প্রতিটা জেনারেশনেই একটা 'বিশেষ সময়' থাকে, যেটাকে স্মৃতীচারণের সময় 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করা হয়। অনেক ঘেঁটে দেখলাম যে আসলে উদ্দাম কৈশরকালকেই সেই 'আমাদের সময়' বলে উল্লেখ করতে আমরা ব্যাপক ভালোবাসি। প্রত্যেকটা জেনারেশনের কাছেই সেই সময়টা থাকে একটা ভিন্ন মাত্রা নিয়ে, সবার থেকে আলাদা। আমাদের সময়ে অমুক প্রচলন ছিলো, আমাদের সময়ে আমরা এইটা করতাম, ঐটা হতো ইত্যাদিকার কথায় এগিয়ে চলে স্মৃতীর পাতা।
বুয়েটে ভর্তির পর, প্রথম যেই টিউশানি পাই, সেইটা ছিল বাপ্পীকে পড়ানোর। কলাবাগানের স্টাফ কোয়ার্টারে ছোট্ট একটা দুই বেডরুমের বাসা, সেখানে যেয়ে আমি বাপ্পীকে পড়াতাম। বাপ্পী আমার এক বছরের ছোট, তখন তার ঢাকা কলেজে টেস্ট পরীক্ষার কিছু বাকী। প্রি-টেস্টে বা কোন একটা পরীক্ষায় প্রচন্ড খারাপ করার পরে ফিজিক্স আর ম্যাথ পড়ানোর জন্য শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।
জীবনের বেশিরভাগ সময় কংক্রিটের জঙ্গলে কাটিয়ে দেওয়ায় মনের ভেতর একটা তৃষ্ণা কাজ করে। চারিদিকে এত সুন্দর প্রকৃতি, তার কিছুই তো দেখা হলো না ! তাই যখনই ছিটেফোঁটা সুযোগ পেয়েছি, উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে গেছি সবুজ, নীল, লালকমলা কিংবা সাদার সান্নিধ্য পেতে।
শেষ পর্যন্ত বহু কাঙ্খিত ওয়াই-ফাই জোন পাওয়া গেল। যদিও এই মুহূর্তে ওয়াই-ফাইএর খুব বেশি দরকার নেই আমার। কিন্তু দরকার না থাকলেও উপরে আকাশের বদলে একখানা ছাদ আছে এমন কোনো জায়গায় ওয়াই-ফাই না থাকলে কেমন যেন দমবন্ধ হয়ে আসে। এমনিতেই প্রায় পনের ঘন্টা হতে চলল ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু, এমেসেন, এমাইয়ারসি, টুইটার, জিপ্লাস ইত্যাদি থেকে দূরে আছি। দুই একবার দুই এক জায়গায় ওয়াই-ফাই সংযোগ পেয়ে গেলেও টেস্ট করার জন্য হুট করে
যতবার চোখ বন্ধ করছি চৌদ্দ বছরের বাচ্চাটির ব্যথায় নীল হয়ে যাওয়া মুখটি দেখতে পাচ্ছি। ফেইসবুকে আপলোডেড ভিডিওটি দেখার সাহস করতে পারিনি। আমি কিছুতেই চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারছি না। এই শিশুটির মুখে নিজের সন্তানের মুখ বসে যাচ্ছে বার বার। বাংলাদেশে খুন করা আর কোনো নতুন বিষয় নয়। মানুষ খুন করা হচ্ছে প্রকাশ্যে, জড়ো হয়ে অন্য মানুষ তা দেখছে, ছবি তুলছে, এমনকি ভিডিও বানাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সাথ
এক চোট বৃষ্টির পর বালিপথে ফুটে উঠল হঠাৎ তোমার নাম
তারপর মাধবী ফুলের গন্ধ সারাটা সন্ধ্যা,
আহা, সুঘ্রাণ!
তখন পড়ি পল ভের্লেন,
কোথাও বাজে একটা বাগেশ্রীর আলাপ......
