আমার কেবলমাত্র এ বছরের বাজেট পড়া শেষ হল। ভাবলাম কিছু খুচরো তথ্য বা ট্রিভিয়া সেখান থেকে এখানে টুকে রাখি। তথ্য বাছাইয়ের একমাত্র ভিত্তি হল পাঠক হিসেবে আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।
১। আমরা যদিও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাজেটটি শুরু হয়েছে ধর্মীয় প্রথা দিয়ে।
গত দুদিন ধরে অনলাইনে অফলাইনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য কওমি গ্যাং এর চার লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া নিয়ে। খবরে জানা যায় (সিপি গ্যাংয়ের অনুদান প্রাপ্তিতে প্রতিক্রিয়া-সমালোচনা) -
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুদান পেয়ে ফেইসবুকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার সমর্থকদের ইন্টারনেটভিত্তিক সংগঠন সিপি গ্যাং। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের অনেকে ফেইসবুকে দেওয়া তাদের সমালোচনামূলক পোস্টে বলেছেন, ইন্টারনেটে কুরুচিপূর্ণ সংগঠিত আক্রমণকারীদের জনগণের করের টাকার ভাগ দিয়ে সরকার সাইবার সন্ত্রাসকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।
কওমি গ্যাং এর টেকাটুকা অনুদান পাওয়া নিয়ে যারা হাউকাউ করছেন তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার, ছাগু তাড়ানো এবং অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে কওমি গ্যাং এর অবদান সম্পর্কে কিছু জানেনই না। সেইসাথে টাকা কে পেয়েছে কোন খাতে পেয়েছে সে সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করাও ঠিক না। মাত্র কয়েকবছর আগে গজানো এই সংস্থাটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সহ নানা খাতের বিকাশের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বুদ্ধি বা শিক্ষার অভাব তাদেরকে থামিয়ে রাখতে পারেনি অনলাইনে নিজেদের দুরন্ত প্রভাব বিস্তার করা থেকে। সব লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। কিন্তু অত্যন্ত সংক্ষেপে তাদের কিছু অবদান ও অন্যান্য বিষয় তুলে ধরছি।
কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের ফলে সমগ্র আমেরিকায় সমকামী বিয়ে বৈধ হয়েছে। ফেসবুক ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়ার কারণে এই সংবাদ বহুদূর ছড়িয়েছে, এবং এই রায়ের কারণে বিভিন্ন দেশ ও সমাজে সমকামিতা নিয়ে উচ্চকিত বিতর্ক এখনও চলছে। বিভিন্ন জনের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য অনুসরণ করে দুঃখের সাথে পর্যবেক্ষণ করলাম যে আলোচনাগুলো তথ্যের অভাবে প্রায়ই অকথ্য গালিগালাজ এবং আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ায় পর্যবসিত হচ্ছে। লাইন ছাড়া ছুটে বেড়ানো সেই রেলগাড়িকে পথে আনার প্রচেষ্টা হিসাবেই এই লেখা। যেই সমাজ এবং যেই সময়ে এই রায় এসেছে, সেটার স্বরূপ না জেনে আমরা রায়ের মর্ম বুঝতে পারবো না।
ছোট ছোট সম্পাদক দ্বারা ছোট ছোট লেখকদের ছোট ছোট লেখা নিয়ে প্রকাশিত ছোট ছোট সংকলনগুলোকেই আমরা বলতাম লিটল ম্যাগাজিন। বড়ো পত্রিকার বড়ো সম্পাদকরা বড়ো লেখকদের লেখা ছাড়া ছাপাতেন না বলে আমরা পত্রিকার সাহিত্য পাতা খেয়াল রাখতাম মূলত আমাদের ছোট মানুষদের মধ্যে কে কোন ফাঁকতালে বড়ো পত্রিকায় লেখা ছাপিয়ে বড়ো লেখক হয়ে গেছে তা নজরদারি করার জন্য; যদিও তলে তলে বান্ডিল বান্ডিল লেখার সাথে বড়ো পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক ব
আমাদের সমাজে "বিবাহ" জিনিসটা আসলে কি ?
১।
শুভ জন্মদিন, প্রিয় সচলায়তন। শুভ জন্মদিন, সচল-হাচল-পাঠক!
২।
মাত্রাবৃত্ত-অক্ষরবৃত্ত-স্বরবৃত্ত ইত্যাদিকে কেতাবের বৃত্তে বন্দী রাখুন।
৩।
সুপ্রাচীন (মধ্যযুগীয়) পুঁথির সুরে পড়ুন। যুগের হাওয়া বলে কথা!
দেখতে দেখতে আটটা বছর পার করে নবম বছরে পা দিল আমাদের সচলায়তন। বাংলা ভাষায় কমিউনিটি ব্লগিঙের বয়সও প্রায় দশ। প্রথম দুতিন বছরে কয়েকটা ব্লগের মনোপলি, ঝাঁকে ঝাঁকে হুজুগে ব্লগের জন্ম-বিলুপ্তি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সর্বগ্রাসী আগ্রাসন সব কিছু পেরিয়ে সচলায়তন বেঁচে আছে। আদর্শিক অবস্থান, ব্লগিঙের নিজস্ব অন্তর্নিহিত শক্তি, বেশ কিছু ব্লগারের স্রোতের বিপরীতে চলার ঘাড়ত্যাড়ামি, নতুন করে আরো কিছু ঘাড়ত্যাড়া ব্
শুভ জন্মদিন সচলায়তন! সচলায়তন সূত্রে পরিচিত হয়েছি অনেক মানুষের সাথে। তাদের কেউ কেউ হয়ে উঠেছে একেবারে আত্মার আত্মীয়। এই এক জীবনের সঞ্চয় যে বন্ধুত্বগুলো তার বড় অংশটাই সচলায়তন সূত্রে। সচলায়তন সূত্রেই, দেশ, কাল, সীমানা, বয়স সব কিছু পেরিয়ে সমমনা কিছু মানুষের কাছাকাছি হতে পেরেছি। এমন অনেকে আছে অন্য কোনো সূত্রে দেখা হলে হয়তো আঙ্কেল বলে সালাম দিয়ে চলে যেতাম, আবার এমন অনেকে আছে, যারা হয়তো বড় ভাই বলে হাতের বিড়িটা ফেলে দূরে সরে যেত। এমন অনেকে আছে, যারা এই বাক-অপটু আমাকে অন্য কোথাও দেখলে দাম্ভিক অথবা বেকুব ঠাউরাতো।
মার্কিন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিদের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে ঝড় বয়ে গেছে। মার্কিন দেশের রায়ে বাংলাদেশের আদার ব্যাপারিদের কার্যত লাভ না থাকলেও এসব ইস্যুতে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনায় নিজেদের চেহারাটা আয়নায় আরেকবার দেখে নেবার সুযোগ ঘটে। বলাবাহুল্য আয়নায় দেখা চেহারাটা সুখকর অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতোই সুখকর অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায় না।