সেই সকালটাও আর দশটা সকালের মতোই সুন্দর নির্মল ছিল, পড়তে বসতে না চাওয়া পিচ্চি আমিটা সাত সকালেই গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা জবা দু’টো গুঁজে রাখছিলাম বেড়ার ফাঁকে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদ পড়লে জবার কুঁড়ি নিজে নিজে ফুল হয়ে ফোটে-এটা আবিষ্কার করে ফেলেছিলাম মাত্র কিছুদিন আগে । মা চা বানাতে আর বাবা আগের দিনের বাসি খবরের কাগজটা পড়তে ব্যস্ত, ছোটটা ওঠেনি ঘুম থেকে-সব মিলিয়ে সেই সকালটা আর দশটা সকালের চেয়ে খুব আলাদা কিছ
যারা চলে যায়, তাদের তো আর কোন দায় থাকে না।
তাদের সকালে উঠে আর অফিস যেতে হয় না, স্কুলের বাস মিস করে মন খারাপ করতে হয় না। বৃষ্টির দিনে তারা অফিসে ছাতা ভুলে ফেলে আসে না, গায়ে জ্বর নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় না। তাদের নেই মাস শেষে নানান বিলের খরচা মেটানো, নেই কোনো জন্মদিনের অথবা বিয়ের দাওয়াত রাখার দায়। ক্লান্ত দিন শেষে ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে তাদের ঘরে ফেরার টান নেই--
[justify]প্রবাস জীবনের শুরুতেই নিতান্ত পেটের দায়ে যেটা শিখতে হয়েছে তা হল খিচুড়ি রান্না। গত কয় মাসের চর্চায় খিচুড়ি রন্ধন প্রক্রিয়ায় বিশেষ পারদর্শীতা অর্জন করেছি। সেই পটুতার খানিকটা রসুইঘর থেকে লেখার পাতাতেও চলে এসেছে। এর নিদর্শন কিছু এই লেখাতেই পাওয়া যাবে। লেখা-ছবি-হাবি-জাবি মিলিয়ে ব্লগটা বেশ উঁচু পদের খিচুড়ি হয়েছে বোধকরি। তবে খুব উপাদেয় হয়েছে এমনটা মনে হয় না। এই ফাঁকে বলে নেই, আমার চাল-ডালের খিচুড়
খুন,ধর্ষণ সহ নানান সামাজিক অপরাধে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ যখন শঙ্কিত, লেখক ও ব্লগার হত্যার প্রতিবাদে সুশীল সমাজ চুপ করে থাকলেও যখন কথা বলছেন একমাত্র জাফর ইকবাল স্যার, ঠিক তখনই আবারও তাঁর বিরোধীতা করে মাঠে নামলো "সচেতন সিলেটবাসী" নামের একটি স্বার্থান্বেষী মহল। 'আবারও' শব্দটা ব্যবহার করছি কারণ এর আগেও ২০১৩ সালে এই ব্যানার নিয়েই স্যারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল তারা। তখন তারা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বা
[ নিধির ভয় পাওয়ার কিছু নাই
এই নজরুল সেই নজরুল নহে ]
বিদ্রঃ ২৭ মে, ২০১৫ বেলা ১০.৪৫ ঘটিকায় কিঞ্চিত সম্পাদনা করা হল। ধন্যবাদ।
নির্দিষ্ট করে কোন কিছু নয়। কিছু একটা নিয়ে - যা হঠাৎ করে জলের অতল থেকে উঠে এসে ঘাই মেরে গেল অথবা নিরন্তর কুট কুট করে কামড়ে যাচ্ছে । সেই খুচরো হাসি-কান্নাগুলো ভাগ করে নেওয়া। প্রধান স্রোতের খবরদারী কি খবর্দারী করা মাধ্যমে হলে বলতাম ভাগ করে দেওয়া। সেখানকার মহাজনেরা দিয়েই খুশী। নিতে হলে তারা লেখার কি অর্থ পড়ুয়া করল তার থেকে লেখার অর্থ প্রকাশক কি করল সেটা যে অর্থ সকল অনর্থের মূল বলে প্রচারিত সেই অর্থে নিতে পছন্দ করেন। ব্লগের লেখা সেই মিনারবাসীর নয়, সাগরতীরের, মিলাবে-মিলিবে, যাবে না ফিরে।
১
