১.
সপ্তাহে একবার ঢাকায় ফোন দেই। মা-বাবা দুইজন তাদের একমাত্র পৌত্রের সাথে গল্প করার চেষ্টা করেন। সেই গল্প বেশীদূর যায় না। দাদুর চেয়ে ইউটিউবের মনস্টার ট্রাক নিয়ে আমার পুত্রের অধিকতর আগ্রহ। তাই এটা সেটা জিজ্ঞাসা করে উপসংহার টানতে হয়। ফোন রাখার আগে টের পেলাম মা কি যেন বলতে চাচ্ছেন। দূর থেকে অস্পষ্টস্বরে বাবা বলে ওঠেন "এইসব আর বলার দরকার নাই"। "এইসব" প্রসঙ্গটা আমি আন্দাজ করতে পারি। "এই্সব" যে আমিও শুনতে চাই না।
আইচ্ছা কর্ণ কি আদৌ কুন্তীর পোলা?
সন্দেহ হয় আমার। কওয়া হইছে যে কুন্তী তারে ভাসাইয়া দিবার পর সন্তানহীন সূত অধিরথ তারে কুড়াইয়া আইনা পোষে। কিন্তু অধিরথের তো আরো পোলাপান আছে। কুরুযুদ্ধেই তারা যুদ্ধ করে। বলা হয় তারে স্তন্যদান করে সন্তানহীন রাধা। কিন্তু সন্তানহীন বন্ধ্যা নারী কেমনে স্তন্য পান করায়?
সব তালগাছ তালঢ্যাঙ্গা হয় না জানি, কিছু কিছু তালগাছ আক্ষরিক অর্থেই তালঢ্যাঙ্গা হয়। হয়তো এই কিছু কিছু গাছের সুবাদেই ঢ্যাঙ্গা শব্দটার সামনে নিজের নাম বসিয়ে নেবার একচেটিয়া অধিকার পেয়ে গেছে সমস্ত তালপ্রজাতি, কে জানে!
ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি মুসলমান-মুসলমান, ভাই-ভাই...! আসলে কি তাই? দুটো ভিন দেশের মুসলমান কি কোন কালে ভাই-ভাই ছিলো কিংবা আজ ও কি আছে?
গত কয়েকদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। আমি অত্যন্ত ভীতু মানুষ। ভয়ের চোটে গত কয়েকদিন খবর-পত্রিকা-অন্তর্জাল সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছি। কি হবে খবর জেনে? এমনকি ফারাবী’র পুনঃগ্রেপ্তারের খবরটাও জেনেছি প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে। জেনেই বা কি হবে, লুচ্চাটার বড়জোর ফাঁসি হবে, কিংবা তাও হবেনা। ফারাবীদের ফাঁসি-টাসি হয়না। ঘুরেফিরে অভিজিৎ রায়েরাই কোপ খেয়ে হারিয়ে যান কোন অজানার দেশে।
কদিন আগেই মনে হয় গেলো ডাকবাবা আফ্রিদির জন্মদিন। আর তার সাথে চলছে এখন বিশ্বকাপ, মাঝে মাঝেই হয়ে যায় পাকি শুয়োরের বাচ্চাদের খেলা। এই খেলায় তাদের মাঠের যা পারফর্মেন্স থাকে, তার থেকে ভাল পারফর্মেন্স দেখায় পরদিন এদেশের মিডিয়া, বিশেষ করে মইত্যা আলুর উটপোদ শুভ্র। এর সাথে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর পাকি ডান্ডু চোষন। পাকিপ্রেম এরা আর ধরে রাখতে না পেরে উগরে দিচ্ছে এক্কেবারে।
আমাদের বাড়িতে একটা মাত্র ঘর। সেই এক ঘরের বাড়িতে আমরা সবাই থাকি, খাই। এক ঘরের এই বাড়ির একটা দরজা, জানলা দুটো। একটাতে ভারী পর্দা ঝুলে আরেকটার কপাটে কালিমাখা। জানলাগুলো বন্ধই থাকে। তবু আমাদের একা রেখে বড়রা দূরে গেলে বারবার সেগুলোকে পরীক্ষা করে দেখা হয় বন্ধ আছে কিনা। তখন দরজা খোলাও বারণ। কারণ চোরের উপদ্রব খুব বেশি আর বাইরের ধু ধু মাঠে ঝড়ের হাওয়া ওঠে যখন তখন। সে ধুলোবালি ঘরে ঢুকে নোংরা করে দিতে পারে। আ
মাঝেমাঝে মনে হয় এই জীবনে আর নতুন করে লেখালেখি করার দরকার নেই। যা যা লিখেছি গত দুই তিন বছরে সেগুলো সময়ে সময়ে একবার করে কপি পেস্ট দিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়া যাবে। অদ্ভুত এক দেশ আমাদের। এখানে একই ঘটনা বারেবারে হয়, ঘটনার পর একই নাটকও বারেবারে হয়। নাটকের কুশীলবের একটু অদলবদল হয় কিন্তু বাকি সবই একইরকম। উদাহরণ দিয়ে বলি। প্রথমে দুই বছর আগে রাজীবের মৃত্যুর পরে লেখা থেকে একটা অংশ কপি পেস্ট করি -
[i]
(১)
৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা রাস্তা-ঘাটে লুঙ্গি খুলে বাঙ্গালীর মুসলমানিত্ব যাচাই করত। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে আজকাল আর পাকিস্তানি সৈন্য লাগেনা কিছু হলে নিজেরাই লুঙ্গি খুলে দেখায় কে কত বড় মুসলমান। একটা ভাল জিনিস শিখিয়ে গেছে পাকিস্তান।