Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

বাই বাই সিংগাপুর, বাই বাই ভিভিয়ান

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০১৪ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]প্লেনের ছোট্ট জানালা গলে আসা রোদের ছটায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।এয়ারক্রুরা ট্রলিতে খাবার নিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট দিতে শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে।এলোমেলো ভাবে ঘুমানোতে ঘাড়, হাত পা কেমন যেন ধরে এসেছে, ঘুম ভেঙ্গে ভিভিয়ানের কথা মনে হতেই মন খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটা এখন নিশ্চয় ফ্রাঙ্কফুর্টের ফ্লাইটে, একা একা না জানি কি করছে। যাচ্ছি আবুধাবি থেকে জার্মানির ডাশেলডর্ফ। এত লম্বা প্লেন জার্নি এর আগে করেছি বলে মনে পড়েনা, সব মিলিয়ে সাড়ে একত্রিশ ঘণ্টা। সস্তায় টিকেট কাটতে গিয়ে, সিঙ্গাপুর থেকে আবুধাবি আর ডাশেলডোর্ফ হয়ে নিউ ইউর্ক যেতে হচ্ছে। সীমার জন্য এই প্রথম এত বড় জার্নি, এশিয়া থেকে ইউরোপের উপর দিয়ে আমেরিকা মহাদেশের দিকে যাওয়া। একটু টেনশন লাগছিল টিকেট কেটে ফেলার পর, তবে ওর স্ট্যামিনা বেশ ভালো, সমস্যা হবে না বলেই ধরে নিয়েছিলাম।


বেহাল দেশি চ্যানেল ও পাখি সমাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০১৪ - ২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ করছে যে,অচিরেই জি-বাংলা ও স্টার জলসাসহ চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং পাখি ড্রেস নিয়ে নানা কাহিনী। আর সাথে সাথে ফেসবুকে এইসব লিংক শেয়ার ও কমেন্টসের হিড়িক পরা শুরু হয়েছে।

ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল দেখা হয়না তাই এ’ব্যাপারে জানতে অর্ধাঙ্গিনীর দ্বারস্থ হতে হল। সে আবার আমাকে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আমাদের গৃহকর্মীর কাছে আমাকে রেফার করল। আমি জিজ্ঞেস করলাম,


জন্মভূমি

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০১৪ - ৪:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আজ আমার বাংলাদেশ ছাড়ার ১৮ বছর পূর্ণ হল। বলা যায় আমার প্রবাস জীবন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেল।

১৯৯৬ সালের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখ - সকালবেলাতে ফ্লাইট। যাচ্ছি আমেরিকা। দেশ কি জিনিস সেই বিষয়ে কোন ধারণা নেই, শুধু আছে, উত্তেজনা, শংকা আর কিছুটা দুঃখ। পার্থিব বলতে যা কিছু আছে সব কিছু এঁটে গেছে দুটো সুটকেসে - বঙ্গবাজারের কাপড়-চোপড়, কিছু পড়ার বই, শামসুর রাহমান আর জীবনানন্দের দুটো কবিতার বই। আর বাকিসব বইপত্র মানুষ নিয়ে আর ফেরৎ দেয় নি কিন্তু কবিতার বইয়ের মার্কেট নিশ্চিতভাবেই কম, আর সব কিছু হারিয়ে ফেললে ওই দুটো কবিতার বই এখনও রয়ে গেছে।


গভীর রাতের ব্লগর ব্লগর

মরুদ্যান এর ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৮/২০১৪ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৫ রাত হল টানা শিফট করছি রাতে। ১২ ঘন্টার শিফট, সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা। আজকে শেষ রাত, তার পর তিনদিন কাজ নাই। অবাক ব্যাপার হলেও পুরা বিল্ডিংয়ে আমি একা কাজ করছি। কিছু হয়ে গেলে দেখার কেউ নাই। খরচা কমানোর যুগে এরকমটাই হয়তো স্বাভাবিক। কর্মী আউটসোর্সিং করতে করতে এখন তিরিশ জনের মত বাকি আছি। তাই 'স্বাস্হ্য ও নিরাপত্তা নীতি'র সাথে ঠিক না গেলেও একজন দিয়ে রাতে কাজ চালানোটা এরা বৈধ করে ফেলেছে। আমাদেরও কিছু


পাঠ্য বইয়ে বাংলা সাহিত্য ও আমার ভাবনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৪/০৮/২০১৪ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বি সি এস পরীক্ষার প্রিপারেশন নিচ্ছিলেন পাশের রুমের এক বড় ভাই। প্রায় এক ঘন্টা চন্ডীদাস , জ্ঞানদাস, কানাহরি দত্ত পড়তে পড়তে হঠাৎ করে বলে উঠলেন,‘শালার হিন্দুগুলা এত্ত কিছু লিখে গেল কেন? নাম মনে রাখাই তো কষ্ট !‘ আমি হাসি চাপতে না পেরে বললাম,‘ভাই, সাহিত্য কি গুলে খাওয়ার জিনিস? আনন্দ নিয়ে পড়েন, দেখবেন এমনিতেই মনে থাকবে।‘


