তোমার নামে একটা নদী ছিল...
কেমন আছে সে?
মাঝে মাঝে ভাঙনের সময় যখন ধুপ-ধুপ-ধুপ করে ভাঙতো কোনো পাড়, প্রথমে ভূমিহীন হতো কোন কাদামাটির কিষাণ। তারপর কিষাণের চোখের জলে নদীতে আরো জোয়ার এলে সেই ভাঙনটা ওই কিষানের বুকে চেপেই বুঝি রওনা দিতো তার বসতবাড়ির দিকে। একসময় পৌছেও যেতো ঠিকই। ভূমিহীনরা হতো বাস্তুহারা।
তারপর লাঙলের ফলায় মরিচা ধরে গেলে কিষাণকে দেখা যেতো নগরের কোনো বড় রাস্তায় দুরুদুরু ...
রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিল্পী: কিশোর কুমার
নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়, খুলে যাবে এই দ্বার
জানি জানি তোর বন্ধনডোর ছিঁড়ে যাবে বারে বার
খনে খনে তুই হারায়ে আপনা
সুপ্তিনিশীথ করিস যাপনা
বারে বারে তোরে ফিরে পেতে হবে বিশ্বের অধিকার
স্থলে জলে তোর আছে আহ্বান, আহ্বান লোকালয়ে
চিরদিন তুই গাহিবি যে গান সুখে দুখে লাজে ভয়ে
ফুলপল্লব নদী-নির্ঝর
সুরে সুরে তোর মিলাইবে স্বর
ছন্দে যে তোর স্পন্দিত হবে আ...
এখন "তিতাস কোনো নদীর নাম নয়"। পরিবর্তন হয়েছে বেশ কিছু। সে কথা থাক।
শ্যাজা ওরফে সামরান হুদার গদ্যগ্রন্থটি একুশের মেলায় প্রকাশ পাচ্ছে কাল, ২১ শে ফেব্রুয়ারি। সকাল ১১টা থেকে মেলায় শুদ্ধস্বরের স্টলে পাওয়া যাবে বইটি। আসুন, উল্টে দেখুন, পাল্টে দেখুন। বই কেবল পড়ার নয়, দেখারও অনুভব করুন। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেছেন প্রবীণ চিত্রশিল্পী আব্দুস শাকুর।
আটপৌরে ঝরঝরে গদ্যে লেখা বইটি বড়দে...
সবে আট কাসে উঠেছি তখন। একদিন টিচার ডেকে বললেন -বইমেলা হবে,তোমাদের বাসায় যে যে বই আছে সে গুলি স্কুলে এনে জমা দিবে। আমার তখনো নিজের বই তেমন কিছু নাই। বড়দার একটা বিশাল সংগ্রহ ছিলো। নেহেরুর ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে শুরু করে আলবেরুনির ভারততত্ব পর্যন্ত। বড়দা তখন কর্ম উপলক্ষে চিটাগাং থাকেন। প্রায় শ’দুয়েক বই আমি নিজের মনে করে স্কুলে জমা দিলাম। বইগুলিতে স্কুলের সিল মারা হলো। সেবার বইমেল...
বন্ধুরা আজ এসো। ফাল্গুণ এসেছে। তোমরাও এসো।
আজ ছবির হাটে সন্ধ্যা সাতটায় কল্লোলদার গানের সাথে মাতবে রঙেরা, বুড়োরা পোলাপান হবে কিছুক্ষণের জন্য, কি বলে না, শক্তি বিবর্ধক: মূলত হবে ইতিহাস চর্চা। পুরানো বই এর ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকা নকশাল বাড়ি আন্দোলনের কথা আমাদের শোনাতে এসেছেন সেই কথক কল্লোল দাশগুপ্ত। যারা গুরুচন্ডা৯ পড়েন তারা যানেন তার গল্প ব...
যাদের সাধ নেই সাধ্য নেই, এমন বিমূর্ত তাদের ক্ষেত্রে কারো বলার মতো কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যাদের সাধ আছে সাধ্যও আছে, এরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। সাধ'কে সাধ্য দিয়ে রাঙিয়ে শুধু নিজকেই নয়, সবাইকেই তৃপ্ত করার সামর্থ রাখেন এরা এবং অনেকে করেনও তাই। অথচ যাদের সাধ্য আছে সাধ নেই, সম্ভবত এরাই দুর্ভাগা, যদিও নিজেরা তা বুঝেন বা মনে করেন কিনা জানি না, অথবা এরকম কোনো মানব-সত্তা আদৌ আছে কিনা ...
রবীন্দ্রসঙ্গীত
বিধির বাঁধন কাটবে
তুমি এমন শক্তিমান
তুমি কি এমন শক্তিমান
আমাদের ভাঙাগড়া তোমার হাতে
এমন অভিমান
তোমাদের এমনি অভিমান
চিরদিন টানবে পিছে
চিরদিন রাখবে নীচে
এত বল নাই রে তোমার
সবে না সেই টান
শাসনে যতই ঘেরো
আছে বল দুর্বলেরও
হও না যতই বড়ো
আছেন ভগবান
আমাদের শক্তি মেরে
তোরাও বাঁচবি নে রে
বোঝা তোর ভারী হলেই
ডুববে তরীখান
31 BIDHIR BADHON.m......
প্রিলগ
বসন্ত শব্দটা শুনলেই আমার চোখে ভাসে হলুদ-কমলার দারুন মিশ্রনে তৈরী মন খুশি করা রঙ বাসন্তীর বর্ণিলতার ছবি। এতো কিছু থাকতে এই রঙের কথাই কেন মনে আসে নিজেও জানি না। ক'টাদিন আগেই হয়ে গেল পহেলা ফাল্গুনের রমরমা আয়োজন। চারিদিকে কেবল বাসন্তী রঙের কলরব... এক একটা মানুষ যেন ঋতুরাজ বসন্তের এক একটা টুকরো। আমার বাড়ির সামনের পার্কখানায় একরাশি পুচকার দল বাসন্তী রঙে নিজেদের সাজিয়ে চারিদ...
সব কষ্ট চেপে রাখা যায়না,সব ব্যাথা অপ্রকাশিত থাকেনা। প্রকাশ করার দায়িত্ব আমার কাঁধে আর থরে থরে অপ্রকাশের ভার জমছে বুকে। যথা সময়ে যথাকর্মটি হচ্ছেনা। কথা দিয়ে কথা রাখা যাচ্ছেনা। আমি জানি লেখকদের আবেগ কান্নার নোনাজল হয়ে ঝরে পরে গোপনে। আমি সেই গোপন অনুভবটি স্পর্শ করতে পারি। আমি শিহরিত হই। আকাশের দিকে তাকাই। অমাবস্যা ভেদ করে বের করে আনতে চাই পূর্ণিমার চাঁদ।
বই এখনো আবশ্যকিয় ব্যস্...
সুখবরের মতো সকাল এলো...
২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে গৌরবময় মহিমান্বিত দিনেই প্রকাশ হচ্ছে সচলদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত ‘সচলায়তন সংকলন’ (২য় খণ্ড), আর আমাদের সকলের প্রিয় জুবায়ের ভাইয়ের বই – ‘সিকি-আধুলি গদ্যগুলি’।
যে দুটো বইয়ের জন্য প্রতীক্ষায় ছিলো প্রতিটি সচল, সেই বই দুটো একসঙ্গেই আসছে বইমেলা...