কাল সারাদিন ক্যালিডোস্কোপ ঘুরেছে।
স্মৃতির সরণিতে নানা শাখাপ্রশাখার জাফরি দিয়ে ঝুঁজিয়ে আসা আলো আর অফুরান কুয়াশার ঝাপসা বিস্তার সরিয়ে কত যে টুকরো ছবি!
পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনের বেসামরিক কুশীলবদের নিয়ে বিশ্লেষণ তেমন চোখে পড়েনি। অবশ্য সামরিক কুশীলবদের কথা বললে শুধুমাত্র সরাসরি ঘাতকদের কথাই আসে, পেছনের বড় খেলোয়াড়দের কথা বিশ্লেষণে আসে না। দু’হাজার চৌদ্দ সালে অবমুক্ত করা মার্কিন গোপণীয় তারবার্তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফোরমেশন অভ ক্যু লিডারস’ শীর্ষক এক তারবার্তায় দু’জন বেসামরিক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। ঘাতক ফারুক-রশিদের ব্যাপারেও কিছু কৌতুহল-উদ্দীপক তথ্য পাওয়া যায়।
[justify]চলচ্চিত্র দেখার ধৈর্য চলে গেছে বহুকাল আগে। তবু কখনো কখনো এক-আধটা চলচ্চিত্র দেখা হয়ে যায়। গত তিন/চার বছরে যা চলচ্চিত্র দেখেছি তার বেশিরভাগ মনে নেই। বছর চারেক আগে মোহসীন মাখমালবাফের ‘সকৌত’ দেখেছিলাম। দেখার পর থেকে চলচ্চিত্রটা আমার মাথায় স্থায়ী আসন গেড়ে বসে আছে। এসব কথা নিয়ে একবার একটা লেখাও লিখেছিলাম। অল্পস্বল্প কিছু পাঠক সেটা পড়েছেনও। এর পর থেকে যেই চলচ্চিত্রই দেখতে নেই সকৌতের ভূত আমার মাথ
[justify]আমার স্নাতকোত্তর ছাত্র জীবন শেষ হয়েছে মাত্র সেদিন, চার মাসও হয়নি। আমি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন পড়াশুনা করেছি সেটা মেলবোর্ন শহর থেকে ২৫ কি মি দূরে। তাই গত চার বছরে আমার খুব একটা শহরে আসা হয়নি। বাসা থেকে নিজে ড্রাইভ করে ল্যাব, আবার ল্যাব থেকে বাসা। বাসা থেকে কর্মস্থল কাছে হওয়ায় ভালো করে বাসা থেকে নাস্তা করে, চা খেয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে তারপর অফিসে যেতাম। আমার অধ্যাপকও ‘কুল’ মানুষ। ঠ
সপ্তাহ কয়েক আগের কথা, একটা কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছি। ভেবেছিলাম সারাদিন লেগে যাবে, কিন্তু দুপুর বেলাতেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় হোটেলে ফিরে এলাম। লাঞ্চ করেই এসেছি, তাই হোটেলে ফিরে একটা ঘুম দিলাম। বিকেলে ঘুম ভাঙার পর উশখুশ করতে লাগলাম। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। অবশ্য উপায় থাকলেও যে কোথাও যেতাম ব্যাপার সেরকম নয়। এ শহরে আমার পরিচিত কেউ নেই যে দেখা করব। এককালের অতি প্রিয় শহরে আজ আর যাওয়ার মত
বাংলা পৌরাণিক সাহিত্যের একটা বড়ো সম্ভার কারবালার পুঁথি। এইগুলা পইড়া মাইনসে কান্দে; নিজেই নিজেরে ব্যথা দিয়া রক্তাক্ত করে; বুক চাপড়ায়…
