সচলায়তনের বিভিন্ন বিষয়ের পোস্টগুলোর মধ্যে থেকে ছবি বিষয়ক পোস্ট অথবা ছবিব্লগগুলোর উপর আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। অরূপ ভাই, মুস্তাফিজ ভাই, মুর্শেদ ভাই, শোহেইল মতাহির ভাই, পিপিদা, হিমুদা এবং তুলিপুর ছবি বিষয়ক পোস্টগুলো সবসময় চেষ্টা করি পড়ার জন্য। ছবিগুলোর সৌন্দর্য্য দেখে সবসময়ই মুগ্ধ হয়ে যাই। এঁরা ছাড়াও যাদের নাম বলতে ভুলে গেছি তারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। সচলের কি...
এই রূপকথায় উল্লেখিত চরিত্রগুলোর সহিত বাস্তবের কিংবা পরাবাস্তবের কোন চরিত্রের কোন প্রকার মিল নাই। যদি কোন পাঠক তাহার পরেও মিল খুঁজিয়া পান তবে তাহা একান্ত ভাবে উক্ত পাঠকের দুরভিসন্ধিমূলক মনের পরিচায়ক হইবে। ইহাতে অধম লেখককে কোন প্রকারেই দায়ী করা যাইবে না।
-----------------------------------------
পঞ্চবটি রাজ্যের রাজা মাননীয় ধুগো একদা প্রাসাদের ছাদে পদচারণা করিতে করিতে বৈকালিক মৃদুমন্দ সমিরন উপোভ...
১।
আমি মৌনী ছিলাম, ছিলাম নিরর্থক ঋণী।
এবার একটু ধানী হই, ধনী হই-
একটিবার কাছেটি আয় দিকিনি!
[১৩ মে ২০০৯, মহাখালী, ঢাকা]
২।
আয় এক চুমুতে পান করি আজ প্রেমের এক চুমুক-
উত্তাপে না কাঁপুক, ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভরি বুক।
আয় আরেক চুমোয় পান ক'রে নিই আরেক চুমুক তুই-
কাঁধের ছোট্ট চড়ুই, তোরে কোনখানে যে থুই!
[১৪ মে ২০০৯, মহাখালী, ঢাকা]
চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাই...
যথারীতি অতি পুরাতন লেখা! তবে মনে হয় সচলায়তনের দুই-একজন ছাড়া বাকিরা কেউ এটা পড়েননি।
আমি ভাবিলাম, ভালোই তো! এই পোড়া দেশে বসিয়া সেমাই খাইবো। মন্দ কি?
কিন্তু হায়! কিয়ৎকাল পরেই বুঝিতে পারিলাম সোনার বাংলার যাহা "সেমি" আমেরিকায় তাহাই "সেমাই"!
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-১
ক্যামেরা হাতে নেবার পর থেকে আমার প্রিয় বিষয় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্থের ছবি তোলা। তেমনি কিছু কিছু ছবি এ লেখায় আপনাদের দেখানোর ইচ্ছা আছে। চলুন শুরু করি
১/২।
২০০৫ এর ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখ ভোর বেলা, ঘুম চোখে গাড়ী চালাচ্ছি, বারে বারেই চোখ চলে যাচ্ছে ডাইনে, সুর্যের প্রথম আলো গাছপালার ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে, পাশে কোন খালি জায়গা না থাকাতে পুরো সৌন্দর্যটা ঠিক ধরতে পারছ...
ক্যামেরাবাজিতে আমরা নেমে গেছি। বইয়ের ভাষায় দুয়েকটা শুদ্ধ কথা বলতে হয় বলে প্রথম চার পর্বের নখরা শেষে আমরা এখন প্রস্তুত ক্যামেরা হাতে। তবে বুঝা যাচ্ছে শুধু পোস্ট পড়েই বেশিরভাগ পাঠক ক্যামেরাবাজ হয়ে উঠতে চান, ক্যামেরা নাড়াচাড়া করতে নারাজ। কথাটা একারণে বলা যে প্রথম বাড়ির কাজটা এখনও পাওয়া যায় নি।
প্রথম বাড়ির কাজ ছিল নিজের ক্যামেরার সুবিধাগুলো পরীক্ষা। সক্রেটিস যদি ক্যামেরাব...
কালকের কান্ডে সাহস পেয়ে আজো তুলে দিলাম দু'খানা ছবি।
ছবির সাথে লেখা আমার কেমন যেন বাহুল্য মনে হয়। ছবি নিজেই তো কথা বলে, কান পেতে সেকথা শুনতে চাইলে কত কী ই তো শোনা যায়! তাই নয়?
আজকাল আমার পরিপূর্ণ মুক্তির জীবন, চব্বিশ ঘন্টাই নিজের হাতে যা খুশি করার জন্য। তো একটা জিনিস আমি অবশ্যই করি, সেটা হলো ঘড়ি উল্টোপাল্টা করে দেওয়া। শোবার ঘরের টেবিল ঘড়িটা বাথরুমে রেখে এসেছি, হাতঘড়িগুলো ড্রয়ারের অন্তরতর থেকে অন্তরতম কোণে ঢুকিয়ে দিয়েছি, দেয়ালঘড়ি নামানোর ঝামেলা যদিও করি নি আলসেমি করে, তবে তাকানো ছেড়ে দিয়েছি।
এত সব পরিশ্রমের ফল হিসেবে এখন আমার দিনরাতের ...
পাকিস্তানের ঘটনাবলী নিয়ে আমি সাধারাণত চুপ থাকি বা আগ্রহ দেখাইনা। এর পিছনে হয়তো জাতীয়তাবাদী সঙ্কীর্ণতা আছে এবং ঐতিহাসিক কারণে আমি তাতে একটুও অনুতপ্ত না। পাকিস্তানের কোথাও কোন ক্ষতি হলে ভালোই লাগে। মনে আছে ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৪২ রানে অল আউট হবার পরে আমাদের বাসায় মোরগ পোলাও রান্না হয়েছিল। এখনো পাকিস্তানের কোন ক্ষতি হলে মনমেজাজ ভালো ...