প্রথমেই, কিছু বিজ্ঞাপন দিয়ে নিই, তা না হলে লেখা পড়বার উৎসাহ পাবেন কোথায়? এখানে নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া রেলপথ আছে যেটাতে এখনও যাত্রীবহন করা হয়। (রোলার কোস্টারগুলো বাদে) এটার একটা অংশে নাকি ৭২% ঢাল আছে! এর মানে হল, আপনি ১০০ ফুট সামনে এগুলে (আনুভূমিক), আপনাকে ৭২ ফুট উপরে (উল্লম্ব) উঠতে হবে। আরও না কি আছে এক অত্যুচ্চ স্থান যেখান থেকে নাকি ৭টি রাজ্য দেখা যায়! সাথে আরও রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মনোহর জলের ধারা।
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়াতেই বোধহয় বারবার হাই ওঠে। বারবার হাই ওঠা খারাপ লক্ষণ। যখন হাত এবং মগজ কোনটাতেই কাজ থাকে না তখনই হাইগুলো উঠে। হাই উঠার ঘন্টাখানেক পরই কপালের দুপাশ পিনপিন করতে শুরু করবে। পিনপিনটা মৃদু থেকে তীব্রতার দিকে যেতে যেতে সমগ্র মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক জুড়ে ঝিমঝিম করে বাজতে শুরু করবে। চোখের সামনে যত আলো আছে সবকিছু অসহ্য ঠেকবে। মাথাটা কোথাও ঠেকানোর জায়গা খুঁজবে। চোখটা অন্ধকারের আশ্রয় চাইবে
সচলের জন্মদিন ছিল আজ। মনে ছিলো না তারিখটা আসলে।
দিন-তারিখ মনে থাকেও না ইদানিং। দেশে তেল নাই, গ্যাস নাই, একটু বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম শহর জুড়ে থইথই পানি-- সেসবের কোন প্রতিকার নাই, ব্যক্তিগত বেতাবেদনার সীমা- পরিসীমা নাই। প্রায় হাজার চারেক ডলারের টেনশন ঝুলছে মাথায়। কাজকাম কিছুই যেহেতু করি না, করতে ইচ্ছেও করে না... সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো টবে মানিপ্ল্যান্টের চারা পোঁতা।
এই পবিত্র রামাদান মাসে এসে একটি চিন্তা আমার দিলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ফরমালিন কি হারাম নয়?
পানিতে ফরমালডিহাইডের দ্রবণকেই ফরমালিন বলা হয়। মমিন ভাইয়েরা ও মমিনাহ বোনেরা কি জানেন, এই ফরমালডিহাইড কিভাবে প্রস্তুত করা হয়?
স্কুলে যখন পড়তাম তখন প্রায়ই দেখতাম রাস্তায় অপরিচিত এক লোক হাতে কোন লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। একবার তো বাসায় নিজের নামে খামে পোষ্ট আকারেই পেলাম। তো কি থাকত এই লিফলেটে?
দুই নাম্বার কথা হলো এই পোস্টের সাইজ অতিশয় পিচ্চি হবে, অনেকদিন জমজমাট সচল দেখি না। তাই এমনি একটু গুঁতা দেওয়া পোস্ট এইটা।
১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির জন্মলগ্নে নগরবাসীর পয়ঃপ্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নগরীর চার কোনায় দশটি করে চল্লিশটি বাঁশের তৈরী পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছিল এবং ঘোষণা করা হয়েছিল নগরবাসী এসব নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে যত্রতত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। তার প্রতিবাদ আন্দোলনে একদল নগরবাসী পাবলিক টয়লেটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃটিশদের পাল্টা অ্যাকশানে শহর থেকে অর্ধে
সচলে লেখা শুরু ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল।
তারিখ মনে আছে কারণ কোন কাজ না থাকায় সেদিন বাসাতেই ছিলাম। ঘরকুনো এই আমি তখন অধিকাংশ সময় নেটে আর টিভি দেখে কাটাই। নেটের লাইনের গতি তখন আমার ১৬ কিলোবাইট, একটা গান ডাউনলোড দিয়ে তখন ঘন্টা বসে থাকি, এমন অবস্থা।
সময় বদলাইছে। কাল রাতে নেটের স্পিড দেখে মাথা খারাপ হবার যোগাড়। ১২৫৪ কিলোবাইট স্পিডে সিনেমা ৫ মিনিটে নেমে গেল! ভাল লাগার কথা।
একদিন ভাবছিলাম আর লিখবো না । কী হবে লিখে? তার চেয়ে চোখ মেলে দিয়ে, কান পেতে রেখে, মনের দরজা খুলে চুপ করে বসে দেখাই ভালো। মানুষের হৃদয়ের আলোছায়ার খেলাও তো এই আকাশ বাতাস মেঘ রোদ বন নদীর উপরের আলোছায়ার খেলার মতনই। যারা সত্যিকারের অনুভবী লেখক, যারা সত্যিকারের সূক্ষ্ম স্পন্দনশীল হৃদয় নিয়ে পৃথিবী দেখেন-তারা হয়তো পারেন এই আলোছায়ার খেলা তুলে ধরতে। আমার পক্ষে চেষ্টা করাই মূঢ়তা।
[justify]
ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আজ।
অবধারিত ভাবে বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রশ্ন থাকে, কোন দলে পক্ষপাত তোমার ? বাংলাদেশ হলে প্রশ্নকর্তা আরো একটু লক্ষ্যভেদী হতেই পারেন। বলতেই পারেন, ব্রাজিল না আর্জেন্টিনা ??
জীবনের প্রথম তিন বিশ্বকাপে আমি ব্রাজিল, এবং কেবল ব্রাজিল। তখনো ইউরোপের ফুটবল দেখি না নিয়মিত, খেলার পাতায় এতো প্রচার পান না ইউরোপ, লাতিন আর আফ্রিকার পায়ের জাদুকরেরা।