কারবালা পুরাণের কেন্দ্রবিন্দু ইমাম হোসেনের মৃত্যু। হোসেন নবী মোহাম্মদের নাতি হইবার কারণে কারবালার ঘটনায় মুসলমানেরা সকলে হোসেনপক্ষ। আর পুঁথিগুলা মুসলমানদের সাহিত্য বইলাই গণ্য- হায় হোসেন হায় হোসেনা কান্দে মাতা ফাতেমায়…
বরং তুমি নিজেকে প্রত্যাহার করো।
এই সংঘ এই আনন্দ এবং মনভালো
পেছনে ফেলে মৌন হও, হও একা।
মানুষের মাঝে আলো থাকে, তুমি
তাই আঁধারে হও নির্জন, নির্জন হও।
অনেকের মাঝে থেকে একা হয়ে যাও।
আলো থাকুক, কোলাহল থাকুক উজ্জল
মানুষদের জন্য। তুমি ফিরে যাও প্রচ্ছায়ায়।
তুমি নিজেকে প্রত্যাহার করে নাও,
এই সংঘ এই আনন্দ এই মনভালো
থেকে নিজেকে সরিয়ে নাও আলবাব।
কখন একটি জাতি রাষ্ট্র গঠন করতে চায়? কিংবা কখন একটি জাতি আলাদা হয়ে ওঠে? জাতি বলতে কী বোঝায়? জাতি মানে কী নির্দিষ্ট একটি ভাষা গোষ্ঠি? নাকি কোন একটি ধর্ম কিংবা সাংস্কৃতিক গোত্র?
[justify]রোজাটা ৩০ দিনের হলে সবকিছু নিয়ম মতোই হয়। আগেও হতো। কিন্তু যদি হয় ২৯, তাহলেই বিরাট ভজঘট। অবশ্য ২৯ বিরাট একটা রোমাঞ্চকর বিষয় ছিলো। ২৮ তম দিনেই আমাদের মাঝে একটা চঞ্চলতা চলে আসতো। পরশু কি ঈদ হবে? নাকি আরেকদিন বেশি অপেক্ষা করতে হবে? যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখা বাটার জুতোটা কি পরা হবে পরশু নাকি আরেকদিন অপেক্ষা করতে হবে?
১.
এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হতে গিয়েছিলাম ১৯৮৪ সালে। সরকারী সিটি কলেজ চট্টগ্রাম। সরকার বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র হিসেবে পুলিশের খাতায় এই কলেজের খুব বদনাম তখন। বদনাম হবার কারণ এখানে এসে কখনো আন্দোলন দমন করার সুযোগ পেতো না পুলিশ। ঢিল পাটকেল খেয়ে ভাগতে হতো। জাতীয় ছাত্রলীগের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তখনো রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু এরশাদ কী জিনিস তা ক্লাস টেনে উঠেই বুঝে গিয়েছিলাম যখন ছাত্রদের মিছিলে ট্রাক তুলে দেয়া হয়েছিল ঢাকায়। বাসা থেকে বেরুবার আগে মাকে বলে এসেছি আজকে ভর্তি শুধু। ক্লাস নেই। টাকাটা জমা করেই চলে আসবো এগারোটার মধ্যে।
কলেজে গিয়ে ভর্তির টাকা দেবার কাউন্টারে লাইন ধরলাম। সেদিন শেষদিন ছিল। অল্প কয়েকজন বাকী ছিল বলে ভিড় নেই বেশী। বিশ ত্রিশ জনের মতো আমরা। একজন একজন শেষ হচ্ছে। আমার পালা আসার আগেই বাইরে শুনি মিছিলের শব্দ। এই কলেজে মিছিল মিটিং নিয়মিত বিষয়, তাই গা করলাম না। মিছিল চলে গেল শ্লোগান দিতে দিতে। মিছিলের শব্দ ক্ষীণ হয়ে যাবার পর আমার ভর্তির কাজও শেষ। সাথে যে কয়েক বন্ধু ছিল, তাদের কাজ শেষ হতে আমরা দোতলা থেকে নীচে নামার জন্য করিডোরের দিকে গিয়েছি অমনি বাইরে বাঁশির শব্দ, হৈ হুল্লোড়। একটা ছোটাছুটি পড়ে গেল সমস্ত কলেজে। ধর ধর পালাও পালাও টাইপ অবস্থা।