১।
সবুজঘরের ছাদভর্তি হলুদ রোদ্দুরে আচার শুকোতে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় রচনা। ভেজা চুল মেলে দিয়েছে পিঠে, ছাদে আচার শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুলও শুকায়। লালশাড়ীর আঁচলের প্রান্তটি হাওয়া লেগে ওড়ে, কার্ণিশে চিবুক রেখে দূরের মাঠের দিকে চেয়ে থাকে রচনা। কবেকার ভুলে যাওয়া গানের কলি তার মনে মনে গুণ্গুণ্ করে ওঠে পথভোলা ভোমরার মত।
শীতের দুপুর হালকা আলস্যে গড়িয়ে যেতে থাকে ফ্যাকাশে বিকালে...
আচ্ছা সচলের অনেকেই কি জানেন একবার এই সচলে মডু নির্বাচন নিয়ে একটা দারুন ক্যাচাল লেগেছিল। রংধনু মডুগণের আবির্ভাবের বহু আগের কাহিনী সেইটা। সে এক বিশাল ইতিহাস যাকে বলে পুরা ধুমান্ধার কান্ড। বস্তিবাসী লীলেন ভাইয়ের বাসায় সেইবার হাজির হয়েছিল মডু হইতে ইচ্ছুক বহু সচল। কাসেলবাসী হিমু ভাইয়ের সাথে তো ধূগোদার প্রায় লেগেই গিয়েছিল। হয়রান আবীর, পরিবর্তনশীল আর স্বপ্নাহতরা তো ধূগোদার পক্ষ...
ইনভার্সিটির জিগরি দুস্তরা আমার বাম কানেপশম মাইনা নিবার পারতাছিল না। তাগো ধারমা, আমি ফ্রন্টের ম্যায়াগো নগে প্রেম করবার নিগাই ফ্রন্টের পুলাহানগো নগে ঘুইড়া বেড়াই। নিজের সম্পর্কে এত বড় সত্য অফবাদ বাকি যৌবনে শুনুম কিনা সন্দ আছে।
কিন্তু লভ্যাংসের গুড় পিঁফড়ায় খাইয়া হালাইলো। ফ্রন্ট থিক্যা কুনো প্রেম কুড়াইতে পারলাম না। ফলে অন্য মক্কর ধরিতে হইল। জিগরি দুস্তগো নগে চব্বিশ ঘণ্টার বি...
আমি শিবির প্রথম দেখি ক্লাস সেভেনে। চট্টগ্রাম কলেজের ঠিক উলটো দিকে ছিল আমাদের স্কুল। একদিন ক্লাস পিরিয়ডে দেখলাম মাথায় টুপি, ছাগলা দাড়ি কয়েকজন এসে ক্লাসরুমে ঢুকলো। তাদের একজন স্যারকে বলল কিছুক্ষণের জন্য তাদের কাছে রুম ছেড়ে দিতে। আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই তারা এবার একটা ধমক খাবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই শিক্ষক আমাদের একা রেখে সুড়সুড় করে চলে গেলেন। তারা কী ভ্যাজর ভ্যাজর করেছিল ...
চ্যনেল আইতে যখন চাকরী করি তখন কোন মতে কষ্ট করে ৬,৪০০ টাকা দিয়ে একটা ফিলিপ্স স্যাভি মোবাইল কিনি; এখানেই শুরু আফসোসের! চারিদিকে বড়লোকের ছেলে-মেয়েরা চমতকার সব হ্যান্ডসেট ব্যাবহার করে আর তাদের মাঝে আমার মোবাইলটাকে মনে হত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভুল করে ঢুকে পরা এক বাচ্চা গরিলা!!!
অপু একদিন নিয়ে আসলো একটা BOSCH মোবাইল ফোন। তখনকার দিনের বহুল আলোচিত Startrek ফোনের চেয়েও ঐ BOSCH ফোন ছিল আরো স্ম...
