ব্লগরব্লগর
ক্যালিডোস্কোপ - ৭
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/০৫/২০১৪ - ১:৫১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
উত্তরবঙ্গে ছিলাম মাত্র তিনটি বছর, প্রায় ছয় দশকের এই জীবনের তুলনায় কতটুকু আর তা! অথচ সেই দিনগুলির কত যে ছবি স্তরে স্তরে রাখা আছে স্মৃতির কোষে কোষে! কোষগুলি ধূসর নিশ্চয়ই, আমার সে স্মৃতিগুলি আজো ধূসর নয়, ক্যালিডোস্কোপের নড়াচড়ায় দিব্যি উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠে।
কুসংস্কারে কুঠারাঘাত-২ : বেঁশোভূতের খপ্পরে
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৫/২০১৪ - ৫:২৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মাঠে মাঠে ঘোরা আমার ছেলেবেলার অভ্যাস। আমাদের একটা বাগান ছিল। একপাশে বাঁশবন আরেক পাশে দেশি আমের সারি। ঠিক দুপুরের বাগানে বসে আপন মনে খেলতে ভালবাসি। ঠিক খেলা নয়, ছেলেমানুষী। বুনো লতা পাতার গায়ে হাত বোলানো, কোন গাছে কটা ফল ধরেছে তা গুণে দেখা, শুভ্রপালক শাহ বুলবুল পাখির পেছনে বাগানময় ঘোরা--ছেলে মানুষী ছাড়া কী! নিরিবিলি খেলতে ভালবাসতাম, তেমনি ভয়ও পেতাম খুব। বেঁশেভূতের ভয়। মধ্যদুপুরেই তাদের যত বাহাদুরি।
ধ্বংসপ্রাপ্ত অডিও শিল্পঃ দায় সবার
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৫/২০১৪ - ৫:২৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
পেশাগত কারনে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে যাই। সেখানে এক পূর্ব পরিচিত এক অডিও ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হলো। দেখি তাঁর দুই যুগেরও অধিক পুরাতন অডিও ক্যাসেট--সিডির দোকান ফ্যানের দোকানে পরিণত হয়েছে। বললাম, “ভাই একি অবস্থা”!
চুনা ব্যবসা ও তিনপুরুষের 'ইংলিশ কোম্পানী'
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৫/০৫/২০১৪ - ৪:১০অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]
আগের পর্বে আমরা লিন্ডসে সাহেবের গল্প শুনেছিলাম। এবারো লিন্ডসে সাহেব থাকবেন কিছুটা তবে শুরু হবে তারো আগে থেকে। এই অঞ্চলে সিমেন্টের অপর নাম বিলাতি মাটি। বিলাতি মাটি উৎপাদন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চুনাপাথর ছিলো গৃহ নির্মানের অত্যাবশ্যকীয় উপকরন এবং বৃটিশপূর্ব যুগে সমগ্র পূর্বভারতে এই অত্যাবশ্যকীয় উপকরনটি সরবরাহ হতো সিলেট থেকে- আরো সুনির্দিষ্টভাবে ছাতক থেকে। জৈন্তিয়ারাজ্য সীমানাবর্তী হলেও ছাতক সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান ছাতক উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সেসময়ের ছাতক।
১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর নবাব মীর কাশেম ও ইস্ট ইন্ডীয়া কোম্পানীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির একটা শর্ত ছিলো –
'কোম্পানীর গোমস্তাগনকে তিনবৎসরের জন্য সিলেটে প্রস্তুত চুণের অর্ধেক অংশ সরকার অথবা দেশীয় লোকদের নিকট হইতে এলাকার বাজার দর হিসাবে ক্রয় করতে হবে। জিলার প্রজা সাধারনকে কোন নির্যাতন করা যাবেনা’
।
বড় বড় পতাকা নিয়ে ছোট ছোট তিনটা গল্প
লিখেছেন মেঘলা মানুষ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২১/০৫/২০১৪ - ৩:২৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
