হ্যারি হুডিনি! পৃথিবী বিখ্যাত জাদুকর। একবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়ে পুরু ইটের দেওয়ালের এপাশ ভেদ করে ওপাশে গিয়ে শার্লক হোমসের জনক স্যার আর্থার কোনান ডোয়েলকে নির্বাক করে দেন। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে অসাধারণ এক বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিলো, যদিও এই বন্ধুত্বের শেষটা খুব হৃদয় বিদারক ছিলো। হুডিনি নিয়ে এই লেখার ভূমিকার কারণ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিমানে হুডিনিকে নিয়ে দেখা দুই পর্বের এক মিনি টিভি সিরিজ। তন্ময় হয়ে যাত্রার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখছিলাম!
দেখুন আমি বরাবর বলে আসছি যে কোন ধরণের উগ্রতা আমার বড়ই অপছন্দ। আজকে আমাদের সমাজে যে এত হানাহানি, এত কাটাকাটি তার মূলে রয়েছে আমাদের উগ্র আচরণ। আমরা দিন দিন কথায়, আচরণে, কাজেকর্মে উগ্র হয়ে যাচ্ছি। পরপর বেশ কয়েকটি নাস্তিক হত্যা হবার পর আমি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম, উগ্র নাস্তিক আর আর উগ্র আস্তিক কেউ কারুর থেকে কম নয়। একজনে ধারে কাটে তো অন্যে ভারে। কিন্তু কেউ কারো থেকে কম উগ্র বা সমাজের জন্য কম ক
বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোকিত সময় কোনটি?
[justify]০.
বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর। নাজিম হিকমতের কথা। হয়তোবা মানুষ ভুলে যায় এক বছরের মাথায় তার শোকার্ত সময়কে। কিন্তু একুশ শতকে শোকের আয়ু কত বছর, কত দিন? এই ফেসবুক জামানায়, যখন মিনিটে মিনিটে বদলে যায় হোম পেইজ, নিজের দেয়াল!
১.
সবই প্রতিদিনের ঘটনা। আহার নিদ্রা পরিপাকের মত। ঘটনা ধরে ধরে আলাদা প্রতিক্রিয়ার কিছু নাই। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিছু না। চাপাতি চলছে কলমের বিরুদ্ধে কীবোর্ডের বিরুদ্ধে। বাংলা ভাষায় লেখালেখি বন্ধ করা শেষ লক্ষ্য। সেটা ব্লগে হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক আর ছাপা মাধ্যমে হোক। বাংলা ভাষার লেখালেখির জগতটা অনেকের জন্যই সমস্যার। কখনো ধর্মের নামে কখনো জাতিসত্ত্বা/জাতীয়তার হাস্যকর জটিলতায় কখনো প্রমিতভাষা/বিনির
ওয়াশিকুর রহমান বাবুর জঘন্য হত্যাকান্ডের খবর শুনে মনটা ভারাক্রান্ত---অনলাইনে ধর্ম নিয়ে আলোচনার জের ধরেই যে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই তেমন। অনেক কথা মাথায় ঘুরছে, তার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু জরুরী কিছু কথা এখনই বলা দরকার মনে করছি, তাই এই লেখা।
অভিজিৎ হত্যার এক মাসের মাথায় ঢাকার রাস্তায় লেখালেখির কারণে আবারো খুন হলেন একজন অনলাইন লেখক। নিহত মোঃ ওয়াশিকুর রহমান বাবু সাম্প্রতিক সময়ে ফেইসবুকে লেখালেখি করতেন। তিনি সামহয়ারইন ব্লগেও একসময় লিখতেন। হত্যার ধরণ ও কৌশল অভিজিৎ
(গত তিন-চারটে ব্লগের সময় হিসাব করে দেখলাম, গড়ে বছর দেড়েকে একটা করে ব্লগ লিখতেছি। ভালই। বছর দেড়েকের জন্য আরেকটা দিই )
১.
গ্যাব্রিয়েলে রাঙ্কোর সাথে আমার দেখা Yahoo বার্সেলোনা রিসার্চ ল্যাবসে।
রিসার্চ ইন্টার্ণ হিসেবে Yahoo তে মাত্র গিয়েছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ইউজারের ওয়েব-স্কেল ডাটা ওদের জমা করা আছে। এরকম একটা ডাটা Yahoo Answers নিয়ে কাজ করব। কিন্তু কি কাজ করব কিছু জানি না।
কিবোর্ড-কলমের একঘেয়ে যুদ্ধে একের পর এক লেখার জন্ম হয় সত্যি কিন্তু নিজের অক্ষম ক্রোধের কারনগুলোর কতটা পরিসমাপ্তি হয় তার প্রশ্নটা থেকে যায় বারংবার। এখন পর্যন্ত অনলাইনে লেখালেখির সময়টুকুতে দেশের নাগরিকদের মানসিকতার যতটুকু চিত্র দেখার সৌভাগ্য হয়েছে তাতে পরিবর্তন বলতে গেলে নগন্য। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে মনে হয়, বৃত্তের এক বিন্দু থেকে শুরু করে আবার সেই একই বিন্দুতে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি। পরিবর্তন আকস্মিক হয়না সত্যি কিন্তু পরিবর্তনে অনিচ্ছুক একটি সমাজ ও তার নাগরিকেরা কি কখনও পরিবর্তনকে ভাল চোখে দেখে কিনা এই প্রশ্নটা হয়ত আমরা এড়িয়ে গেছি বারবার, হয়ত কিছুটা ইচ্ছে করেই।
একবার এক গ্রুপে জামাত শিবিরকে ব্যান করার দাবী উঠলো। দাবীর তীব্রতায় প্রথমে সবাই বেশ হকচকিয়ে 'আমি সাথে আছি' টাইপ বক্তব্য দিয়ে সংহতি প্রকাশ করলো। দুইদিন পর গর্ত থেকে আস্তে আস্তে ল্যাজ বের হওয়া শুরু হল। প্রথমে মিনমিন তারপর বেশ জোরেশোরে বলা শুরু হল, "বুঝলাম জামাত শিবিরকে ব্যান করা হচ্ছে কিন্তু শুধু জামাত শিবির কেন, সমস্ত পলিটিক্স ব্যান করা নয় কেন। ঐযে দেখেন ছাত্রলীগও তো বেশ ইয়ে টিয়ে সন্ত্রাস করে।" এই ধ