সেই আশির দশকে প্রথম যৌবন বেলায় তোমার ঘাড়েও চেপেছিলো কবিতা আর লিটল ম্যাগের ভূত; ওই বয়সে যা হয় আর কি! কবিতা তোমায় ছেড়ে গেছে সেই কবে, এমন কী লিটল ম্যাগও (সেই বয়সে যা হয় আর কি!)।
তো এ হেন কাণ্ডকারখানা করতে করতে লেটার প্রেসের সঙ্গে তোমার পরিচয়...ঊনপ্রেম ছাপাখানার ভূতের সঙ্গে। ...সেই থেকে চিটচিটে ঘামের মতো সে তোমার সত্তায় লেপ্টে ...
পৃথিবীতে যে কজন লেখক একেবারে মাটির কাছাকাছি তাদের মধ্যে নুট হামসুন অন্যতম। নুট হামসুনের এই উপন্যাসটি মহাকাব্যের লক্ষনাক্রান্ত। পড়তে পড়তে অবশ হয়ে যেতে হয়। নরওয়ের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলের বর্ণনা পড়তে পড়তে প্রকৃতির ভেতর ডুবে যেতে হয়। এ উপন্যাসের নায়ক আইজাক যেন আদম। এই বনাঞ্চলে সেই যেন প্রথম মানবসন্তান। এই অবারিত প্রকৃতির ভেতর সে গড়ে তুলতে চায় তার বাসস্থান। এই অনাবাদি জমিতে সত্যি ...
ঘটনাটার সময়কাল ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন হবে। সম্ভবতঃ ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছি তখন। আমার ছোট ভাইও সম্ভবতঃ মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছে। একসাথে তাই ছুটি কাটাতে গিয়েছি সেজ খালার বাসায় রংপুরে। সেজ খালার আমাদের সমবয়সী দুটো ছেলে আছে। বড়টা করিম, আমার সমবয়সী। ছোটটা রহিম, আমার ছোটভাইয়ের সমবয়সী। বলাবাহুল্য আসল নাম বদলে রহিম আর করিম ব্যবহার করা হয়েছে এখানে।
অল্পবয়সী চার বান্দর এক সাথ...
আমি ফেসবুকে একজনকে বন্ধু করেছি -
সে স্ট্যাটাস পালটায়, ছবি পালটায়
পালটায় জন্মতারিখ,
আমি ইউটিউবে একজনকে সাবস্ক্রাইব করছি -
সে নাচে - গায় এবং হাসে
বাংলা-ইংরেজী ও হিন্দিতে,
আমি ব্লগস্পটে একজনকে ফলো করছি -
সে কতো রকম ছলচাতুরি করে
গল্পে ছবিতে দিনলিপিতে, তারপর
ফেসবুকের বন্ধুটি ডিম সেদ্ধ করে স্ট্যাটাসে
ইউটিউবে নর্তকীর বয়স বাড়ে ভিড্যু আপডেটে
ব্লগস্পটের চতুর বাড়ায় হিটখোর্যামি ক্লিক...
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটা দারুণ ছোটগল্প পড়েছিলাম একবার। গল্পটা ছিলো ভবিষ্যতের। আগামীর পৃথিবীর খোলনলচে হয়ে পড়েছিলো একদম আলাদা। সেখানে ছিলো কেবল বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান। সকলে বিজ্ঞান শিখছিলো, বিকিকিনি করছিলো- বেঁচে ছিলোনা অন্য কোন পেশার লোক। ...নাহ, ভুল বললাম, বেঁচে ছিলো এক পাগল। লালপাহাড়ে বসে পাগলা জগাই কেবল ছড়া লিখে যেতো- পাথরে,রাস্তায়,গাছের বাকলে। শহর থেকে বিজ্ঞান স্কুলের ছ...