রায়হান খুব মনোযোগ দিয়ে ফেসবুকে তার বন্ধু মাসুদের স্ট্যাটাস আর কমেন্টগুলো পড়ছিল। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলেছে মাসুদ, সেটা নিয়ে তুমুল পঁচানি চলছে মাসুদের ফেসবুক ওয়ালে। পাশের ঘর থেকে মা আর কাজের বুয়ার আলাপ কানে আসছে; বুয়ার জামাই নাকি রিক্সা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে গতকাল সন্ধ্যায়।
একটি মধ্যবিত্ত এলেবেলে
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/০৫/২০১৪ - ৩:২৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
।। ১।। মা'র জন্মদিনে তাকে নিয়ে জিয়া উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম পড়ন্ত দুপুরে, দেখলাম, ১২-১৩ বছরের কতক নগ্ন, অর্ধনগ্ন কিশোর দুপুরের গরমের মাঝে জিয়া উদ্যানের পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে, আমাকে ঈর্ষান্বিত এবং বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তাদের কয়জন জিয়া উদ্যানের প্রায় আড়াইতলা উঁচু ব্রিজটার ঠিক উপর থেকে ডাইভ দিয়ে পানিতে পড়তে লাগল!
চলছি
লিখেছেন শাহেনশাহ সিমন (তারিখ: সোম, ১৯/০৫/২০১৪ - ২:০১পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আজ থেকে ২৯৯ দিন আগে আমি কি করছিলাম, মনে নেই। ৩৬৪ দিন আগের কথা মনে আছে। দুপুরে ঝুম বৃষ্টি, আশপাশ নীরবতর। বের হলাম কোন কারন ছাড়াই। এর পরে আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি। কবে হবে, তাও জানি না।
তাড়াহুড়োর পরিণাম ও সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৫/২০১৪ - ৮:১৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
কেস স্টাডি ১
মজার ঘটনাটা পেয়েছি আকবর আলি খানের পরার্থপরতার অর্থনীতি বইয়ে ।
পাকিস্তান আমলে সামরিক সরকার সবকিছুর সমাধান করতে চাইত এক নিমিষে। আজকে আইন হবে, কাল থেকে সব লোক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এই রকম ছিল তাদের চিন্তাভাবনা।
প্রাথমিক শিক্ষা নাকি শৈশব ছিনতাই করা বিদ্যাসাগর কর্মসূচি?
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ১৮/০৫/২০১৪ - ১২:১২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
দেশে শিক্ষিত মানুষের বাম্পার ফলন হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী জিপিএ ৫ ইত্যাদি পেয়ে জাতির মুখ উজ্জ্বল করছে। আমাদের কালের মতো একটা ফার্স্ট ডিভিশন আর দুইখান লেটারের সন্তুষ্টি এখন আর নাই। সেই আমলের স্ট্যাণ্ড, স্টার, লেটার সবকিছুর মর্যাদা এখন ঢাকা পড়েছে জিপিএ গোল্ডেন জিপিএ-র নকশী কাঁথায়। সেই জাতির একজন হিসেবে আমার বুক তিনহাত ফুলে যাবার কথা। কিন্তু আমার নেহাত আধমূর্খ মেধার স্কেলে এই উন্নতির বহরটা ঠিক হি
বস্তা ভর্তি চোখ
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ১৭/০৫/২০১৪ - ৬:৫৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
১৯৭১-র ডিসেম্বরে আল–বদর হেডকোয়ার্টারে পাওয়া গিয়েছিল এক বস্তা চোখ।
অমানুষিক, জান্তব, নির্মম, নৃশংস এই তথ্য আমায় তাড়া করে আজীবন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও আল-বদরদের নির্যাতনের যতটুকু প্রমাণ আমরা পেয়েছি তাতে বোঝা যায় এই চোখগুলো তুলে নেওয়া হয়েছিল জ্যান্ত মানুষের মুখমণ্ডল থেকেই।
কী দেখেছিল সেই চোখেরা শেষ মুহূর্তে?