পাংখি ঘুড়ি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৩/০৮/২০১৪ - ৫:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
সারাবছর যে বন্ধুর সাথে কাটাই তাকে বিশেষ কোন দিবসে আলাদা করে শুভেচ্ছা দিতে কেমন বিব্রত লাগে। সৌজন্য বস্তুটা বন্ধুতার সাথে সম্পূর্ণ বেমানান। বন্ধুর কোন কাজ করে দিলে যদি ধন্যবাদ পেতে হয়, সেই কাজটা ছোট হয়ে যায়। ঠাট্টা বাদে সিরিয়াস শুভেচ্ছা বা ধন্যবাদ কখনো দেইনি বন্ধুকে। যেমন দেইনি বিশেষ দিবসের কোন রঙিন কার্ড। তার চেয়ে ক্যামেরায় একটা ক্লিক করে ছবিটা বন্ধুর কাছে পাঠাই। নইলে সাদা খাতায় আঙুল বুলিয়ে কিছু আঁকিবুকি। আমার তেমনি ভালো লাগে। খুব সাদামাটা কিছু। অথবা ছোট্ট কোন রেস্তোঁরায় বসে ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে মুচমুচে পিয়াজু সালাদ। সাথে খানিকটা বৃষ্টি হলেও হতে পারে, না হলে কিছু মেঘের দল ভাসতে ভাসতে দক্ষিণ সমুদ্র থেকে উত্তর হিমালয়ের পথে চলে যেতে পারে।


এবং বন্ধুতা...

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: রবি, ০৩/০৮/২০১৪ - ৫:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ঝুমুর বয়েসে বড় ছিলো আমাদের, তাই নামের শেষে দাদা যোগ করে সে আমাদের বন্ধু হয়ে গেলো। ঝুমুরদা। মূলত এটা একটা নামই শেষ পর্যন্ত। ওসব দাদাগীরি কি আর চলতো! দীর্ঘ বছর আমরা আড্ডা দিয়েছি। উদ্দাম তারুণ্য বলতে যে সময়টা থাকে, ঠিক সেই সময়ের বন্ধুদের একজন ঝুমুর।


পাঠকচরিতমানস [দ্বিতীয় পর্ব]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: রবি, ০৩/০৮/২০১৪ - ১:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার এই অতিক্ষুদ্র জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির ঘটনাটা ঘটে উনিশশো সাতানব্বই সালে। আমরা তখন পাঁচ বছর বরিশাল থেকে ঢাকায় শিফট করছি, হাজার খানিক কার্টন ট্রাঙ্ক স্যুটকেস এর মধ্যে আমার বইভর্তি চারটা কার্টন ছিলো। সেইটার একটাতে আক্ষরিক অর্থেই টিফিন না খেয়ে জমানো টাকায় বরিশাল এর তরুণ লাইব্রেরি থেকে কেনা ততদিন পর্যন্ত বের হওয়া সব তিন গোয়েন্দা, পঞ্চাশটার মতন সেবা অনুবাদ, তখন পর্যন্ত বের হওয়া কিশোর পত্রিকা আ


একটি গল্প এবং রাজনীতি

গৃহবাসী বাউল এর ছবি
লিখেছেন গৃহবাসী বাউল [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০২/০৮/২০১৪ - ১২:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি গল্প

এক জেলে সারা সকাল আর দুপুর মাছ ধরে, দুপুরের খাবার খেয়ে নদীতীরে গাছের ছায়ায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। দু’আঙ্গুলের ফাঁকে ধিকধিক জ্বলা বিড়ির মাথায় বেশ কিছুক্ষণের জমে যাওয়া ছাই আর মৃদু বাতাসে এলোমেলো ধোঁয়া সময়টাকে যেন আরো অলস করে তুলেছে। ঠিক ওই সময়ে ওই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি একাধারে একজন স্বনামধন্য দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, কলাম লেখক, টক শো’র জ্বালাময়ী বক্তা, নীতিনির্ধারক এবং বুদ্ধিজীবি। সহজ কথায় সুশীল সমাজের প্রতিভু। যথারীতি একজন মানুষকে এইভাবে অলস শুয়ে থাকতে দেখে তার মনে হল যে এই ভাবে অলস শুয়ে বসে থাকার কারণেই আজ এই জাতির “কিচচ্ছু” হচ্ছে না।


মানবতার হ্যাশট্যাগ; হ্যাশট্যাগের মানবতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৬/০৭/২০১৪ - ৩:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানবতার হ্যাশট্যাগের জোরে মানবতা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে । আমরা সবাই আজ মানবতার অপরুপ নিদর্শন দেখাচ্ছি । 'যদি, কিন্তু, তবে' মুক্ত আনকন্ডিশনাল মানবতা । মানবতার এই বিশাল পর্বতের দিকে আমি অবাক হয়ে চেয়ে রই আর মাথায় কেবল একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খায় । হামাসের রকেট, চোরাগোপ্তা হামলার টানেল কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলা তো পারলো না মানবতার হ্যাশট্যাগের শেষে 'যদি, কিন্তু, তবে' যোগ করে দিতে । ৩০ লক্ষ বাঙালী, নিহত ব্লগার রাজীব কিংবা ধর্ষিত সংখ্যালঘু কেন বারে বারে 'যদি, কিন্তু, তবে'র জালে পড়ে যায় ?