কিংবদন্তীর জাপানিজ চিত্রকর হকুসাই ও হিরোসিগের কাঠখোদাই করা অপূর্ব সব শিল্পকর্ম সেবার প্রথমবারের মত এসেছে জাপানের চৌহদ্দি পেরিয়ে ইউরোপে, হেলসিংকিতে সে চিত্তহরণ করা প্রদর্শনী দেখে বেরোতে যাচ্ছি জাদুঘরের বাইরে। সেখানেরই একজন কর্মচারী বলল পাশেই চলা প্রাচীন জাপানের জনজীবন নিয়ে অন্য ধরনের এক প্রদর্শনী যেন অবশ্যই দেখে যাই, সেখানে নাকি তুলে আনা হয়েছে কয়েকশ বছর আগের জাপান।
দৃশ্য-এক
- হ্যালো অমুক, আমি তমুক বলছি, তোমার খালু কী বলেছেন আমি ফোন করবো আজ?
-বিস্ময় চাপা দিতে দিতে অমুকের প্রশ্ন -আমাকে কেন ফোন করতে হলো জানতে পারি?
- হোয়াট দ্য ***! তুমি আমার বায়োডাটা দেখোনি? ইমেলে এ্যাচাট করে পাঠিয়েছি তো।
এখুনি ইমেল খোলো।
তোমার নামটা পছন্দ হয়েছে বুঝলে? স্মার্ট নেম। আমার লাস্ট নেমের সাথে দারুণ মানাবে।
আমি অনেকদিন ধরে আমাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের বেল কার্ভগুলো দেখতে আগ্রহী। বেল কার্ভ দেখতে এরকম।
১'লা বৈশাখ একলাই কেটেছে আমার; যদিও বরাবর একলাই কাটে। তবুও সারা বছর একে অন্যের আরোপ-প্রত্যারোপ, খিস্তিখেউর, গলা উঁচিয়ে ঝগড়া করা শর্মা বাড়ির জেলাসম যৌথ পরিবার ঐ একমাত্র পয়লা বৈশাখের দিনটিতেই চুপচাপ একসাথে থাকে, খাওয়া-দাওয়া করে, শেয়ার করে সবকিছু। আমিও থাকি, নীরবে দেখি।
এই কথাগুলো কোনদিন কাউকে বলিনি খুব কাছের দুই একটা বন্ধু ছাড়া। আমার স্বামীও জানেনা। জানলে যে সে খারাপ ভাবে নেবে তাও না। সে যথেষ্ট উদার মনের মানুষ। কিন্তু বলতে পারিনি। যদি কোনদিন একবার রাগের মাথাতেও কিছু বলে ফেলে আমি মরে যাব। আর আমার মনে হয় ছেলেরা আসলে ব্যাপারগুলো বোঝেনা। হয়তো আমি ভুল। কিন্তু সাহস হয়না।
একটা জানালা প্রতিটি বিষন্ন দিনের আগে আমাকে বেঁচে থাকার মন্ত্র শিখিয়ে দেয়।
[justify]পাকিস্তান ও প্রথম আলো নিয়ে বিরক্তির শেষ নেই। বাংলাদেশ-পাকিস্তান এর চলমান ক্রিকেট সিরিজ নিয়ে পাকিস্তানপন্থী এই দৈনিক আর এর খেলার পাতা যেভাবে নগ্ন পাকিপ্রেম দেখাচ্ছে সেটা নিয়ে এই লেখাটা তৈরি করার পর দেখি সচলায়তনে ইয়ামেন এ বিষয়ে লিখে ফেলেছেন। এখন এই লেখাটার করবো কী? ফেলতেও মন চাইছে না। তাই নিজের ব্লগে টুকে রাখলাম।
[justify]
১৭ এপ্রিল ২০১৫।
বাসা থেকে বের হয়েছি সকাল সাড়ে সাতটায়। বৈশাখের আজ চতুর্থ দিন। গত চারদিন প্রচন্ড গরম, কড়া রোদ নেই অথচ চড়া তাপমাত্রা, বাতাস নেই- হাসফাস লাগে আমার। অথচ আজ এই সকালবেলা, বৈশাখের চতুর্থদিনের সকালবেলা হেমন্তের সকালের মতোই স্নিগ্ধ ও মায়াময়- হালকা কুয়াশার মতো চারদিক, ঘাসের ডগায় একটু শিশির।
ব্যানার: স্যাম
১.
বুকে শ্বাপদ মুখে তোদের অহিংসা অছিলা
এবার তবে করবি তো আয়
আমার মোকাবিলা[শপথ, সলিল চৌধুরী]
"গিয়াছিনু সরোবরে স্নান করিবার তরে
দেখিয়াছি একজন অপরূপ কামিনী
চক্ষুমুখ পদ্মছন্দ কিবা ছন্দ কিবা বন্ধ
নিলাম্বরে ঝাঁপে তনু মেঘে যেন দামিনী।।
ঈশ্বর সহায় হন দূতী মিলে একজন
এইক্ষণে তার কাছে যায় দ্রুতগামিনী।
যত চাহে দিব ধন দিব নানা আভরন
কোন মতে মোর সঙ্গে বঞ্চে এক যামিনী।।" (ভারতচন্দ্র রায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি)