কুরুযুদ্ধের একটা বিশাল অংশ জুইড়া আছে লোহার অস্ত্রপাতি; অথচ মহাভারতের ঘটনার সময় পর্যন্ত দুনিয়াতে লোহাই আবিষ্কার হয় নাই। অবশ্য তামা আবিষ্কার হইছে আরো বহু আগে; খ্রিস্টপূর্ব সাড়ে চাইর হাজার বছরে। ড.
পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতোই চিন্তার জগত ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠির আক্রমনের স্বীকার হয়ে এসেছে। বাংলাদেশেও এই আক্রমন পুরো মাত্রায় জারি আছে। ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠির সাম্প্রতিক থাবা এসে পড়েছে রোদেলা প্রকাশনীর একটি বইয়ের ওপরে। সেই আগ্রাসনে বাংলা একাডেমিও সামিল হয়েছে। রোদেলা প্রকাশনীর একটি বইতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ বইমেলাতে রোদেলা প্রকাশনীর একটি স্টল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। সেই সাথে আগামি বছরও রোদেলা প্রকাশনী মেলায় আসতে পারবে না জানিয়ে দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
কুরুযুদ্ধে নাকি অংশ নিছিল ১৮ অক্ষৌহিণী সৈনিক; যাগো লগে হাতিঘোড়াও আছে আরো আছে জোগানদার কবিরাজ দাসদাসী বাদ্যকার বাবুর্চি পশুরাখাল দোকানদার এমনকি বেশ্যাও। তো ১৮ অক্ষৌহিণীরে বর্তমান সংখ্যা দিয়া কনভার্ট করলে খাড়ায় ৪৭ লক্ষ চব্বিশ হাজারের মতো। এর সাথে অন্য লোকজন যোগ দিলে পুরা যুদ্ধে বলতে হয় আছিল ৫০-৫৫ লক্ষ লোক; এবং তারা নাকি যুদ্ধ করছে একটা মাঠেই...
[ পেট্রল বোমাতপ্ত মাঘ, কক্টেলপোড়া ঝাঁঝালো ফাল্গুনী হাওয়া, পুনরায় রেলভ্রমণ, পূর্বনির্ধারিত দেউলেপনা, নানান রঙের মানুষ, দেড়েল কবিবুড়ো, সৈয়দ মুজতবা আলী, কিঞ্চিৎ ক্রিকেট, একমুঠো নতুন বই আর ধূলিধূসরিত অনেকখানি বইমেলা নিয়ে একটি অগোছালো ব্লগর ব্লগর। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। যারা এখনও বইমেলায় যেতে পারেননি তারা দূরে থাকুন। পরে উত্তেজিত হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উৎসরিত উত্তপ্ত-ক্ষিপ্ত-বাক্যবর্ষণ কাম্য নয়। ]
[justify]
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন ভালোবাসা দিবস বলে কিছু ছিল না - মানে বাংলাদেশে পালন হতো না এই দিবস। আমরা কেউ কোনদিন অনুভব করি নি যে ভালোবাসার জন্য একটা দিবস লাগবে। কিন্তু আমি এই দিবসের বিরুদ্ধে না। সত্যি কথা বলতে বর্তমান পৃথিবীর অবস্থা দেখে আমার মনে হয় ভালোবাসার জন্য একটা দিবস বরাদ্দ রাখাটা খুবই জরুরী।
স্কুল পাশ দেওয়ার আগেই ভাগ্যক্রমে আমার হাতে এসেছিলো বাংলাদেশের অন্যতম আলোকিত মানুষ আরজ আলী মাতুব্বরের বই। উনিই প্রথম শিখিয়েছেন কোন বিশ্বাসকে বিনা প্রশ্নে মেনে না নিতে। তারও কিছুদিন পর পরিচয় হলো হুমায়ুন আজাদ নামের এক ভাষার যাদুকরের সাথে। প্রথা আর মুখোশে ঢেকে থাকা সমাজের সব প্রাচীরকে যিনি ভেঙে দিয়েছিলেন তার লেখা অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দমালায়, জাগিয়ে দিয়েছিলেন মনের মাঝে সততা আর সাহসের বিস্তীর্ণ এক পাহাড়।
যত দিন ধইরাই লেখা হউক আর যত মাইনসেই কাহিনি যোগ করুক না ক্যান; মহাভারতের কাহিনিখান এখনো প্রচারিত আছে একক মানুষ বেদব্যাস কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের নামে; এবং মহাভারতের প্রধানতম ভজঘট হইলেন স্বয়ং এই বেদব্যাস কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন। তো এই কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের একখান কাব্যিক বর্ণনা দিছেন রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রায় তার অন্নদামঙ্গলের পাতায়:
[center]দাঁড়াইলে জটাভার
চরণে লুটায় তাঁর
কক্ষলোমে আচ্ছাদয়ে হাঁটু
পাকা গোপ পাকা দাড়ি
সকাল থেকে শুরু। এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এলার্মটা বন্ধ করে আবার একটু এপাশ-ওপাশ, শরীর-মন আরেকটু ঘুমাতে চায়। হঠাৎ মাথায় বিদ্যুতের ছোবল... কতক্ষণ গেল? বেশি ঘুমিয়ে ফেলিনি তো? শরীর-মন দুটোকেই অনেক কষ্টে বাগ মানিয়ে-তোয়াজ করে-ঝাড়ি দিয়ে বিছানা ছাড়তে হয়। হাতে মোবাইলটা নিয়ে বাথরুমে কাজ সারতে সারতে আবার মোবাইলের কোণার দিকে চোখ, ওরে বাবা- এতক্ষণ গেল কখন!
অনুষঙ্গ: একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সচলদের বইয়ের লিস্টি পেতে চাই।
একজন জানতে চাইলেন, কবে, কখন বইমেলায় যাচ্ছি।