মাসরুর আরেফিন ইলিয়াডের অনুবাদকের নোটে এক জায়গায় লিখছেন হোমারকে আক্ষরিক অনুবাদ করতে চাওয়ায় তাকে 'আত্মা হাড়গোড় ছেড়ে গেল' — এমন একটা অভিব্যক্তি লিখতে হইছে, যেটা বাংলাসুলভ না।
আত্মা দেহ ছাইড়া গেলে অধিক বাংলা হইত কিন্তু হোমারের অক্ষর পালন হইত না, যেহেতু গ্রীকে যা লিখছে, তাতে হাড্ডিই বুঝায়। as his spirit left his bones।
সুন্দরী প্রসঙ্গটাই আমার প্রিয়। মানে সুন্দরী বালিকা। অবশ্য বালিকামাত্রেই সুন্দরী। তাই বৈজ্ঞানিকভাবে বললে বালিকা প্রসঙ্গটা আমার প্রিয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকগুলো সুন্দরীকাব্য লিখেছিলাম। ঝড়ের মতো ধুপধাপ করে লেখা। সেইসব পড়ে যথেষ্ঠ লোকে আমার ফেসবুক ফিড আনসাবস্ক্রাইব করেছে বলে ধারনা করি। তাই আপাতত আর ফেসবুকে কিছু লিখছি না। এইখানে নতুন পুরাতন মিলিয়ে গোটাকয়েক লিখে দিলাম। আপনারা তো জানেনই পৃথিবীতে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, একটি হচ্ছে বালিকা, অন্যটি হচ্ছে বালিকার বান্ধবী।
[justify]সবচেয়ে নিষ্ঠা, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায় আর গুরুত্ব দিয়ে যে কাজটা আমি করতে পারি, তার নাম আলসেমি। এই কাজে আমার কোনো জুড়ি নেই। এই যেমন ঘরস্ত্রী আজ সকাল থেকে অন্তত দশবার এসে বলে গেছে ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিলেই যে ধোপাখানা, সেখানে ক'টা কাপড় দিয়ে আসতে। যাবো যাচ্ছি করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আনতে পেরেছি, আরেকটু পরে বলবো আজ তো রাত হয়ে গেছে, কাল নিয়ে যাবো।
বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে হাতে গোনা একটি বা দুটি শিল্প বাদে নারীদের অংশগ্রহণ খুব কম। নারীদের কাজের পরিবেশ নারীবান্ধব নয় এবং সেইসাথে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ পাবার ক্ষেত্রেও নারী কর্মীরা নানাধরণের স্টেরিওটাইপিং ও বাধার সম্মুখিন হন। সাধারণ্যে এরকম একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্যই কোটা রয়েছে। বাস্তবে এই কোটা শুধুমাত্র হাতে গোনা কিছু সরকারি চাকুরিতে পাওয়া যায়। বেসরকারি খাতে নিয়োগদাতারা নির্লজ্জ "শুধুমাত্র পুরুষরাই আবেদন করতে পারবে" সংস্কৃতি চালু রাখেন। বিডিজবসে প্রকাশিত চাকুরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বেসকরকারি খাতে পুরুষদের বরাদ্দ প্রায় ২০% যেখানে নারীরা আবেদন করতে পারেন না। অপরদিকে শুধুমাত্র নারীদের জন্য কাজের সংখ্যা সংখ্যা ৩-৪%।
আমি দল বুঝিনা মত বুঝিনা, বুঝতে নারাজ বিশ্ব-
আমার ধমনীতে লক্ষ শহীদ, শহীদ-মাতার স্পর্শ --
তুমি কে আসো হে শেখাও আমায় বীর-বাঙ্গালীর গর্ব!
আমি হার মানি না মনের ভুলে-ও, যাচ্ছি লড়ে, লড়বো!
আমি এক বাঙালী সত্ত্বা-জুড়ে সব বাঙালীর সাধ!
আমি বাংলা মায়ের তারুণ্য সে চেতনায় অবাধ --
তুমি মন্ত্রণাতে ভাবছ আমায় ভুলিয়ে দেবে সব?
আমি উল্টো স্রোতের মুখামুখি থাকি না নীরব:
জেনেছি জন্ম আর মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। কিন্তু এই বঙ্গে জন্মে দেখছি মৃত্যু মৌলবাদীদের হাতে। মৌলবাদীদের চুরির তলে নিজ মস্তক বিছিয়ে দিয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হবে এমন অলিখিত নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিটি সূর্যদয় আর সূর্যাস্তের সাথে। না এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির দল ক্ষমতায় নেই, না এখন রাজাকারের দলও ক্ষমতায় নেই। এখন ক্ষমতায় যারা তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, তারা ধর্মনিরপেক্ষ অসম্প্রদায়িক মান
কাহিনী-১
আমাদের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় বদরুল খালু সপরিবারে আমাদের নানু বাড়িতে বেড়াতে আসলেই দেখতাম খালা-নানু মহলে হাসির রোল পড়ে গেছে। সবাই বলাবলি করত বিড়াল আসছে, সাবধান! নানুরা অনেক ভাই-বোন ছিল, সবাই একই শহরে খুব কাছাকাছি থাকতো। আমরাও অনেক খালা-মামা আর নানা-নানুর সাথে হাসিঠাট্টা করে বড় হয়েছি। যাইহোক, ছোটকালে ভাবতাম বদরুল খালুকে বেড়াল ডাকা হয় উনার চেহারার কারণে, কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরেই আসল কাহিনী ধরতে পারলাম। এক খালা এসে একদিন বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল যে উনার কিন্তু একটু খামচানোর স্বভাব আছে, নিজের পশ্চাৎদেশ বাঁচিয়ে চলো, কিছু হইলে আবার আমাদের দোষ দিয়ো না!
পাঠক জীবনে লেখক কৃষণ চন্দরের কোন ধরণের লেখার সাথে পরিচয় ছিলো না এতকাল। ফলে কোন ধারণাও ছিলো না লেখকের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম নিয়ে। গত বইমেলায় নানান স্টলে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে একটা আনকোরা লেখকের অদ্ভুদ সুন্দর নাম চোখে পড়লো। বইটির নাম দেখেই পছন্দ হলো, কি সুন্দর নাম ‘আমি গাধা বলছি’, তাই কিনে ফেললাম। নাম দেখেই এইটুকু বুঝেছি এটা স্যাটায়ার ধর্মী কোন লেখা হবে। কিন্তু সেই স্যাটায়ারের পরিধি যে এত ব্যাপক হ
সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আরেক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনন্ত বিজয় মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ব্লগার অনন্তের প্রকাশিত চারটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন তিনি।
আজ সকালে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবেই খুন হন অনন্ত বিজয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি গওসুল হোসেন জানান, অনন্ত বিজয় দাশ সকাল ৯টার দিকে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে শহরের দিকে আসার সময় হামলার মুখে পড়েন।
বরাবরের মতোই আগে থেকে ওত পেতে থাকা চারজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।