উনি বাংলাদেশ থেকে বেশ অনেকদিন হলো কানাডায় এসেছেন। কথা হলো । ব্যাপক বিরক্ত অন্টারিওর নতুন যৌন শিক্ষার কার্যক্রম নিয়ে।" দেখেন তো, গ্রেড ফাইভে এরা ছেলে মেয়েদের স্বমেহন সম্পর্কে শেখাবে? ভাবুনতো ক্লাস ফাইভের ছেলে যদি এসে বলে, বাবা ক্লাসে আজ মাষ্টারবেশান শিখে আসলাম, তাইলে আপনার কেমন লাগবে?" তাই এখানকার রক্ষণশীল কমিনিউটির শ্লোগান , শিশুদের শিশুই থাকতে দিন।
আরো অনেকের মতো আমারো ইন্টারনেট মেইলে যাত্রা শুরু হটমেইলকে দিয়ে। হটমেইলে আমি প্রথম কাকে চিঠি লিখেছিলাম আজ মনেও নেই। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সেই চিঠি প্রাপক আমার কাছের কোন মানুষ ছিল না। অফিসের কোন কলিগ, সম্ভবতঃ বিদেশী কলিগ কাউকে লিখেছিলাম হয়তো। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করাতে একাউন্ট সাসপেণ্ড হয়ে গিয়েছিল বলে হটমেইলের সবকিছু মুছে গেছে তাই মনে পড়ে না কোথায় প্রথম লিখেছিলাম।
প্রথমে ভাবলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করি লিখে ফেলি। কিভাবে বড় আওয়ামীলীগ হবেন? How to be a Shomser Uncle নামে।পরে হাই তুলে মনে হল অত কথায় কাজ কি। অল্প কথায় কাজ সেরে ভাগি বরং। জাফর ইকবাল কে সেটা আমরা সবাই জানি। দেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন, নামকরা শিক্ষক, কলামিস্ট, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি নানা পরিচয় দেয়া যায়। আমার কাছে তার পরিচয় একটাই। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। একের পর এক ভয়ঙ্কর সব অন্যায় হয়ে যাবার পর যখন দেশের সব বড় বড় লেখক বুদ্ধিজীবীরা গাছ ফুল লতা পাখি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন এই জাফর ইকবালের মতো অল্প কিছু লোককে দেখি সহজ কথাটা সহজে বলে ফেলতে। বাকিরা যখন রাজামশাই সিল্কের কাপড় পড়েছেন নাকি মসলিন সেই নিয়ে নানা গবেষণা করে যায় তখন এরকম দুই একজন বোকা লোককে এসে মুখের উপর বলতে দেখি, রাজামশাই তো ন্যাংটো! তারপরেও অনেক কারণে অনেক লোকের মন ভরে না। তিনি কেন এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, তিনি কেন ওই করলেন না, নিশ্চয়ই তবে তিনি সেই দলের বলে হেঁচকি তুলে কেঁদে যায়। এই বাতিঘরের কি কি সমস্যা, তার আলো কত উজ্জ্বল, তার দেয়াল কত শক্ত এসব নিয়ে যারা আলোচনা করতে চান করে যান। আমার লেখার উদ্দেশ্য বা বিষয় তা নয়। আমার কাছে দোষত্রুটি মিলিয়ে এই বোকা, আবেগপ্রবণ, আশাবাদী লোকটি এখনও আশার বাতিঘর। তাই সেটা মেনে নিয়ে এবারে বরং মোশতাকের এর কাছে যাই।
আমরা ভুলে যাই। কারণ লজ্জার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চে’, ভুলে যাওয়া অনেক সহজ। তাই আমরা প্রতিদিন আড্ডা দেই- রাজনীতি,ধর্ম আর ক্লাব ফুটবল নিয়ে ঝগড়া করি; মিথলজির মত চিত্তাকর্ষক বিষয়ের সাথে পার্থিব পলিটিক্স আর জাতিগত ইতিহাসের মত জটিল বিষয় মিলিয়ে অব্যার্থ ভাবে প্রমাণ করি আমরা এক এক জন জ্ঞানের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। তক্কে তক্কে অপেক্ষা করে বসে থাকি- কোন ব্লগার মরলেই, কোন নারীর উপর অন্যায় হলেই আমরা ফেসব