সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে জার্মান ভিত্তিক মোবাইল ফোন কোম্পানি সিমেন্স থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিয়ন অব কলাম্বিয়ার জেলা আদালতে বিচারাধীন ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার বনাম সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড’ মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে হেরাল্ড ট্রিবিউন গত ২০ ডিসেম্বরের সংখ্যায় খালেদা জিয়ার পুত্রের ঘুষ লেনদেনের তথ্য প্রক...
ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের প্রথম আঘাতটি এসেছে আমাদের জাতি ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক বাহক ঐতিহ্যবাহী সড়কদ্বীপ-ভাস্কর্যগুলোর উপর। নগরের নিসর্গকে মোহময় ও ঐতিহ্যমুখীন করে তোলার প্রয়াস হিসেবে এসব ভাস্কর্য আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ আজ। যাঁরা এর পেছনে তাঁদের অনিবার্য শ্রম-ঘাম বিলিয়ে দিয়ে আমাদেরকে ঋণী করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি। মূলতঃ এগুলো টিকে থাকার এক আক...
রোজ সকালে আড়মোড়া ভেঙে ওই একটা সবুজ তোয়ালেতেই মুখ মুছি প্রতিদিন।
রোজ একই জুতা জামা গায়ে, সেই একই রাস্তা ধরে-
একই গন্তব্যে পৌঁছে যাই বারবার।
দুয়েকটা রঙীন ফানুস এসে মাঝে মাঝে,
খানিকটা রঙধনু ধার দিয়ে যায় হয়তো-
আমাদের দুজনের চোখের জল আজ,
মিলেমিশে মুখ লুকিয়ে হাসে।
এরকম অভ্যস্ততায় কতগুলো দিন কেটে গেলো!
একটাই জানলা দিয়ে রোজ, দুয়েকটা চড়ুই এসে পড়ে-
কী আশ্চর্য, আমরা দুজন একটি ঘরে থাকি!
অথ...
কুয়াশা কাটছে না অনেকদিন। বিষন্ন লাগে এমন দিনগুলো। কিন্তু আজ অন্যরকম একটা দিন। বিষন্ন কুয়াশার সাধ্যও ছিলো না আমার গায়ে আঁচড় কাটে। একেবারেই সাধ্য ছিলো না। কারণ আজ সারাটা দিন আমাকে ছুঁয়ে ছিলো রৌদ্র-ঝলমলে, মন ভালো করে দেয়া একটা দিন। ছুঁয়ে ছিলো উষ্ঞতা। গাছগুলো সারারাত বৃষ্টি ঝরিয়ে স্নান করেছে, নিজেদের সবচেয়ে স্নিগ্ধ, কোমল আর কাছের রঙটা আমাকে দেখাবে বলে। আজকের দিনের সবগুলো ফুল ফুটে...
ক্রিকইনফো-তে জানা গেলো যে ২০১০ সালের পর থেকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমকে আর কোন সফরের আমন্ত্রণ জানাবে না। তারা বলছে যে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের এক দশক পরেও বাংলাদেশ টীম সেই স্ট্যাটাসের স্বার্থকতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবেশী ভারত আজ অব্দি বাংলাদেশকে ঘরোয়া কোন টেস্ট সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানায়নি। জিম্বাবুয়ের টেস্ট...
সূর্য! সূর্য! সূর্য!
মেঘ-পাড়-আকাশ ভাঙা সোনালী রোদ্দুরে ধূসর কুয়াশা কেটে যাক। তুমি এসো, এসো দিগন্তে, এসো ভোরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে। এসো যুবক ও যুবতীর ভালোবাসায়, হাসিতে, জামার আস্তিনে। কত বছর এই নগরে রোদ হাসে না। কত কত বছর বলো?
অথবা এসো না। বিবর্ণ, মৃত্যুময় শহরের পথে পথে দেশলাই বারুদে, ফুলকিতে আগুন জ্বলে উঠুক আরো আরো উজ্জ্বল হয়ে; এক একটা সূর্য হয়ে বিচ্ছুরণে রাঙিয়ে দিক পুরোটা শহ...
আজকে মেঘলা ধূসর দিন, মনখারাপ করে দেওয়া ঘোলাটে সব। মাঝে মাঝে নামছে বৃষ্টি, বাদামী হলুদ শেষ পাতাগুলো ও ঝরে পড়ছে পর্ণমোচীদের শীতনগ্ন কঙ্কালশরীর থেকে। ওদের ভ্রূক্ষেপ নেই। ওরা জানে বসন্তে বসন্তে নবযৌবন আসে ওদের। আমাদের মনুষ্যজীবনের মতন কৃপণ নয় বৃক্ষজীবন।
সারাদিন খালি ট্যাঁ ট্যাঁ। যেখানেই যাও এদের হাত থেকে রেহাই নাই। বসের অফিস বলো আর ঘর কোথাও এদের হাত থেকে নিস্তার নাই। বউ আর মোবাইল এই দুইটা আসলেই শালা ঝামেলা। যেখানেই যাও মোবাইল বাজবেই। রাত নাই দিন নাই, ঘর নাই বাহির নাই। আর বউ!!! এর কথা কি আর বলব। বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। ঘরে ফিরলেই শুরু করবে- আজকে কি করলা, কার সাথে কথা বললা, তোমার অফিসে ফোন করলাম ডেস্কে ছিলা না কেন?? উফ এত সব উত্তর কি দেওয়া যা...
তৎকালে যাহা নাই, তাহাও ছিল না, যাহা আছে, তাহাও ছিল না। পৃথিবীও ছিল না। অতি দূরবিস্তার আকাশও ছিল না। আবরণ করে, এমন কি ছিল? কোথায় কাহার স্থান ছিল? দুর্গম ও গম্ভীর জল কি তখন ছিল? তখন মৃত্যুও ছিল না, অমরত্বও ছিল না; রাত্রি ও দিনের প্রভেদ ছিল না। কেবল সেই একমাত্র বস্তু বায়ুর সহকারীতা ব্যতিরেকে আত্মামাত্র অবলম্বনে নিশ্বাস-প্রশ্বাসযুক্ত হইয়া জীবিত ছিলেন। তিনি ব্যাতীত আর কিছুই ছিল না। (ঋ...
সততাকে যখন তোমরা
পদদলিত কর, দুমড়ে-মুচড়ে ফেল নগ্নপায়ে
রক্তমাংসের এ শরীর
ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠে
পরাজিত হৃদয় থেকে
ফিনকি দিয়ে বেড়িয়ে আসতে চায়।
সংকল্পহীন হৃদয় আজ শক্তিহীন
ভূম্যবলুন্ঠিত হয়ে তাই
সোপর্দ করে তাদের কাছে;
পরিত্যক্ত অতীতে পরিত্যক্ত আমি,
অবিশ্রান্ত উপস্থিতি ভবিষ্যতের
অস্তিত্বের জন্য হাহাকার করছে।
মিথ্যে অলঙ্করণগুলো দৃশ্যমান
দিবাগত রাতে তাই আর
ঘুম ভাঙ্গেনা আম...