এই পোস্টে শুধুই ছবি থাকুক। কথা পরে হোক। কিন্তু কিছু কথা বলতেই হচ্ছে, নইলে প্রথম পাতা ভচকে যাচ্ছে ছবির সিরিয়ালের চাপে।
ছবিগুলো হল্যান্ডের লিসে শহরের বিখ্যাত টিউলিপ বাগান কয়কেনহোফে তোলা। এপ্রিল থেকে মে, মোটামুটি মাস দুয়েকের জন্যে কয়কেনহোফে টিউলিপ উৎসব হয়। ৮০ একর বিস্তৃত এই বাগানের ভেতরে কয়েকটা সরোবরের চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন জাতের, বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন নকশার টিউলিপ।
১-১১ পর...
জীবন থেকে নেয়া
আমার যতো দোষ
আমাদের ছোটবেলায় ঢাকা শহরে মধ্যবিত্ত পরিবারে ভি।সি।আর এর বেশ একটা প্রচলন ছিল। যার প্রভাবে আজকের আমাদের শহুরে জীবনযাত্রা অনেকটাই বিদেশ ঘেষা। আমরাও এর প্রভাব মুক্ত ছিলাম না। আমাদের যৌথ পরিবার ছিল বিধায় তিনরকমের শো চলত। বড় ভাই, যুবক চাচাদের ইংরেজী ফ্লিমের শো, অবশ্যই যখন আব্বু এবং অন্য মুরুব্বী চাচারা বাসায় থাকতেন না তখন। আব্বু - চাচাদে...
ইংরেজিতে "misery loves company" বলে একটা কথা আছে। বিভিন্ন রকম ঢুঁসঢাঁস খেয়ে আমার অবস্থা কিছুটা সেরকম। সারাদিন ভ্যাজর ভ্যাজর করে বেড়াই নিজের ঝামেলাগুলো নিয়ে। এই নিরন্তর ঘ্যানঘ্যান মুখ থুবড়ে পড়ে কিছু মানুষের সামনে। এরা মোটামুটি কানে ধরে হিড়হিড় করে বের করে নিয়ে আসে আমাকে আমার অন্ধকার গুহা থেকে। এরকমই দু'জন বন্ধুর জন্মদিন আজকে -- জি এম তানিম এবং আজমীর।
দ...
আমি সারা জীবনে কারো চাকরি করি নাই, কারো বশ্যতাও স্বীকার করি নাই, কিন্তু একজনের কাছে আমি ধরা- সে হইল আমার মা। উনি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ছেন, তারপর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়নি, কিন্তু বিজ্ঞতা, সমঝদারিতা, সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় উনি আমার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। আমার মাথায় ছিটে ফোটা যা বুদ্ধি তার সবই আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। আর বেশী বেশী আবেগ, রাগ, ফোৎ করে কাইন্দা ফেল...
নদীর প্রতি ভালবাসা আমার অন্তহীন। না, নদী বলতে এখানে কোন নারীর নাম বোঝানো হচ্ছে না। নদী বলতে আমি প্রাকৃতিক জলধারাকেই বোঝাচ্ছি। অযথা কেউ অন্যকিছু ভাবিয়া পিড়ীত বা প্রীত হইবেন না।
তো নদীর প্রতি এই অন্তহীন প্রেমের কারণে আমি সুযোগ পেলেই নদীর কাছে ছুটে যাই। জন্ম আমার নদীমাতৃক অঞ্চলে বলেই বোধহয় এমন নাড়ির টান অনুভব করি।
নদীকে ঘিরে আমার শৈশর কৈশোরের কত স্মৃতি। তারুন্যের স...
জানা ছিলো না
রূপকথার শেষে
জলের স্বাদটা নোনতা হয়ে যায়।
তাই যেখানে ঘাসফুলে
তোমার চুল
সেখানে মেঘেরা থেমে যায়
আর খুব সত্যি হয়ে ওঠে
গোলাপী মলাট-
বাঁধানো একটা রূপকথা।
তারপর-
অপ্সরী যখন রাজকন্যা
তখন উষ্ণতা নয়
চোখের কোণে
জমে থাকে বরফের কবরে
বিসর্জনের আগমুহুর্তের নিঃশ্বাস।
আর
রাজত্ব সহ অর্ধেক রাজকন্যা
অম্লের পেয়ালায়
রসায়নের সমীকরণ মেনে
আনমনে মেশায় এক চিমটি ক্ষার।
রূপকথার শ...
কাল রাত থেকেই মেজাজ-টা খিঁচড়ে হয়ে ছিল; বহু প্ল্যান-প্রোগ্রাম করার পর সব যদি ভেস্তে যাবার উপক্রম হয় - তাহলে মেজাজ না চড়ে আর যায় কোথায় ? অবশ্য এ ধরনের পরিস্হিতিতে আমি দু'টো সহজ-সরল, সেল্ফ-মেড নিয়ম মেনে চলি - এগুলো বলা যেতে পারে দুরন্ত'স ল'স অফ ইটারনাল হ্যাপিনেস:
1. be responsible for whatever you do
2. never blame others
(এখনো অনুবাদ করা হয় নাই)
যাই হোক - প্রথম ল' অনুযায়ী প্ল্যান-প্রোগ্রাম যেহেতু আ...
১৯৯২ সালে আমাদের বাবা যখন না ফেরার দেশে চলে যান, তখন আমাদের ভাই-বোনদেরকে মোটামুটি অপোগণ্ড বলা যায়। বড় বোনের সবে বিয়ে হয়েছে, মেজ বোন আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকিরা কোন যোগ্যতা অর্জনের বয়সেই পৌঁছোয়নি। বাসায় তখন কোন উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, আমাদের কোন সঞ্চয় নেই, নিয়মিত আয়ের কোন উৎস নেই। উদ্বাস্তু পরিবার বলে সাহায্য করার মত কোন নিকটাত্মীয়ও নেই। আমার হয়তো তখন...
এই লেখা নেহাৎই ব্যক্তিগত। ব্যক্তিগত? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। 'মা' তো সর্বজনীন। কিন্তু এই লেখা লিখতে গিয়ে ব্যক্তিগত কথাও চলে আসছে কিছু।
=============================================
আমার বোন বয়সে আমার চেয়ে বছর পাচেকের ছোটো। বিয়ের কল্যাণে সে এখন আমাদের সঙ্গে থাকে না। শুধু সঙ্গে থাকে না তাই না; সে আমাদের চোখের সীমায়ও থাকে না। সে থাকে বহু দূরে। প্রায় চাঁদসমান দূরত্বে- জার্মানিতে। বোনটার ভাইও, মানে আমি, অতো পয়স...
১৯৯৭ সালের কথা। ইন্টারনেট তখনো নতুন ধারনা বাংলাদেশে । পুরো অফিসে একজনের পিসিতেই ইন্টারনেট কানেকশান ছিল। ভাগ্যবানটা আমি। তখনো ইন্টারনেটে কোন কাজ নেই আমাদের। ডায়াল-আপ কানেকশানটা নেয়া হয়েছিল মুলতঃ মেইল করার জন্যই। মিনিট হিসেবে বিল আসতো। খুব ব্যয়বহুল। শুধু কানেকশান নিতেই লেগেছিল দশ হাজার টাকা। মডেমটাও আলাদা কিনতে হয়েছিল। মেইল চেকের ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পেলেই ইন্টারনেটে বিশ্ব ঘ...