তখন মনে পড়ে মথুরার দিনগুলি,
=অ=লি=গ=লি=
আর মুরলী মোহন
কে যেন অলখে
সমগ্র আকাশে
এক সাথে জ্বালিয়ে দেয় নিযুত বাতি
বাতাসে ফুলের গন্ধ, রাত্রির আকাশে জ্বলে তোমার নাম।
যে চিঠি রওয়ানা হয়ে গেছে নরসিংদীর পথে
ওখানে আমার কিছু সংশোধনের ছিল...
যেইখানে বলার বিষয় কম সেইখানেই মূলত কথা হয় বেশি। বলার মতো কথা মাত্র একটা থাকলেই কেবল তারে বারবার অন্যভাবে বলতে ইচ্ছা করে; বারবার মনে হয় বাক্যটা সংশোধন করে দিলে বোধ হয় কথাটা আরেকটু ভালো হয়ে উঠবে। অন্যদিকে দরকারি কথাগুলা হয় বড়ো বেশি একবাক্যের; সংশোধন অযোগ্য...
সকালে বিকালে উঠে রোজ অকালে। গোলেমালে ফাঁকতালে বাসে ঝুলে বেহালে। আজ নেই কাল নেই মাল নেই… মৃদু স্বরে গান গাড়িতে বাজে আর আমি রিয়ার ভিউ মিরর দিয়ে দেখি আমার দুই বছরের মেয়ে মন দিয়ে মাথা দুলাচ্ছে গানের তালে তালে। এইটা তার ফেভারিট গান। আমি গলা উঁচিয়ে জিজ্ঞেস করি আব্বু, এইটা কার গান? আমার মেয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে “অন্নব”, বলে আবার মাথা দুলানিতে ফিরে যায়। আমিও মাথা ঝাঁকিয়ে তাল দেই আর গান ধরি অর্ণবের সাথে। ঘুরঘুর ফুরফুর নাকে হাওয়া সুড়সুড় লাগিয়ে বাগিয়ে লোকজন রাগিয়ে টিকাটুলি বাড্ডায় অলিগলি আড্ডায় বকাবে ঠকাবে থুতু দিয়ে চা খাবে রোজ রোজ...।আমার মেয়ে পিছনে তার মাকে বলে মা আব্বু গান কচ্ছে। অন্নব।
আমাদের প্রিয় ছিল ছাদটা, মেয়েদের পাঁচটি হলের মধ্যে একমাত্র আমাদের হলেই ছিল তালা চাবি বিহীন খোলা ছাদ। অন্য মেয়েদের সকরুণ ঈর্ষাকে অবলীলায় তুড়ি মেরে আমরা কী দিন, কী রাত সেই ছাদে হুল্লোড় করতাম, আড্ডা দিতাম, ফোন কানে হাঁটতে হাঁটতে প্রেম করতাম, ক্লাস প্রেজেন্টেশনের মহড়া করতাম। হল খোলা থাকার বিকেল ১ম ব্লকের বিচ্ছিন্ন একলা একা ছাদ বা অন্য তিনটা ব্লকের সংযুক্ত ছাদ বসে, দাঁড়িয়ে, ঝুঁকে কিংবা চিলেকোঠায় শুয়ে থা
[justify]১৯৯১ সালে ইরাক যুদ্ধ শুরু হলে বীর পূজারী মুসলিমদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষে পরিণত হন সাদ্দাম হোসেন! আরবের শাসকরা যতই সাদ্দামের বিরুদ্ধে থাকুক না কেনো, কিংবা আমাদের মতো দূরবর্তী দেশগুলোর শাসকরাও যুদ্ধে কুয়েতের পক্ষে অংশ নিক, সাধারণ মুসলমানদের মাঝে এই লোকটা ছিলো অসম্ভব প্রিয়। তখনকার বাংলাদেশে অনেক নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে সাদ্দাম। আমার পরিচিত একজন শিক্ষিকা তার ছেলের নাম রাখেন সাদ্দাম!