স্বর্গে আজ সাজসাজ রব রব অবস্থা। আদম-হাওয়া উভয়েই স্নান শেষে পুত পবিত্র হইয়া ধবধবে সাদা পোষাকে তরু তলে হাজির। তথায় জড়ো হইয়াছে অধিকাংশ স্বর্গদূত। আর বাকিরা খানা ও পানীয়ের আয়োজন ব্যস্ত। সকলেই অপেক্ষা করিতেছে কখন সেই মুহূর্তটি আসিবে। স্বয়ং ঈশ্বর তাঁহার সিংহাসনে বসিয়া অপেক্ষা করিতে করিতে কিঞ্চিৎ অধৈর্য হইয়া উঠিলেন।
অতপর এলো সেই ক্ষণ। জনৈক স্বর্গদূত ঘোষণা করিলেন স্বর্গবার্তার ...
১
ডিয়ার জয়িতা,
একটা খুব বাজে খবর আছে। এবার নিউইয়ারে আমি থাকতে পারছি না। মার হঠাৎ খেয়াল হয়েছে পুরির জগন্নাথে গিয়ে এবারে পুজো দেবে। বাড়ির সবাই ব্যস্ত তাই আমার উপর ভার পড়েছে মাকে সামলাবার। পুরো পাঁচদিন। আটাশ, ঊনত্রিশ, ত্রিশ, একত্রিশ, এক। তোমার বাড়ির নিউইয়ারের পার্টিতে আর যাওয়া হল না। আমার খুব ইচ্ছে ছিল এই সুযোগে তোমার অতবড় বাড়িটায় ঢোকার। যাইহোক গীটারটা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি একট...
চেনা আকাশে অভিমানের ঘুড়ি উড়িয়েছি দুজনে আজ।
তোমার ধারালো ভুলটার সাথে আমার আঠালো চিৎকারের মাঞ্জা আমার সুতায়
তোমার সুতায় আমার বিষাক্ত বিশ্বাস আর তোমার সকরুণ কান্না
লাটাই চেপে ধরে তাই প্রাণপণ কাটাকুটি খেলতে থাকি আমরা
যেন কেউ ভোকাট্টা হলেই জটহীন মসৃন সমাধান।
(তারিখ: সোম, ২০০৯-০৪-০৬ ০৭:৫৪)
আজকাল কেউ দাওয়াত দিলে যেতে চাইনা। যে সুধীসমাবেশ ঘটে সেখানে অবধারিত ভাবে দেশের কথা আলোচিত হয়, তর্ক বিতর্কের সুচনা হয়, লোভ সামলাতে না পেরে পার্টিসিপেট করি এবং পরে মন খারাপ হয়। পাছে ঝগড়াবাজ হিসেবে খ্যাতি হয় এবং হোস্টের ব্লাকলিস্টে অর্ন্তভুক্ত হই এই ভয়ে গিন্নী যাবার আগে শাসিয়ে নেয় – চুপ করে থাকবা, কোন বিপ্লবের দরকার নাই।
চুপ করেই থাকি। কেউ আমাকে দায়িত্ব দেয়নি দেশকে ডিফেন্ড করবার...
আকাশে যখন বিরাট একটা চাঁদ উঁকি দেয় পাতাহীন গাছের ফাঁকে তার ধূসর হলুদ বর্ণ নিয়ে, তোকে খুব মনে পড়ে জানিস। প্রকাণ্ড সূর্য তার গনগনে আলোয় ভরিয়ে দেয় চারদিক, বছরের দীর্ঘ একটা সময় সূর্যহীন থেকে রৌদ্রস্নাত বেলায় হঠাৎ করেই মনটা দুম করে ভালো হয়ে যায় যখন, তখনও তোকে মনে পড়তে থাকে, মন পুড়তে থাকে তোর জন্য। "বার্নট আ লিটল ইনসাইড" নিয়ে বাইরে একটা খোশ খোশ খোলস ধরে রাখতে হয়, জানিসই তো জীবন হালায় বহমান...