Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়- ২

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৯/২০১৪ - ৭:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শরতের রাত দীর্ঘ তখন, বাংলাদেশ হলে হেমন্ত বলা যেত, উত্তরের দীর্ঘ সূর্যময় দিন আস্তে আস্তে গেরিলা আক্রমণে দখল করে নিচ্ছে আসন্ন শীতের অন্ধকার। সন্ধ্যা এখন ঝুলে থাকে আলোআধারির আকাশে দীর্ঘক্ষণ, রাত্রি দ্বি-প্রহরেও মৃদু আবছা আলো ফেরারি প্রেতাত্মার মত ঘুরে বেড়ায় ইতস্তত। জার্মান বন্ধু ম্যাথিয়াস গ্যাঞ্জারের সাথে গিয়েছি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে এক ফিনিশ হ্রদে। মাছ ধরায় ও রান্নায় দারুণ দড় ছেলেটা, প্রায়ই বিশাল সব পা


জগতজ্যোতি, শেখ মুজিব ও অভিজাততন্ত্রের কালোজাদু

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৯/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
ছোট্ট করে জগতজ্যোতি দাসের কথা বলা যাক।
জগতজ্যোতি কোন মেজর, কর্ণেল, এয়ারমার্শাল কিংবা সৈনিক ও ছিলেন না। ছিলেন মাত্র একুশ বছরের এক সামান্য কলেজ ছাত্র। এই সামান্য ছেলেটা কী করেছিল- একটু মনে করা যাক। ভাটিবাংলার বিশাল হাওরবেস্টিত এলাকা- সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,হবিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি থানা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে। ৩৬ জনের দল নিয়ে তার বাহিনী ‘দাসপার্টি’ । সাব সেক্টর হেডকোয়ার্টার ছিলো তাহিরপুরের বড়ছড়া (টেকেরঘাট)। সেই তাহিরপুর থেকে জামালগঞ্জ, দিরাই, খালিয়াজুড়ি,মদন, মার্কুলি, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল হয়ে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সে ছোটে বেড়াতো দেশী নৌকা নিয়ে। মার্কুলির কাছে পাক আর্মির জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব তার। জগতজ্যোতির ও তার দাস পার্টির ভয়ে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হয় পাক আর্মি এবং এয়ারফোর্স সাপোর্ট সহ বিশেষ কমান্ডো টিম পাঠানো হয় শুধুমাত্র জগতজ্যোতিকে টার্গেট করে।
১৬ নভেম্বর ১৯৭১ শেষ যুদ্ধে শহীদ হবার পর তার লাশ প্রথমে আজমীরিগঞ্জ বাজারে পেরেক বিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো প্রদর্শনীর জন্য, তারপর নৌকায় করে ঘাটে ঘাটে দেখানো শেষে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো ভেড়ামোহনা নদীতে।


দ্য ডাচ্‌ ক্যপিটল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৯/২০১৪ - ৬:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তর সাগর থেকে ভেসে আসা নোনা বাতাস শ্যাওলা ধরা জাহাজের কাঠের পাটাতনে মিশে এক ধরনের স্যাতসেতে ঘ্রান তৈরী করে। কাঠের জাহাজ কালের কাছে বিলীন হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রচারী নীর্ভিক এক নাবিক জাতির জীবনসংগ্রামের এই ঘ্রান এখনও পাওয়া যায় সেই অঞ্চলে। এই ঘ্রান তারা জাহাজে করে বয়ে নিয়ে গিয়েছে আটলান্টিকের পশ্চিম প্রান্ত ধরে সোজা দক্ষিন দিকে। কাঠের জাহাজে ভেসে আরো পূব দিকের ভারত মহাসাগর ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয়


অচিন দেশে

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০১৪ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাস ছয়েক হয় সিডনী এসেছি, মোটামুটি খুঁটি গেড়ে বসার পরিকল্পনা নিয়ে। একটা স্থায়ী ঠিকানা দরকার, ভাসমান জীবন আর কতদিন? নিজের দেশে স্থায়ী ঠিকানা বানানোর চেয়ে চাঁদে যাওয়া আমার কাছে সোজা, কাজেই সে চেষ্টা থেকে অব্যাহতি নিয়েছি বহু আগেই। ছাপোষা মানুষের বিদেশ বিভুঁইয়েই ভরসা, যদি দু’দণ্ড সুখ মেলে!


একটি হাউ-টু ব্লগঃ যেভাবে আপনার স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাবেন-

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৯/২০১৪ - ১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুরু-
-----------------
গত বছর ডিসেম্বরে দেশে যাবার পরে একটা অচিন্ত্যনীয় ব্যাপার হলো।

সারা দেশে তখন নির্বাচন পূর্ববর্তী আন্দোলন আর অবরোধ, সেই সাথে লেগে আছে হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও...। দেশে যাবার আগে আগে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকেই বললেন এরকম পরিস্থিতিতে না যেতে, নির্বাচন শেষ হোক, পরিস্থিতি শান্ত হোক, তারপর যাওয়া যাবে।
আমি তেমন একটা গা করলাম না। নিজের দেশে যাচ্ছি, সেটার জন্যে আবার পরিস্থিতি বিবেচনা কী? অনেককেই দেখেছি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে যাবার আগে ‘ওয়েদার’এর খোঁজ নেন, তা না হলে দেশে গিয়ে অসুখে পড়েন, আমার এখনও এরকম হয়নি। একবার শুধু অতিরিক্ত নিমন্ত্রণের চাপে পেটের বারোটা বেজে একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলাম কদিন, এ ছাড়া আমার এতদিনকার চিরচেনা ‘ওয়েদার’ কখনোই আমাকে বিপদে ফেলেনি। আর এইসব হরতাল, অবরোধ এসব তো আমাদের নির্বাচনী কালচার, ডরাইলেই ডর, নইলে তেমন কিছু না।


তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয় -১

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৭:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতের শুরু হয়েছে শরতের আগুন রূপকে হিমে মুড়ে। পাইন আর স্প্রুস বাদে বাকী সব গাছ ন্যাড়া হয়ে গেছে বেশ কসপ্তাহ আগে, তাদের পাতাহীন ডালে আলতো তুষার জমছে রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে সাথে, কিন্তু মণ মণ বরফ এসে তখনও চাপেনি গাছের কাঁধে আর মাটির বুকে। গাড়ী নিয়ে চলেছি শীতের হেলসিংকিতে কাজের ফাঁকে। তখন আঁধারের রাজ্য, বরফশুভ্রতা এসে আলোকিত করার অনেক আগেই পাতালের আঁধার এসে কালিমালিপ্ত করে উত্তরের বিকাল, সন্ধ্যে, রাত,


যা দেখছি, যা পড়ছি, যা শুনছি, যা ভাবছি...

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৬/০৯/২০১৪ - ৫:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি পড়ছি:


ইবোলা ভাইরাস বিষয়ক পাঠকের প্রশ্নের জবাব... (‌আপডেট ৩)

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৯/২০১৪ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটা যখন লিখেছি তখন ইবোলা ভাইরাস এবং ইভিডি'র অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লেখাটিতে সেই সময়ের সব থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেয়ার। ইবোলা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ইবোলা সম্পর্কে আমরা অনেক 'নিশ্চিত' তথ্য পেয়েছি। সেই সকল তথ্য দিয়ে এই লেখাটিকে "আপডেট" করা হচ্ছে না। সেইজন্য সকল পাঠককে জানিয়ে রাখছি, এই লেখাটিতে দেয়া ইবোলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সাম্প্রতিক (এবং সেই হিসেবে সঠিক) নয়।

অনেকে প্রশ্ন করেন, জানতে চান ইবোলা ভাইরাস বিষয়ে। একটা ব্লগে সকলের প্রশ্নের জবাব দিলে সুবিধা।

এই ব্লগটির দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনারা যা জানতে চাইবেন সেসব প্রশ্নের জবাব দেব। দ্বিতীয় অংশে ভাইরাস, জৈবনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খানিকটা ব্লগরব্লগর করতে পারি হয়ত।


আই লাভ মাই chum

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ০৩/০৯/২০১৪ - ২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি নিশ্চিত কমপক্ষে ৯৫% পাঠক শিরোনামের ইংরেজী শব্দটার সাথে পরিচিত নন। ডিকশেনারী না খুলে শব্দটার অর্থ বলতে পারবেন খুব কম মানুষ। এমনকি যারা পারবেন আমি প্রায় নিশ্চিত তাদের ঘরে নার্সারি-কেজি পড়ুয়া বাচ্চা আছে।

শব্দটির সাথে আমিও পরিচিত ছিলাম না দুদিন আগে। এই শব্দটা না জানার কারণে সারাজীবন আমার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমার ধারণা এই chum শব্দটার অর্থ একজন মানুষ সারাজীবন না শিখলেও কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু ক্লাস টুতে পড়ুয়া বাচ্চাটি এই শব্দ না জানার কারণে স্কুলে বকুনি খাবে হয়তো নাম্বারও পাবে না। আমার কন্যা একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে। তার বইতে শব্দটা পেয়েছি। আমাকে তাই অর্থটা ডিকশেনারী খুঁড়ে বের করতে হয়েছে।


ক্যালিডোস্কোপ - ৯

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০৯/২০১৪ - ৯:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্যালিডোস্কোপ ঘুরছে। একই উপাদানগুলি নিয়ে গড়ে উঠছে নানা ছবি। কাকে ছেড়ে কার কথা লিখি! এদিকে, উপাদান ত অতি সামান্য, গড়পড়তা বালকের গড়পড়তা জীবনের টুকিটাকি। অবশ্য, সামান্য উপাদানে কি আর অসামান্য কাজ হয় না! হয় বৈকি! অসামান্য মানুষেরা করেন সে সব। এ ছবিগুলি সে’রকম নয়, নিতান্তই সামান্য, তুচ্ছাতি তুচ্ছ! ইতিহাস ত নয়ই, কোন গল্প বই হিসেবে পাঠযোগ্যতারও দাবীদার নয়, আদৌ কোন পাঠযোগ্যতা আছে কি না তাতেও দ্বিধান্বিত হয়ে আছি। তাহ’লে কেন আর পাঠকের সময় নষ্ট করা! হয়ত পাঠক বেঁচে যাবেন মডারেটরদের অক্লান্ত প্রয়াসে। যদি না যান, জানিয়ে রাখি, তাদের বেদনাকে আরও প্রলম্বিত না করাতে চাইলে, নির্দ্বিধায় আওয়াজ দিতে পারেন, ক্যালিডোস্কোপ যে কুলুঙ্গী থেকে নেমে এসেছিল, সেখানেই তাকে ফেরৎ পাঠিয়ে দেব।