সম্প্রতি ইজরাইল-পরিচালিত বিধ্বংসী হামলায় গাজায় নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের প্রাণহানীর প্রেক্ষিতেই এই লেখা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। নতুন করে লেখবার কী আছে! নতুন কিছু লেখার আছে কি না এই নিয়ে আমিও দ্বিধান্বিত বলে পুরনো কিছু নিয়ে খানিকটা পেছন ফিরে দেখা...
সংবাদ এক।
স্থানীয় পত্রিকা 'সুরমা টাইমস' এর ১৭ জুলাই তারিখে প্রকাশিতঃ
নগরীতে যানজট সৃষ্টি করা ও পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পৌর মেয়রের ভাই কামাল চৌধুরীকে পিঠিয়েছে পুলিশ-জনতা। বৃহস্পতিবার ইফতারের আগমুহুর্তে নগরীর নয়াসড়ক পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মহানগর পুলিশের পদস্থ এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
কৃষ্ণের পাঞ্চজন্য শঙ্খের লগে অর্জুনের দেবদত্ত শঙ্খ আর তার উত্তরে ভীষ্মের শঙ্খের নাদে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরু হইয়া যায়। মাঠের পশ্চিমে কুরু আর পূর্বে খাড়ায়া আছে পাণ্ডব-পাঞ্চাল। দুই রঙের পোশাকে দুই পক্ষ দাঁড়াইছে যাতে পরিষ্কার চিনা যায় পাট্টি আর বিরোধীদল। হাতির সামনে হাতি; ঘোড়ার সামনে ঘোড়া; পায়দল খাড়া পায়দলের সম্মুখে; গদারু গদা বাগাইয়া আছে গদারুর দিকে; তিরন্দাজ-তিরন্দাজ মুখোমুখি আর বর্শাতি-ভল্লব খাড়া
আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আমরা আটজনা।
লাট সায়েবের তিন ঠ্যাঙা কুত্তাটার পিছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচা হয়। এইবার দেখি, কি রকম আঁক শিখেছিস। বলতো দেখি, যদি একটা কুকুরের পেছনে মাসে পঁচাত্তর টাকা খরচ হয়, আর সে কুকুরের তিনটে ঠ্যাং হয় তবে ফি ঠ্যাঙের জন্য কত খরচ হয়?’
আমি ভয় করছিলুম পণ্ডিতমশাই একটা মারাত্মক রকমের আঁক কষতে দেবেন। আরাম বোধ করে তাড়াতাড়ি বললুম, 'আজ্ঞে, পঁচিশ টাকা।' পণ্ডিতমশাই বললেন, 'সাধু, সাধু!'
তারপর বললেন, ‘উত্তম প্রস্তাব। অপিচ আমি, ব্রাহ্মণী, বৃদ্ধা মাতা, তিন কন্যা, বিধবা পিসি, দাসী একুনে আটজন। আমাদের সকলের জীবন ধারণের জন্য আমি মাসে পাই পঁচিশ টাকা। এখন বল তো দেখি, তবে বুঝি তোর পেটে কত বিদ্যে, এই ব্রাহ্মণ পরিবার লাট সায়েবের কুকুরের ক'টা ঠ্যাঙের সমান?'
- পাদটীকা, সৈয়দ মুজতবা আলী
হাদিমের পেটে ভুটভুট আওয়াজ হয়। গুহায় কোন শব্দ নাই, আলো নাই। অন্ধকারে ভুসভুস করে নাক ডেকে ঘুমায় একপাল মানুষ। হাদিম ঘুমাতে পারে না। গুহামুখে গিয়ে কিছুক্ষণ বসে আকাশ দেখে। চিকচিক করে অনেক তারা। আজকে চাঁদের থালিটা নাই। মেঘও নাই।
সাম্প্রতিককালে সুশীল সমাজের পাশাপাশি মানবাধিকার বস্তুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় ওঠার উপ্রক্রম হলে বঙ্গদেশের আনাচে কানাচে মানবাধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারবারী গজিয়ে উঠছিল বেশ। মানবাধিকারবারীকে অনলাইন প্লাটফর্মে বাংলায় আক্তিভিস্ত বলা হয়। ইহা ছাড়াও ভলান্তিয়ার, কিংবা সোস্যাল ওয়ার্কার ইত্যাদি অধুনা খুব সেক্সি। ষাট-সত্তরের দশকে যেমন ছিল বাম রাজনীতি। তখন নাকি প্রেমের দুনিয়ায় বামদের ব্যাপক দৌরাত্ম!
১।
সেদিনের সোনা রোদে চমৎকার ড্রাইভ শেষে অফিসে পৌঁছে যার যাথে পরিচয়, তার নামটি পড়তেই আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল।
এদেশে প্যানসি নামে একটা ফুল ফোটে, স্প্রিং থেকে ফোটা শুরু করে এরা নানা বর্ণে। সামার, ফল শেষ করে শীত এলেও এরা ফুটতেই থাকে। এদের ঠাণ্ডা সহ্য করার অসীম ক্ষমতার জন্য এখানে রোড আইল্যান্ডে গুলোতে বা অফিস এবং বাগান গুলোর সৌন্দর্য বাড়াতে এরা ব্যবহৃত হয় ব্যাপক ভাবে। এদের শুধু মাত্র নিয়মিত জল দেয়া ছাড়া আর তেমন কোন যত্নআত্তিও লাগে না।
বিবাহিত জীবনে কোবতে প্রসব করা কঠিন কাজ। বিবাহিত পুরুষ মাত্রেই সেকথা জানেন। প্রেম আর বিয়ে এক নয়। কবিতায় প্রেমিকারা খানিক আহা উহু করতে পারেন, গিন্নিরা ঝামটা ছাড়া কিছু দেন না। অচলাবস্থা নিরসনের হেতু অন্দরমহলে প্রবেশ করা মাত্রই গিন্নি জলদগম্ভীর কণ্ঠে শুধালেন, কী চাও? যেটা গিন্নিকে শোনাতে পারি নি, আপনাদের শোনাতে এলুম।