রোজা রাখি না রাখি কিন্তু রোজার দিন আসলে নষ্টালজিক হয়ে যাই। রোজার টানে ??? না জনাব ইফতারের টানে। দেশে থাকতেও রোজা রাখতাম না কিন্তু তাতে কি বিনা পরিশ্রমে ইফতার খেতে পারতাম। রোজা কেনো রাখতাম না? কারন আমার মা জননী। রোজা রাখলে জান ভাজা ভাজা করে ফেলতো। রোজা রাখলে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ার কোন সুযোগ নেই। উঠাইয়া, টাইনা, ছ্যাচরাইয়া নিয়া কোরান খতমে বসাবে। কে কে ত্রিশ রোজায় ত্রিশ পারা পড়তেছে, ...
খুব ছোটবেলায়, হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর পাতায় না হলে উইণ্ডোজের স্ক্রীন সেভারে, প্রথম ডেলিকেট আর্চের ছবি দেখি। তখন নামটা জানতাম না। আর কোন বৃত্তান্তও না। তখন থেকে ভেবেছি একদিন বড় হয়ে এই জায়গাটায় যেতেই হবে। তো একদিন বড় হয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেখি নামধাম না জেনে এমন জিনিসের খোঁজ বের করাটা বেশ কঠিন কাজ (প্রাক-উইকিপিডিয়া যুগের কথা)। ছবি-টবি এঁকে, নানান অঙ্গভঙ্গী করে জ্ঞান...খুব ছোটবেলায়, হয
ইদানিং আমাদের কয়েকজনের একটা নিয়মিত আড্ডা দাঁড়িয়েছে । স্থান শাহবাগ, সময় বিকাল । শুরু হয় শুদ্ধস্বরে টুটুল ভাইয়ের ঘরে, সূর্যাস্তের পর আজিজ থেকে নিচে নেমে এসে মাশরুম চপ খাওয়া হয়, তারপর আজিজের আরেক পাশে রাস্তার মোড়ে চায়ের টঙ্গে বসে বেশ কয়েক দফা চা-সিগারেট সেই সাথে তামাম দুনিয়ার সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা । এই আড্ডার বিচ্ছিন্ন সব ঘটনা আর দূর্ঘটনা নিয়ে এই সিরিজ ।
এক বস্তা টাকা
শুদ্ধস্...
আমার বাকশে থাকতো এতটুকু ছানা মিষ্টি,
আমার চোখের কোণে তোর আটকে থাকা মুখ
আমি বলতাম, বৃষ্টি!
ডাক শুনে হুঁ বলে তুই তাকাতি আমার দিকে,
তোর নীলচে সবুজ স্কার্টে বাদামী ধুলো-
তোর সাদা শার্ট আর সাদাটে ফুল চারদিকে
তোকে ডাকলাম কই, আমি বলতাম, বৃষ্টি নামবে দেখ।
তোর অবাক ভুরু- আচ্ছা পাজি তো-
তোর চোখে টলটলে মেঘ।
আমাদের বাড়ির ঠিক পাশেই, তোদের পাশের বাড়ি,
আমাদের পাশাপাশি ইশকুল, আমাদের রোদ্দুর কা...
মকদ্দস আলম উদাসীর কথা প্রথম কোথায় শুনেছিলাম সেটা অনেক চেষ্টার পরও স্মরণ করতে পারলাম না। তবে বিস্তারিত জানতে পারি কবি মোস্তাক আহমাদ দীনের কাছে। ততদিনে মোস্তাক আহমাদ দীন ও শুভেন্দু ইমামের সম্পাদনায় লোকচিহ্ন থেকে বের হওয়া উদাসীর পরার জমিন বইখানিও আমার হস্তগত হয়েছে। পেপারব্যাকে ছাপানো ৩২ পৃষ্ঠার এই বইখানির শুরুতেই ভূমিকা হিসেবে কবি মোস্তাক আহমাদ দীনের একটি গদ্য ছাপা হয় মকদ্...