবন থেকে হেঁটে বাসায় ফিরতাম। সন্ধ্যা হয় হয় কিম্বা অন্ধকার ঝপ করে নামার ঠিক পরে। জোর কদমে হাঁটলে সময় বেশী লাগত না। এরকম এক হাল্কা বৃষ্টিমাখা সন্ধ্যায় আমি হেঁটে ফিরছি, এমন সময় পাশে একটা হোন্ডা থামল। হেসে হোন্ডায় বসা তরুণটি জিজ্ঞাসা করল এই তুমি আটান্নো নম্বরের না? ওঠো পিছনে ওঠো আমি ওদিকেই যাচ্ছি নামিয়ে দেব।

আমি ভালো করে তরুণটির দিকে তাকিয়ে দেখি দীপন ভাই।


এখন রুখে দাঁড়ানোর সময়

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: রবি, ০১/১১/২০১৫ - ৭:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল রাতে যখন প্রথম খবরটা পেলাম তখন ছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। আজকালকার যুগে ব্রেকিং নিউজের উৎস হচ্ছে ফেসবুক বা টুইটার। খারাপ খবরগুলো দ্রুত আসে সেখানে। তারমধ্যে আক্রান্ত চারজনই আমার ফেসবুক বন্ধু, এবং তিন সচল ব্যক্তি জীবনেও পরিচিত। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের অফিসে আক্রমণ এবং টুটুল ভাই, রণদা ও তারেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে মনটা খুব অস্থির ছিল। দ্রুত বাসায় চলে যাবার পরই দীপনের খবর আসে। এরপর সারা রাত শুধু নেটে খবর খুঁজেছি - আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছি - ঘুমাতে পারিনি। জানিনা আর কত নির্ঘুম রাত রয়েছে সামনে। কারণ যুদ্ধ এবার শুরু।


হ য ব র ল

কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন কল্যাণ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০১/১১/২০১৫ - ১২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শত ব্যাস্ততার মাঝেও, দিনে-দুদিনে নিয়ম করে একবার হলেও আসি। ঘুরি ফিরি, মনে মনে মন্তব্য লিখি, দেয়া হয় না। মাঝে মাঝেই মনে করি এমন করে ফাটায় একটা লেখা লিখব যে আর কেউ ঠ্যাকাতে পারবে না; দুই খান সচলত্ব একসাথে এসে জমা হবে ইনবক্সে। প্রথমটায় এই হাচলত্বের অবসান, দ্বিতীয়টা বোনাস একাউন্ট – বেছে নাও চরমপ্রকাশ বা ত্রিমাত্রিকববি বা মিথ্যাপীর বা ঢিমু বা এইরকম কিছু। কত কিছু মনে পড়ে, আঙ্গুল নিশপিশ করে, পেটটা যেন ফুল


"...নামটা ভুলে গেছি"

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩১/১০/২০১৫ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফেবুতে দেখলাম খবরটা। হতবিহবলভাবে টিভি খুললাম, চ্যানেল ঘুরিয়ে সময় টিভিতে গেলাম। দেখলাম একটা টক শো শুরু হচ্ছে, গুরুগম্ভীর মধ্যবয়স্ক সঞ্চালক বসে আছেন তিনজন একইরকম গম্ভীর অতিথিকে নিয়ে। পিছনের স্ক্রিনে এখন পর্যন্ত মৃত সব ব্লগারদের ছবি। বুঝলাম আজকের হামলা নিয়ে আলোচনা হবে।


আক্রান্ত মুক্তচিন্তা: চাপাতির নিচে চার ব্লগার

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শনি, ৩১/১০/২০১৫ - ৩:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকাল সচলায়তনের তিনজন ব্লগার শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, তারেক রহিমরণদীপম বসু ও সামহয়ানইনের ব্লগার জাগৃতি প্রকাশনের ফয়সাল আরেফিন দিপন উপমহাদেশীয় আল কায়েদার সহযোগী সংগঠন আনসারুল্লাহর হামলার শিকার হন। টুটুল, তারেক, রণদীপম কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও দিপন বাঁচতে পারেননি। যারা বেঁচে গিয়েছেন তাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। আমাদের কর্তব‍্য যারা কলমের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং যারা এই লড়াইয়ে যোগ দিয়ে হুমকির মুখে আছে তাদের পাশে দাঁড়ানো। কলম ও চাপাতির লড়াই পৃথিবীর প্রাচীনতম লড়াইগুলোর একটি। পৃথিবী এতোদুর এগিয়ে আসতো না যদি চাপাতি ক্রমাগত জিতে যেতে থাকতো। কলম জয়ী হবে, চাপাতির কোপ গায়ে নিয়ে হলেও।